ফিটনেস নিয়ে উদ্বেগ নেই সুয়ারেজের
নিজস্ব প্রতিবেদন
কোচ অস্কার তাবারেজের মুখে হাসি ফুটিয়ে লুইস সুয়ারেজ জাতীয় দলের ট্রেনিংয়ে শুধু পঁচিশ মিনিট প্র্যাকটিসই করলেন তাই নয়। উরুগুয়ের এক নম্বর স্ট্রাইকার নিজেও প্রবল আত্মবিশ্বাসী, বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ থেকেই খেলবেন। “আমার আবেগ বলছে, আমি দারুণ আছি। মনস্তাত্বিক ভাব বলছে, আমি চমকপ্রদ বোধ করছি। কোনও সময় আমার নিজেকে চাপে আছি মনে হয়নি। কোনও সময় মনে আসেনি যে, ব্রাজিলে খেলতে পারব না।”
উরুগুয়ে ফুটবল ফেডারেশন (এইউএফ) পর্যন্ত এর পর সুয়ারেজের পূর্ণাঙ্গ ফিটনেস নিয়ে আর কোনও ‘ডেডলাইন’ রাখছে না। যতই ১৪ জুন বিশ্বকাপে উরুগুয়ের প্রথম ম্যাচ কোস্তারিকার সঙ্গে থাক না কেন। কোচ তাবারেজের মতো উরুগুয়ে ফুটবল কর্তারাও ধরে নিয়েছেন সুয়ারেজকে বিশ্বকাপে পাওয়া যাবে। আর সুয়ারেজ নিজে বলছেন, “গত ২২ মে যখন জাতীয় দলের ট্রেনিংয়ে বাঁ হাঁটুতে চোট পেলাম, ডাক্তার দেখে বলেছিলেন তিনটে ছোটখাটো পেশি ছিঁড়েছে। তার বেশি কিছু নয়। আর তখনই জানতাম, আমি ফিট হয়ে বিশ্বকাপে খেলব।”
ছ’বছর ব্যথা নিয়ে খেলছেন ফান পার্সি
নিজস্ব প্রতিবেদন
বিশ্বকাপের দোড়গোড়ায় তাঁর কুঁচকির ব্যথা নিয়ে নেদারল্যান্ডস শিবিরের মতোই ফুটবলদুনিয়া চিন্তিত। দিন চারেক আগে ওয়েলসের বিরুদ্ধে কমলা জার্সিধারীদের শেষ ওয়ার্ম আপ ম্যাচেও দল তাঁকে সতর্কতামূলক বিশ্রাম দিয়েছিল দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই। যার পর তাঁর ফিটনেস নিয়ে জল্পনা আরও বাড়ে। কিন্তু তিনি— ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড তথা গত বিশ্বকাপ ফাইনালিস্ট নেদারল্যান্ডসের সেরা স্ট্রাইকার রবিন ফান পার্সি সাফ জানিয়ে দিলেন, কুঁচকির যন্ত্রণা নিয়ে তিনি শেষ ছ’বছর ধরে খেলে চলেছেন।
“পায়ের ব্যথা নিয়ে আমি গত পাঁচ-ছ’বছর খেলে চলেছি। প্রতিটা ম্যাচই খেলেছি কুঁচকির যন্ত্রণা নিয়ে। ব্যাপারটা আমার গা-সওয়া হয়ে গিয়েছে। এমনকী ইদানীং আমি এক-এক সময় ভাবতেই পারি না যে, কোনও ম্যাচ খেলব যেখানে আমার পায়ে কিছু না কিছু ছোটখাটো ব্যথা থাকবে না!” বিশ্বচ্যাম্পিয়ন স্পেনের সঙ্গে গ্রুপের মহাযুদ্ধে নামার মাত্র কয়েক দিন আগে নিজের চোট-রহস্য ফাঁস করেছেন মহাতারকা ডাচ ফরোয়ার্ড ফান পার্সি।
বালোতেলিকে সমীহ করছে ইংল্যান্ড
নিজস্ব প্রতিবেদন
ইতালির শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে বড় ব্যবধানে জয়, সিরো ইমোমোবাইলের হ্যাটট্রিক যখন তৃপ্ত কোচ সিরাজ প্রান্দেলির মাথায় মারিও বালোতেলির বিকল্পের পর্যন্ত চিন্তা এনে দিয়েছে, তখন প্রতিদ্বন্দ্বী শিবির আজুরিদের যাঁকে নিয়ে সবচেয়ে ভীত তাঁর নাম বালোতেলি-ই! গ্রুপে ইতালির প্রথম মহারণই ইংল্যান্ডের সঙ্গে। এবং সেই হাইভোল্টেজ ম্যাচের মাত্র দিন কয়েক আগে ইংল্যান্ডের তরুণ সেন্টার হাফ ফিল জাগিয়েলকা বলে দিয়েছেন, তাঁদের প্রথম ম্যাচে জয়ের স্বপ্ন চুরমার করে দিতে পারেন বালোতেলি।
“মারিও একটা চরিত্র। মাঠের বাইরে কখন কী করে বসবে কেউ জানে না। কিন্তু মাঠের মধ্যে ও গোলটা করে সব সময়,” বলেছেন এভার্টনের তরুণ ফুটবলার জাগিয়েলকা। যিনি একইসঙ্গে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্রাজিলের মাঠে ইংল্যান্ডের কোনও ম্যাচ চলাকালীন একটিও ‘সেলফি’ টুইট করবেন না। ইকুয়েডরের সঙ্গে গত ওয়ার্ম আপ ম্যাচে ইংল্যান্ডের রিজার্ভ বেঞ্চে স্টিভন জেরার, স্টারিজদের সঙ্গে বসেছিলেন জাগিয়েলকা। নিজের সেই ছবি টুইট করার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সে দিন গোল হজম করে ইংল্যান্ড। সে কারণেই এমন সিদ্ধান্ত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy