গত ছ’মাসে তাঁর পারফরম্যান্স দেখলে মনে হবে মাঠে নামলেই তিনি ‘সোনা ফলান’। তা সে ব্যাটিং হোক, নেতৃত্ব বা দলকে জেতানো। আইপিএলের শেষ দিকে এসে শেন ওয়াটসন তো রাজস্থান রয়্যালসের নেতৃত্বও তুলে দিলেন তাঁর হাতে। টেস্ট, ওয়ান ডে, আইপিএল সব নিয়ে অকপট তিনি— স্টিভন স্মিথ।
প্রশ্ন: অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দল, তার পর আইপিএল। কেমন উপভোগ করছেন ক্যাপ্টেন্সির চ্যালেঞ্জটা?
স্মিথ: দারুণ উপভোগ করেছি। মাইকেল ক্লার্কের অনুপস্থিতিতে অস্ট্রেলিয়া দলকে নেতৃত্ব দেওয়াটা বিরাট সম্মানের ছিল। এখানেও রাজস্থান রয়্যালসকে কয়েকটা ম্যাচে নেতৃত্ব দেওয়াটা খুব উপভোগ করছি। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ক্রিকেটারদের নেতৃত্ব দেওয়ার অসাধারণ অভিজ্ঞতা হল। যেটা আশা করছি ভবিষ্যতে কাজে লাগবে।
প্র: অধিনায়কত্ব কি ব্যাটিংয়ের সময় অতিরিক্ত চাপে ফেলে দেয়?
স্মিথ: না, তেমন মনে হয় না। গোটা গ্রীষ্মে অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্ব দিয়েছি। কিন্তু অধিনায়কত্বের দায়িত্ব আমায় একেবারেই চাপে ফেলেনি। পরপর চারটে সেঞ্চুরিও তো পেয়েছি এই সময়। বরং আমি বলব নেতৃত্ব ব্যাপারটা আমার ব্যাটিংকে আরও সম্বৃদ্ধ করে। আমি সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়াটা পছন্দ করি। বেশির ভাগ ম্যাচে সেটাই করার চেষ্টা করে এসেছি। যদি ভবিষ্যতে ফের নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ আসে, সেটাই করার চেষ্টা করব।
প্র: টেস্ট, ওডিআই, টি-টোয়েন্টির মতো আলাদা ফর্ম্যাটে কী ভাবে নিজেকে মানিয়ে নেন?
স্মিথ: বেসিকটা তো একই থাকে। আলাদা ফর্ম্যাটে মানিয়ে নেওয়াটা নেট করার উপর নির্ভর করে অনেকটা। টি-টোয়েন্টির জন্য নেটে আরও বেশি শট মারার চেষ্টা করি। ছক্কা হাঁকানো লক্ষ্য থাকে। কারণ আমি জানি মাঠে নামলে আমায় দ্রুত রান তুলতে হবে। তবে অন্য ফর্ম্যাটের ক্ষেত্রে আমি যতক্ষণ সম্ভব টিকে থাকার প্র্যাকটিস করি।
প্র: আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে কঠিন বোলার এখন কাকে মনে হয়?
স্মিথ: এই মুহূর্তে উত্তরটা মিচেল স্টার্ক। অবিশ্বাস্য ফর্মে আছে। বিশ্বকাপে টুর্নামেন্টের সেরাও হয়েছিল। এখন যা বোলিং করছে ভাবা যায় না। ১৫০ কিমি গতি, তার উপর দু’দিকেই সুইং করতে পারে। তা সে বাঁ-হাতি হোক বা ডান হাতি ব্যাটসম্যান— সবাই সমস্যায় পড়ে যায়। আমার কাছে তাই এই মুহূর্তে ওই সেরা বোলার।
প্র: আন্তর্জাতিক তারকায় ভরা একটা আইপিএল টিমকে নেতৃত্ব দেওয়াটা চ্যালেঞ্জের দিক থেকে কতটা আলাদা?
স্মিথ: দারুণ চ্যালেঞ্জ। কাজটা কঠিন। কেন না বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বিভিন্ন প্লেয়ারদের সামলাতে হয়। তাই পুরো ব্যাপারটাই দাঁড়িয়ে থাকে যোগাযোগের উপর। আর কী ভাবে সেটা কাজে লাগানো হচ্ছে। কমিউনিকেশনটাই মূল। সবাইকে তো শেষ পর্যন্ত একই কাজটা করতে হয়— নিজের সেরাটা দিয়ে জেতার চেষ্টা করা। এই ব্যাপারটা মাথায় রাখলে কাজটা সহজ হয়ে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy