Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
ISRO

এক মহিলাও যাবেন মহাকাশে, চন্দ্রযান-২ রওনা হবে এপ্রিলে, জানাল ইসরো

১০ বছর আগে চাঁদে প্রথম চন্দ্রযান পাঠানো হয়। ৮০০ কোটি টাকা খরচ করে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে দ্বিতীয় চন্দ্রযান পাঠানোর কথা ভারতের।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০১৯ ১৮:২৯
Share: Save:

সাত দিনের জন্য মহাকাশে যে তিন জনকে পাঠাবে ভারত, তাঁদের মধ্যে থাকবেন এক মহিলাও। আগামী তিন বছরের মধ্যে। শুক্রবার এ কথা জানিয়েছেন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো)-র চেয়ারম্যান কে সিভান।

এ দিন অবশ্য একটি ‘দুঃসংবাদ’ও দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, ‘‘কিছু প্রযুক্তিগত সমস্যা রয়েছে ভারতের দ্বিতীয় চন্দ্রাভিযানকে ঘিরে। তাই ‘চন্দ্রযান-২’-এর উৎক্ষেপণ ফের পিছিয়ে যাচ্ছে। খুব সম্ভবত ‘চন্দ্রযান-২’-এর উৎক্ষেপণ হবে এপ্রিলের শেষ দিকে।

১০ বছর আগে চাঁদে প্রথম চন্দ্রযান পাঠানো হয়। ৮০০ কোটি টাকা খরচ করে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে দ্বিতীয় চন্দ্রযান পাঠানোর কথা ভারতের। প্রযুক্তিগত কারণে গত বছরের মার্চ থেকেই পিছিয়ে যেতে থাকে তার উৎক্ষেপণ।

সাংবাদিক বৈঠকে ইসরো-র চেয়ারম্যান কে সিভান। ছবি: পিটিআই।

আরও পড়ুন: দ্রুত দিক বদলাচ্ছে পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র, দিক নির্ণয়ে বিভ্রান্তি স্থলে-জলে-আকাশে​

শুক্রবার বেঙ্গালুরুতে সাংবাদিক বৈঠকে মহাকাশে ভারতের মানুষ পাঠানোর কথা জানিয়ে ইসরোর চেয়ারম্যান ‘গগনযান’ অভিযানের ঘোষণা করেন। জানান, এর ফলে মহাকাশে মানুষ পাঠানোর দৌড়ে বিশ্বে চতুর্থ দেশ হবে ভারত।

সিবান জানিয়েছেন, ‘গগনযান’ অভিযানে যে তিন জনকে পাঠানো হবে, তাঁদের প্রাথমিক প্রশিক্ষণ হবে ভারতেই। পরে তাঁদের উন্নততর প্রশিক্ষণ দেওয়া হতে পারে রাশিয়ায়।

মহাকাশ থেকে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ঢোকার সময় ঘর্ষণের ফলে রকেটে আগুন লাগার আশঙ্কা থাকে। সেই রকম পরিস্থিতি এড়াতে এ বার রকেটে বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করছে ইসরো। যাতে বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে ঘর্ষণে আগুন লাগলেও, তা ছড়িয়ে পড়বে না এবং নিরাপদে ফিরে আসতে পারবেন মহাকাশচারীরা।

ওই ঐতিহাসিক অভিযানে সামিল হওয়ার সুযোগ কারা পাবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ইসরো প্রধান বলেন, ‘‘বায়ুসেনা কর্মী, সাধারণ মানুষ, পুরুষ-মহিলা, যে কেউ হতে পারেন। নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই যোগ্যতমকে বেছে নেওয়া হবে।’’

আরও পড়ুন: অঙ্কে এ বার সহজ প্রশ্নপত্র বেছে নিতে পারবে সিবিএসই পরীক্ষার্থীরা

ইসরোর বানানো সবচেয়ে বড় রকেট জিয়োসিঙ্ক্রোনাস স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল মার্ক-থ্রি (জিএসএলভি মার্ক-থ্রি)। তাতে চাপিয়েই অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে মহাকাশে মানুষ পাঠানো হতে পারে। সংস্কৃত শব্দ ‘ব্যোম’-এর অর্থ মহাশূন্য। তাই প্রথম বার মহাকাশে পা রাখার সুযোগ পাওয়া ওই ভারতীয়দের ‘অ্যাস্ট্রোনট্‌স’-এর বদলে ‘ব্যোমনট্‌স’ বলা হবে বলে সিভান জানিয়েছেন।

গত বছর স্বাধীনতা দিবসে ‘গগনযান’ অভিযানের ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার জন্য ইতিমধ্যেই ১০ হাজার কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা।

‘গগনযান’ প্রকল্পে সহায়তার জন্য জন্য ইতিমধ্যেই রাশিয়া ও ফ্রান্সের সঙ্গে বিশেষ চুক্তি হয়েছে ভারতের। মহাকাশে মানুষ পাঠানোর জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি তৈরিতে এখনও পর্যন্ত ১৭৩ কোটি টাকা খরচ হয়েছে ইসরোর।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE