প্রকাশিত হল ‘নারীকণ্ঠ’ নামের পত্রিকা। ছবি: কৌশিক বসু।
কোনও এক দিনের নারী দিবস নয়। প্রতি দিনের মেয়েবেলার উদ্যাপন করল পশ্চিমবঙ্গ সমাজকল্যাণ দফতর এবং মহিলা কমিশন। অহীন্দ্র মঞ্চের শনিবারের নারী সভা সেজে উঠেছিল নারী শক্তির আলোকে। সম্মানিত হলেন সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়, মাধবী মুখোপাধ্যায়। মহিলা কমিশনের অধ্যক্ষ লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের ভাবনায় প্রকাশিত হল ‘নারীকণ্ঠ’ নামের পত্রিকা আর ‘আমার অধিকার আমার আইন’ নামের বই।
‘‘আজকের সময়েও অনেক মেয়েই জানে না অপরাধ বিষয়টা কী? কোথায়, কখন তার বিরুদ্ধে নালিশ জানাতে হয়? জানে না আইন কেমন একা হওয়ার দিনে বন্ধুর মতো পাশে এসে দাঁড়ায়। এই জানাগুলোকে খুব সহজ বাংলায় গল্পের মতো বলা হয়েছে এই আইনের বইয়ে। পত্রিকায় বলা আছে লড়াকু মেয়ের কথা। গল্প-কবিতা। বিনামূল্যে বই আর পত্রিকা পাওয়া যাবে’’, জানালেন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়।
বই আর পত্রিকা প্রকাশ করলেন মন্ত্রী শশী পাঁজা। তাঁর হাত দিয়ে ফাল্গুনের মধ্যাহ্ন আলো আরও গাঢ় হল, যখন এক পায়ে নেচে ওঠা অঞ্জলি, বাসচালক প্রতিমা, নিজের বিয়ে ভাঙা বিলকিস-রা মঞ্চে এসে অগ্নিকন্যার সম্মান গ্রহণ করলেন। অ্যাসিড আক্রমণ ও বাল্য বিবাহের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এ দিন একটি তথ্যচিত্রও দেখানো হল।
আরও পড়ুন
‘মহিলাদের যেন মহিলারাও সম্মান করেন’
প্রদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা। অহীন্দ্র মঞ্চে কৌশিক বসুর তোলা ছবি।
মেয়েরা কোনও ভাবেই কোথাও আর পিছিয়ে নেই, জানিয়ে দিল এই মঞ্চ। অধ্যাপক মানবী বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে নৃত্যশিল্পী অলকানন্দা রায়, শিশুসুরক্ষা আয়োগের অধ্যক্ষ অনন্যা চক্রবর্তী— নারী শক্তির ভিন্ন ভিন্ন মুখে রচিত হল মানবতার ভাষা। সংশোধনাগারের মেয়েরা অলকানন্দা রায়ের নেতৃত্বে ঝড় তুললেন মঞ্চে। কোহিনূর সেন বরাটের ভাবনায় নাচের ছন্দ বুঝিয়ে দিল বাধা আসবে। কিন্তু সব মেয়েকে স্বপ্ন দেখতে হবে। যে স্বপ্ন তাঁর নিজের। স্বপ্ন তাঁকে কথা বলার সাহস দেবে!
নারী শক্তির ভিন্ন ভিন্ন মুখে রচিত হল মানবতার ভাষা। ছবি: কৌশিক বসু।
স্বপ্ন বোনা এই ভাবনার সুতোরা মিশে গেল বাস্তবে যখন সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় আর বিলকিসের মতো লড়াকু যোদ্ধারা এক মঞ্চের আলো হয়ে সামনে দাঁড়ালেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy