সুনীতা উইলিয়ামস। —ফাইল চিত্র।
কথা ছিল, ২১ দিন পরেই পৃথিবীতে ফিরবেন। কিন্তু সেই সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পরেও মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে ফিরতে পারছেন না সুনীতা উইলিয়ামস। নাসা জানিয়েছে, ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহাকাশচারী সুনীতা এবং তাঁর অভিযান-সঙ্গী বুচ উইলমার পৃথিবীতে কবে ফিরবেন, তা এখনই বলতে পারছে না তারা। হতে পারে ৪৫ দিন পরেই ফিরে এলেন। আবার এমনও হতে পারে ৯০ দিন পরেও ফিরতে পারলেন না। নাসা এই ঘোষণা করে জানিয়েছে, আপাতত সুনীতাদের ঘরে ফেরার কথা ভাবছে না তারা।
নাসার ‘মিশন স্টারলাইনার’ নিয়ে গত ৫ জুন মহাকাশ স্টেশনের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছিলেন দুই মহাকাশচারী সুনীতা এবং বুচ। এই প্রথম স্টারলাইনার মহাকাশচারী নিয়ে পাড়ি দিল মহাকাশে। তবে মহাকাশে সুনীতাদের পৌঁছনোটাই শুধু এই ‘মিশন’-এর লক্ষ্য ছিল না। মহাকাশ স্টেশনে আরও কাজ ছিল সুনীতাদের। সেই সব কাজ নিয়ম মেনে চলছিলও। কিন্তু হঠাৎ পরিস্থিতি বদলে যায় একটি দুর্ঘটনায়।
সুনীতা উইলিয়ামস এবং তাঁর অভিযান-সঙ্গী বুচ উইলমার। ছবি: সংগৃহীত।
দিন কয়েক আগে ‘রিসার্স’ নামে রাশিয়ার একটি কৃত্রিম উপগ্রহ বিস্ফোরণ হয় আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের কাছেই। তার পরেই উপগ্রহের শয়ে শয়ে ভাঙা টুকরো ছড়িয়ে পড়েছে মহাকাশ স্টেশনের চারপাশে। তাতে মহাকাশ স্টেশনের বাসিন্দা সুনীতাদের কোনও ভয় না থাকলেও তাঁরা স্টেশনের বাইরে বেরিয়ে ‘মিশন’-এর কাজ করতে পারছেন না। এই ধরনের ‘মিশনে’ মহাকাশচারীদের অনেক সময়েই মহাকাশ স্টেশনের বাইরে বেরিয়ে কোনও যন্ত্রাংশ ঠিক করা এবং নানা রকম পরীক্ষানিরীক্ষা করার পরিকল্পনা থাকে। এই ধরনের অভিযানকে এক কথায় বলা হয় ‘স্পেস ওয়াক’। ঘটনাটি যে দিন ঘটে, সে দিন সুনীতাদেরও ‘স্পেস ওয়াক’ করার কথা ছিল। কিন্তু দুর্ঘটনাটি ঘটার পরে ঝুঁকি এড়াতে তড়িঘড়ি মহাকাশ স্টেশনে আশ্রয় নিতে হয় তাঁদের। তার পর থেকে আর ওই ধরনের কোনও অভিযানেই বেরোতে পারেননি তাঁরা। শুধু তা-ই নয়, সুনীতাদের ফেরার পথেও তৈরি হয়েছে নানা বিপদ। এই পরিস্থিতিতেই সুনীতাদের ঘরে ফেরা মুলতবি করেছে নাসা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy