সকাল থেকেই হঠাৎ মরা মাছ ভেসে উঠতে শুরু করে নদীতে। শিলিগুড়ির বিধাননগরের মোতিয়া নদীতে বুধবার ঘটনাটি ঘটে। প্রথমে বাচ্চারা উৎসাহে মরা মাছ সংগ্রহে নেমে পড়ে। পরে সরকারি আধিকারিকরা পৌঁছে মরা মাছ ধরতে নিষেধ করেন। তাঁরা মাছ খেতেও নিষেধ করেন। বাসিন্দাদের সন্দেহ, নদী লাগোয় সংস্থা থেকে বর্জ্য বেরিয়ে জলে মেশার ফলে মাছের মৃত্যু হতে পারে। এ দিন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান, ফাঁসিদেওয়ার বিডিও, মৎস্য দফতর ও জেলা দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কর্তারা। তাঁরা জল ও মৃত মাছের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষায় পাঠান। বিডিও বিরূপাক্ষ মিত্র বলেন, “মাছের মৃত্যুর খবর পেয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলিতে খবর দেওয়া হয়েছে। ওঁরাই বিষয়টি নিয়ে তদারকি করছেন। তবে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানি। তা এলেই আসল কারণ বোঝা যাবে।”
এ দিন খুব সকাল থেকেই স্থানীয় মোতিয়া নদীতে একটা দুটো মরা মাছ ভাসতে দেখা যায়। বেলা বাড়তে থাকলে মৃত মাছের সংখ্যাও বাড়তে থাকে। সকাল ৯টার পর থেকে বেশি পরিমাণে মাছ মরা অবস্থায় ভাসতে দেখা যায়। স্থানীয় প্রসাদ দাস বলেন, “নদীতে বিষাক্ত রাসায়নিক মিশছে। তাতে নদীর জল কিছুটা এলাকায় কালো হয়ে বয়ে যাচ্ছে। পঞ্চায়েত প্রধানকে বহু বার অভিযোগ জানানো হয়েছে ।” এলাকার প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান তৃণমূল নেতা পীযূষ সিংহ এই প্রসঙ্গে বলেন, “নানা সমস্যা আছে।” ফাঁসিদেওয়া ব্লক মৎস্য আধিকারিক সুরজিত মৈত্র বলেন, “বর্জ্য মিশ্রিত জলেই সমস্যা রয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে।” জেলা মৎস্য আধিকারিক অসিত পাল বলেন, “মাছ ও জলের নমুনা পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলে তবেই নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে।”
দীর্ঘ দিন ধরে একটি কারখানা থেকে মোতিয়া নদীতে বিষাক্ত রাসায়নিক মিশেছে বলে অভিযোগ। কারখানার মালিক শশী জৈন বলেন, ‘‘আমাদের কারখানা থেকে যা বর্জ্য বের হয়, তা ছাঁকনি করেই বের হয়। দূষণ ছড়ানোর কথা নয়। নমুনা এলেই আসল সত্য বোঝা যাবে।” কেউ ইচ্ছে করে কারখানার দুর্নাম ছড়ানোর জন্য এই কাজ করে থাকতে পারে বলে তিনি দাবি করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy