লাইপোজোমস।
ক্যান্সারকে ‘টা টা’ করার দিন কি এসে গেল?
এ বার গ্রেনেড ছোঁড়া হবে আমাদের শরীরের মধ্যেই!
সেই গ্রেনেড ধ্বংস করবে টিউমার বা ক্যান্সারে আক্রান্ত কোষ ও কলাগুলিকে!
মজার কথা হল, এত দিন জানতাম না, সেই গ্রেনেড রয়েছে আমাদের শরীরেই। তবে তা ‘ঘুমিয়ে’ রয়েছে। বাইরে থেকে তাপ জোগালেই তা জেগে উঠবে। তার পর সাঁই সাঁই করে তা ছুটে যাবে টিউমার বা ক্যান্সারে আক্রান্ত কোষ ও কলাগুলির দিকে। আর সেখানে গিয়েই ঢেলে দেবে ‘গরল’! যা টিউমার বা ক্যান্সার কোষ ও কলাগুলিকে মেরে ফেলবে। ওই ‘গরল’ই হয়ে উঠবে আমাদের বেঁচে থাকার জন্য জরুরি ‘অমৃত’!
হালে এই অভিনব পদ্ধতিটি আবিষ্কার করেছে ম্যাঞ্চেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক কোস্টাস কোস্টারেলোর নেতৃত্বে এক গবেষক দল। আগামী সপ্তাহে ব্রিটেনে ন্যাশনাল ক্যান্সার রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বার্ষিক সম্মেলনে অধ্যাপক কোস্টারেলোর গবেষণাপত্রটি নিয়ে আলোচনা হবে সবিস্তারে।
টিউমার বা ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করার জন্য যে গ্রেনেডটিকে ব্যবহার করবেন বিজ্ঞানীরা, তার নাম-‘লাইপোজোমস’। এই ‘লাইপোজোমস’ আসলে ফ্যাটের ছোট ছোট বুদবুদ। এরা কিছু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে সারা ক্ষণ আমাদের শরীরে মাথা থেকে পা পর্যন্ত ঘুরে বেড়ায়। এদের বাইরে থেকে কৃত্রিম ভাবে তাপ দিয়ে জাগানো হলেই, এরা ছুটে গিয়ে শরীরে ঢোকা কোনও ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসকে ধ্বংস করে আসে।
সাপ যে ভাবে বিষ ছাড়ে, অনেকটা সেই ভাবে। শত্রু ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসগুলির উপর এরা একটি বিশেষ ধরনের তরল বা জেলির মতো পদার্থ ছিটিয়ে দেয়। তাতেই মৃত্যু হয় শত্রু ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের। ওই ‘লাইপোজোমস’ দিয়েই এ বার টিউমার বা ক্যান্সার কোষ ও কলাগুলিকে ধ্বংস করা যাবে।
অধ্যাপক কোস্টারেলো জানিয়েছেন, ‘‘তার জন্য ওই ‘লাইপোজোম’গুলিকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় গরম করতে হবে। আর টিউমার বা ক্যান্সার কোষগুলিকে ধ্বংস করার ওষুধ ওই বাড়তি তাপে তেতে ওঠা ‘লাইপোজোম’গুলিতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। যে ভাবে ক্ষেপণাস্ত্রের মাথায় ‘নিউক্লিয়ার ওয়ারহেড’ বা পরমাণু অস্ত্রশস্ত্র বসিয়ে দেওয়া হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy