যুগলবন্দি: তিরন্দাজ জুটি। স্ত্রী দীপিকার সঙ্গে অতনু দাস।
ছোটবেলার স্বপ্ন ডানা মেলল বাস্তবে! শুক্রবার অর্জুন পুরস্কার পাচ্ছেন জানার পরে এটাই ছিল বাংলার তিরন্দাজ অতনু দাসের প্রতিক্রিয়া।
স্ত্রী দীপিকা কুমারি ২০১২ সালে পেয়েছিলেন অর্জুন। আট বছর পরে সেই সম্মানে ভূষিত স্বামীও। বরানগরের প্রামাণিক ঘাট রোডে বেড়ে ওঠা, বর্তমানে টালিগঞ্জের বাসিন্দা অতনুর জবাব, ‘‘আমার বাবার খেলায় খুব উৎসাহ। শুক্রবার রাতে অর্জুন হয়েছি শুনে বললেন, ছেলে ও পুত্রবধূ দু’জনেই অর্জুন। ভেবেই গর্ব হচ্ছে।’’
সিনিয়র ভারতীয় দলে অভিষেক ২০১১ সালে। বালিতে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে দলগত বিভাগে রুপো পাওয়ার পরে ২০১৪ সালে জাতীয় তিরন্দাজ দলে ডাক পান। রিয়ো অলিম্পিক্সে গিয়েছিলেন। ২০১৮ সালে এশিয়ান গেমসে কোয়ার্টার ফাইনালেই থেমে দিয়েছিল লড়াই। গত বছর ব্যাঙ্ককে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ব্যক্তিগত রিকার্ভ ইভেন্টে দক্ষিণ কোরিয়ার অলিম্পিক্স পদকজয়ীকে পিছনে ফেলে ব্রোঞ্জ পান। অতনুর কথায়, ‘‘এই পারফরম্যান্সের পরেই মন বলছিল এ বার স্বপ্নের সম্মান পেতে পারি।’’
আরও পড়ুন: বাবা ঠেলাগাড়ি চালাতেন, বেঁচে থাকাটাই ছিল কঠিন, বলছেন খেলরত্ন পাওয়া রানি
তিন মাস আগে জেনেছিলেন, এ বার অর্জুন পুরস্কারের জন্য পাঠানো হয়েছে তাঁর নাম। অতনু ছিলেন নির্লিপ্ত। বলছেন, ‘‘২০১৬ সালেও অর্জুন পাচ্ছি প্রায় পাকা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু পরে জানতে পারি তালিকায় নাম নেই। মন সাময়িকভাবে খারাপ হয়ে গিয়েছিল। তাই এ বার চূড়ান্ত খবর না পাওয়া পর্যন্ত আশ্বস্ত ছিলাম না।’’ পাশ থেকে স্ত্রী দীপিকা বলেন, ‘‘শুক্রবার সন্ধেবেলা অতনু যখন বলল, আমিও অর্জুন হলাম, আনন্দে চোখে জল এসে গিয়েছিল। রাতে আমি আর শাশুড়ি সেই আনন্দে বিরিয়ানি আর পায়েস রেঁধে খাইয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy