সৌগতা জানা। এগরায় কৌশিক মিশ্রের তোলা ছবি।
সৌগতাকে বরণ করার অপেক্ষায় কাঁথি। রবিবার সন্ধ্যায় সৌগতা জানার ভুবনজয়ের খবর আসার পরেই প্রতীক্ষার শুরু। বিশ্বের দরবারে সৌগতা শুধু কাঁথি নয়, উজ্জ্বল করেছে দেশের নামও। রবিবার ইংল্যান্ডের লন্ডনের লোগান হলে ‘ইন্টারন্যাশন্যাল যোগা স্পোর্টস ফেডারেশন’ আয়োজিত ‘বিশ্ব যোগাসন প্রতিযোগিতা ২০১৪’-এর অনুর্ধ্ব ১৭ বিভাগ (বালিকা) প্রথম হয় সৌগতা। কাঁথির ছোট্ট মেয়েটার বিশ্বসেরা হওয়ার খবরে খুশি কাঁথি পুরসভার পুরপ্রধান সৌমেন্দু অধিকারী। তার সাফল্যে আপ্লুত সৌমেন্দুবাবু জানান, কাঁথি শহরের ছোট্ট মেয়ে সৌগতা শুধু রাজ্য নয়, সারা দেশের মধ্যে প্রথম বালিকা যে, অনুর্ধ্ব ১৭ বিভাগ (বালিকা) বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে নজির গড়ল। সৌগতা বাড়ি ফিরলেই কাঁথি পুরসভার পক্ষ থেকে তাকে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হবে। আনন্দে আত্মহারা সৌগতার স্কুল কাঁথি ব্রাহ্ম বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মনীষা সরকার বলেন, “সৌগতার সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ একদিনের স্কুল ছুটিও ঘোষণা করা হবে।” সৌগতার সাফল্যে গর্বিত কাঁথি ক্লাবের সম্পাদক তিমিরবরণ পণ্ডাও। কাঁথি ক্লাবেরই শাখা শিশুমহলে প্রশিক্ষক ডা: আলোক পালের তত্ত্বাবধানে যোগাসন প্রশিক্ষণ নেয় সৌগতা। তিমিরবাবু জানান, কাঁথি ক্লাব ও শিশুমহলের যৌথ উদ্যোগে সৌগতাকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে। কাঁথির বিধায়ক দিব্যেন্দু অধিকারী বলেন, “সৌগতার মধ্যে এমন প্রাণশক্তি আছে আগে কেউ ভাবতে পারেনি। সাফল্যের স্বীকৃতিতে আগামীদিনে সৌগতাকে আর্থিক পুরস্কার দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানাব।” আগামী ৫ জুন লন্ডন থেকে রওনা দেবে সৌগতা। ৬ জুন কাঁথিতে ফেরার কথা রয়েছে।
রবিবার রাত থেকেই সৌগতার বাড়িতে মানুষের ঢল। তার বাবা পান্থরঞ্জন জানা, মা কবিতাদেবী ও দিদি সঙ্ঘমিত্রা জানা সকলেই আল্পুত। বাবা পান্থরঞ্জনবাবু পেশায় ব্যবসায়ী। কবিতাদেবী বেসরকারি নার্সারি স্কুলের শিক্ষিকা। সীমিত আয়ের মধ্যে সৌগতাকে লন্ডন পাঠাতে তাদের লক্ষাধিক টাকা আর্থিক দেনাও করতে হয়েছে। কবিতাদেবী জানান, রবিবার ভোররাতে সৌগতা লন্ডন থেকে ফোন করে যখন বলল- ‘মা, প্রথম হওয়ার জন্য ওরা আমাকে সোনার পদক ছাড়াও ৫০০ ইউএস ডলার পুরস্কার হিসেবে দিয়েছে’। সব কষ্ট ভুলে গিয়েছি।” সৌগতার বাবা-মার কথায়, “সৌগতার সাফল্যের মূল কৃতিত্ব তার প্রশিক্ষক আলোক পালের। কাদা মাটি দিয়ে শিল্পী যেমন প্রতিমা গড়েন, তেমনি সৌগতাকে তিনি গড়েছেন।” যদিও আলোকবাবু বলেন, “ওর মধ্যে প্রতিভা ছিল। ছিল উৎসাহ আর উদ্দীপনা। প্রতিভার বিকাশ ঘটিয়ে তারই স্বীকৃতি পেয়েছে সৌগতা।”
ফসল ওঠার মুখে বৃষ্টির ফলে জল জমেছে চাষের জমিতে। এর ফলে ক্ষতির আশঙ্কা করছেন বাদাম চাষিরা। তাই জমা জলেই চলছে বাদাম তোলার কাজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy