চিনা রোভারের নজরে পড়েছে চাঁদের বুকে ছড়িয়ে থাকা এই দু’টি কাচের গোলক। ছবি সৌজন্যে- চিনা মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।
অবিশ্বাস্য!
কাচের গোলক মিলল চাঁদে। একটি নয়। দু’টি কাচের গোলককে পড়ে থাকতে দেখা গেল চাঁদের বুকে শুকনো খরখরে ধূসর রঙের ধুলোর উপরে। মার্বেলের মতো। দু’টি গোলকই খুব স্বচ্ছ। চাঁদের যে পিঠটি পৃথিবী থেকে দেখা যায় না সেই দিকেই পড়ে রয়েছে কাচের গোলকদু’টি।
চিনের পাঠানো ‘ইয়ুতু-২’ রোভারের চোখে ধরা পড়ল চাঁদের বুকে ছড়িয়ে থাকা কাচের গোলকদু’টি।
আবিষ্কারের গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা ‘সায়েন্স বুলেটিন’-এ।
তবে সেই অত্যন্ত স্বচ্ছ গোলকদু’টি ঠিক কী কী পদার্থে তৈরি তা বুঝে ওঠা এখনও সম্ভব হয়নি চিনা রোভারের। তবে কাচের এই দু’টি গোলক থেকে চাঁদের ইতিহাস জানা সম্ভব হতে পারে বলে বিশ্বাস জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের।
চাঁদের বুকে রাশি রাশি ধুলোর মধ্যে রয়েছে প্রচুর সিলিকেট। যা ভূপৃষ্ঠেও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। বিশেষ করে মরুভূমিতে প্রচুর পরিমাণে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখা যায় এমন ধরনের পদার্থ। সেগুলি চিকচিক করে মরুভূমিতে। চাঁদের বুকেও কাচের দু’টি গোলককে তেমনই চিকচিক করতে দেখেছে চিনা রোভার, বহু দুর থেকে। বিজ্ঞানীদের অনুমান, এই গোলকদু’টিও তৈরি হয়েছে সিলিকেট জাতীয় পদার্থ থেকেই। বায়ুমণ্ডলহীন চাঁদে প্রখর সূর্যের প্রচণ্ড তাপে তা কাচে পরিণত হয়েছে। অতীতে কোনও উল্কাপিণ্ড এসে আছড়ে পড়ার ফলে তার অভিঘাতে যে প্রচণ্ড তাপের সৃষ্টি হয়েছিল তাতেও চাঁদের বুকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সিলিকেট জাতীয় পদার্থ কাচে পরিণত হতে পারে।
চাঁদে অতীতে অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা ঘটেছে বহু বার। আর তা ছিল বেশ ভয়ঙ্করও। এই সবের কিছু কিছু প্রমাণ আগে মিলেছে। তাই চাইনিজ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সের বিজ্ঞানীরা এও মনে করছেন, সেই সব অগ্ন্যুৎপাতের ফলেই চাঁদের অন্দর থেকে উঠে আসতে পারে এমন কাচজাতীয় পদার্থ। কাচজাতীয় পদার্থ এর আগেও দু’-এক বার মিলেছিল চাঁদের বুকে। কিন্তু সেগুলির কোনওটাই গোলকাকৃতি ছিল না। আকারে এত বড়ও ছিল না। এই দু’টি কাচের গোলকের ব্যাস ১৫ থেকে ২৫ মিলিমিটারের মধ্যে। এমন আরও চারটি কাচের গোলক দেখতে পেয়েছে চিনা রোভার। তবে সেগুলির স্বচ্ছতা কতটা তা জরিপ করে উঠতে পারেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy