হেলিকপ্টার ‘ইনজেন্যুইটি। ছবি- নাসার সৌজন্যে।
সোমবার হচ্ছে না। বুধবার হতে পারে।
শেষ ধাপের পরীক্ষায় সব কিছু ঠিকঠাক চলেনি। এই প্রথম অন্য কোনও গ্রহে সভ্যতার হেলিকপ্টার ওড়ানোর স্বপ্ন তাই অন্তত দিন দু’য়েকের জন্য থমকে গেল।
ভারতীয় সময় সোমবার (১২ এপ্রিল)-এর পরিবর্তে বুধবার (১৩ এপ্রিল) রাত বা বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) ভোরে লাল গ্রহ মঙ্গলের আকাশে প্রথম হেলিকপ্টার ‘ইনজেন্যুইটি’ ওড়ানো হতে পারে, এমনটাই জানাল নাসা। মাস দু’য়েক আগে ভারতীয় সময় ১৯ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে মঙ্গলের বুকে পা ছুঁইয়েছিল আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা-র ল্যান্ডার। তার শরীর থেকে বেরিয়ে পড়েছিল রোভার পারসিভের্যান্স। তার পর সপ্তাহখানেক আগে মঙ্গলের বুকে হেলিকপ্টার ইনজেন্যুইটিকেও সফল ভাবে নামাতে পেরেছিল নাসা। দেখে নেওয়া হয়েছিল লাল গ্রহের হাড়জমানো ঠাণ্ডায় ইনজেন্যুইটি-র যন্ত্রাংশগুলি কার্যকর থাকে কি না। সেই পরীক্ষাতেও উতরে যায় মঙ্গলে পাঠানো সভ্যতার প্রথম হেলিকপ্টার।
কিন্তু পরীক্ষার শেষ ধাপটাই ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। হেলিকপ্টারের মাথার উপরে থাকা ৪ টি রোটর ব্লেড (পাখা) ঠিক ভাবে প্রয়োজনীয় গতিবেগে একে অন্যের বিপরীত দিকে ঘুরতে পারছে কি না, সেটাই পরখ করে দেখতে চেয়েছিল নাসা। সেই পরীক্ষা মাঝপথেই বন্ধ করে দিতে হয়েছে, শনিবার জানিয়েছে নাসা।
নাসা ওই গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষাটি চালায় শুক্রবার। ২ জোড়া রোটর ব্লেডের একে অন্যের বিপরীত দিকে ঘোরার কথা ছিল মিনিটে আড়াই হাজার বার। পৃথিবীতে কোনও হেলিকপ্টারের রোটর ব্লেড যে গতিবেগে ঘোরে তার প্রায় ৮ গুণ। এই গতিবেগে রোটর ব্লেডগুলি ঘুরতে না পারলে ৪ পাউন্ড ওজনের হেলিকপ্টার ইনজেন্যুইটি-র পক্ষে মঙ্গলের আকাশে ওড়া বিপজ্জনক হতে পারে। কারণ, মঙ্গলের বায়ুমণ্ডল খুবই পাতলা। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মাত্র ১ শতাংশ। মঙ্গলের বুক থেকে উপরের দিকে হাঁটা সম্ভব হলে ১০০ মিটার উচ্চতাতেই শেষ হয়ে যায় লাল গ্রহের বায়ুমণ্ডল। ফলে, এভারেস্টের ৩ গুণ উচ্চতায় উড়তে গেলে কোনও হেলিকপ্টারের রোটর ব্লেডগুলির যে গতিবেগে ঘোরার প্রয়োজন, মঙ্গলের আকাশে উড়তে গেলে ইনজেন্যুইটি-র রোটর ব্লেডগুলিরও সেই গতিবেগ দরকার। মঙ্গলে ১ মাসে ৫ বার আকাশে ওড়ার কথা ইনজেন্যুইটি-র। মিনিট দেড়েক করে উড়বে প্রতি বার।
নাসা শুক্রবার ইনজেন্যুইটি-র কম্পিউটারকে সেই বার্তাই পাঠিয়েছিল গ্রাউন্ড স্টেশন থেকে। কিন্তু সেই সিগন্যাল মেনে ইনজেন্যুইটি-র রোটর ব্লেডগুলি ঘুরতে পারেনি কাঙ্খিত গতিবেগে। ফলে সঙ্গে সঙ্গে থামিয়ে দেওয়া হয় ব্লেডগুলিকে। এ জন্যই মঙ্গলের আকাশে প্রথম হেলিকপ্টার ওড়ানোর চেষ্টার দিনক্ষণও কিছুটা পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় নাসা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy