শুক্রবার সূর্যের সবচেয়ে কাছে সভ্যতা। ছবি- নাসার সৌজন্যে।
এত কাছে এর আগে পৌঁছনো সম্ভব হয়নি। সূর্যের ঝলসানি সইতে পারা যাবে না বলে।
সেই সূর্যেরই সবচেয়ে কাছে পৌঁছবে সভ্যতা, শুক্রবার। সূর্য থেকে মাত্র ৮৫ লক্ষ ২৯ হাজার ৫২৩ কিলোমিটার দূরত্বে থেকে এই সৌরমণ্ডলের নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করবে নাসা-র মহাকাশযান পার্কার সোলার প্রোব। সূর্য থেকে পৃথিবী রয়েছে প্রায় ১৫ কোটি কিলোমিটার দূরে।
কয়েক মাস আগে নাসা-র এই মহাকাশযানটিই প্রথম ছুঁয়েছিল সূর্যকে। প্রবেশ করেছিল সূর্যের বায়ুমণ্ডল বা সোলার করোনায়। সেটাই ছিল কোনও মহাকাশযানের সূর্যের বায়ুমণ্ডলে প্রথম প্রবেশ। সূর্যের বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা সূর্যের পিঠের চেয়ে দশ লক্ষ গুণ বেশি। পিঠের তাপমাত্রা যেখানে মেরেকেটে ছয় হাজার ডিগ্রি কেলভিন সেখানে সূর্যের বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা ১০ লক্ষ ডিগ্রি কেলভিন।
নাসা বুধবার জানিয়েছে, শুক্রবার সূর্যের সবচেয়ে কাছে পৌঁছনোর সময় পার্কার সোলার প্রোবের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ৩ হাজার ৫৯২ কিলোমিটার। ওই সময় নাসা-র মহাকাশযান থাকবে সূর্যের যে দিকটি পৃথিবীমুখী, সেই দিকেই। ফলে, পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা বিভিন্ন উপগ্রহ ও সূর্যকে অনেক দূর থেকে প্রদক্ষিণ করা বিভিন্ন দেশের মহাকাশযান থেকে পার্কার সোলার প্রোবকে তখন দেখা সম্ভব হবে।
অভিযানে পার্কার সোলার প্রোবের মোট যে ২৪ বার সূর্যকে প্রদক্ষিণ করার কথা, তার মধ্যে একাদশতম প্রদক্ষিণটি হবে শুক্রবার। সৌরমণ্ডলের নক্ষত্রকে চেনা, বোঝার জন্যই ২০১৮ সালে সূর্যের মুলুকে পাড়ি জমিয়েছিল নাসা-র এই মহাকাশযান। শেষ যে তিন বার এই মহাকাশযান প্রদক্ষিণ করবে সূর্যকে, তার মধ্যে এক বার পৌঁছবে সূর্যের আরও কাছে। সেই সময় পার্কার সোলার প্রোব সূর্যের ব্যাসার্ধ থেকে থাকবে নয় গুণ দূরত্বে। তখন নাসা-র মহাকাশযানের গতিবেগ হবে ঘণ্টায় প্রায় ছয় লক্ষ ৯২ হাজার ১৭ কিলোমিটার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy