ইনস্টাগ্রামে ৪২ হাজার ফলোয়ার তাঁর পাশে রয়েছেন। ছবি: এভিতার ইনস্টাগ্রাম পেজ সৌজন্যে।
নাম এভিতা দালমুন্দো। জন্ম থেকেই সারা শরীরে অসংখ্য তিল তাঁর। পরিবার, আত্মীয়স্বজন বন্ধুরা তাঁর এই রূপের জন্য করুণার চোখেই দেখেছেন তাঁকে। কিন্তু দুনিয়া তাঁকে যতই করুণার চোখে দেখুক, নিজেকে কোনও দিন দুনিয়ার চোখে দেখেননি এভিতা। বিশ্বাস করেছেন আয়নাকে। নিজের সৌন্দর্যে বিশ্বাস রেখেই ২০ বছরের এভিতা অডিশন দিয়েছেন মিস ইউনিভার্স মালয়েশিয়া প্রতিযোগিতায়। জিতলে মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় মালয়েশিয়ার প্রতিনিধিত্ব করবেন তিনি।
মালয়েশিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্য সাবাহ-তে জন্ম এভিতার। ঘাড়, কাঁধে অসংখ্য তিল নিয়েই জন্মেছিলেন তিনি। ধীরে ধীরে বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছনোর আগেই সারা শরীর ভরে যায় গাঢ় বাদামি রঙের তিলে। বন্ধুদের কাছে মনস্টার, চকোলেট চিপ, কুকি— নামগুলো শুনতে শুনতেই বড় হয়েছেন এভিতা। ‘‘প্রাইমারি স্কুলে আমার সঙ্গে কেউ বন্ধুত্ব করতে চাইত না। আমাকে দেখেই ক্লাসের মেয়েদের মধ্যে শুরু হয়ে যেত ফিসফিসানি’’- ডেইলি মেলকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে এ ভাবেই শৈশবের দিনগুলো মনে করছিলেন এভিতা।
১৭ জুন অডিশন দিয়েছেন এভিতা। অপেক্ষা করছেন ফলাফলের। ছবি: এভিতার ইনস্টাগ্রাম পেজ সৌজন্যে।
সেকেন্ডারি স্কুলের অভিজ্ঞতা একটু ভাল ছিল। তাঁর মা একই স্কুলের শিক্ষিকা হওয়ায় সহপাঠীরা তাঁর সঙ্গে ভাল ব্যবহার করতে শুরু করে। সাহসী এভিতা বরাবরই নিশ্চিত ছিলেন কোনও ভাবেই দুনিয়ার চোখে নিজেকে সুন্দর করে তুলতে অস্ত্রোপচার করাবেন না তিনি। মিস ইউনিভার্স মালয়েশিয়ার অডিশন দেওয়ার মধ্যেও রয়েছে সেই সাহসের পরিচয়। সেই সঙ্গেই বিশ্বের কাছে পৌঁছে গিয়েছে আশার বার্তা।
আরও পড়ুন: সন্তানের জন্য ক্লাসে আসতে পারেননি, শিক্ষিকার অপ্রত্যাশিত উত্তরে মায়ের চোখে জল
১৭ জুন অডিশন দিয়েছেন এভিতা। অপেক্ষা করছেন ফলাফলের। যদি পরের রাউন্ডে যেতে নাও পারেন তাতেও দমে যাওয়ার পাত্রী নন এভিতা। ইনস্টাগ্রামে ৪২ হাজার ফলোয়ার তাঁর পাশে রয়েছেন। ‘‘আমি নিজেকে গ্রহণ করতে ও ভালবাসতে শিখেছি। নিজের প্রতি সেই ভালবাসাই আমাকে নিজের বিশেষত্ব খুঁজে নেওয়ার আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে’’-স্বপ্ন আর আত্মবিশ্বাসের জোরেই কথাগুলো বলেন এভিতা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy