Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪
কুড়ি বছরের শ্রেয়াসকে নিয়ে স্বপ্ন

এক দিন ভারতের হয়ে খেলবে, বলছেন দুমিনি

নিলামে তাঁর দাম উঠেছিল ২.৬ কোটি। বেশ কয়েকটা ফ্র্যাঞ্চাইজি লড়াইয়ে ছিল তাঁকে নেওয়ার জন্য। শেষ পর্যন্ত দিল্লি ডেয়ারডেভিলসই তুলে নেয় কুড়ি বছরের শ্রেয়াস আইয়ারকে। অবশ্যই শ্রেয়াসের মেন্টর এবং ডিডি ম্যানেজমেন্টে থাকা প্রবীণ আমরের টিপস পেয়ে। প্রথম চারটে ম্যাচের পর এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, দিল্লি ভুল করেনি। ওপেন করতে নেমে চার ম্যাচে শ্রেয়াসের সংগ্রহ ১১৩ রান, গড় ২৮.২৫, স্ট্রাইক রেট ১৩৭.৮০।

চেতন নারুলা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:১৩
Share: Save:

নিলামে তাঁর দাম উঠেছিল ২.৬ কোটি। বেশ কয়েকটা ফ্র্যাঞ্চাইজি লড়াইয়ে ছিল তাঁকে নেওয়ার জন্য। শেষ পর্যন্ত দিল্লি ডেয়ারডেভিলসই তুলে নেয় কুড়ি বছরের শ্রেয়াস আইয়ারকে। অবশ্যই শ্রেয়াসের মেন্টর এবং ডিডি ম্যানেজমেন্টে থাকা প্রবীণ আমরের টিপস পেয়ে। প্রথম চারটে ম্যাচের পর এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, দিল্লি ভুল করেনি। ওপেন করতে নেমে চার ম্যাচে শ্রেয়াসের সংগ্রহ ১১৩ রান, গড় ২৮.২৫, স্ট্রাইক রেট ১৩৭.৮০।

‘‘খেলতে নামার সময় টাকার কথা মাথায় থাকে না,’’ কেকেআরের বিরুদ্ধে নামার আগে বলছেন খোলামেলা শ্রেয়াস, ‘‘কত টাকায় আমায় কেনা হয়েছে, সেটা নিলামের পরেই ভুলে গিয়েছি। আমার রঞ্জি মরসুমটা খুব ভাল কেটেছিল আর সেখান থেকেই আত্মবিশ্বাসটা পাই। আমার সামনে দু’টো লক্ষ্য ছিল। এক, আইপিএলটা উপভোগ করা। আর দুই, আমার চারপাশে যে সব বড় বড় ক্রিকেটার আছেন, তাঁদের থেকে কিছু শেখার চেষ্টা করা।’’

মুম্বইয়ের হয়ে গত রঞ্জিতে গ্রুপ পর্বে ৬৪৯ রান করা শ্রেয়াস নিয়ে অনেকেই উচ্ছ্বসিত। যার মধ্যে আছেন দিল্লি অধিনায়ক জেপি দুমিনিও। দুমিনি যেমন বলেছেন, ‘‘ওর উপরে নজর রাখুন। দারুণ প্রতিভা। আমার কোনও সন্দেহ নেই যে এই ছেলেটা একদিন ভারতের হয়ে খেলবে। সেটা কবে হবে, তা পুরোপুরি নির্ভর করবে শ্রেয়াসের উপর।’’

আইপিএল মানেই গ্ল্যামার, আইপিএল মানেই প্রচুর টাকা, আইপিএল মানেই অল্প বয়সে ফোকাস নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা। কী ভাবে সামলাবেন এত সব? শ্রেয়াসের জবাব, ‘‘আমি ব্যাপারটা অন্য ভাবে দেখি। আমার কাছে আইপিএলটা নিজেকে প্রমাণ করার মঞ্চ। আমি শুধু বর্তমান নিয়ে ভাবি। যেখানে আমাকে শুধু পারফর্ম করে যেতে হবে। অবশ্যই আমার লক্ষ্য আছে একদিন ভারতের হয়ে খেলব। তবে তা নিয়ে এখন থেকে ভাবছি না।’’

শ্রেয়াসের ভাগ্য ভাল, এখন তিনি শুধু প্রবীণ আমরেকেই নন, কোচ হিসেবে পাচ্ছেন গ্যারি কার্স্টেনকেও। ‘‘গ্যারির সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতাটা দারুণ। অসাধারণ এক জন কোচ।’’

আর শুধু কার্স্টেনই নন, দক্ষিণ আফ্রিকার আর এক ক্রিকেটারকে দেখেও শিখতে চান শ্রেয়াস। তিনি এবি ডেভিলিয়ার্স। ‘‘আমি কাউকে আইডল হিসাবে দেখি না। কিন্তু এবি ডেভিলিয়ার্সের ব্যাটিংটা অসাধারণ লাগে। আইপিএলে ওকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ পাচ্ছি। এবি যে ভাবে ওর শট প্লেস করে, সেটা দারুণ লাগে। ওর ব্যাটিং কিন্তু শুধু পাওয়ার হিটিং নয়, প্লেসমেন্টও। আর সেটাই আসল।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE