‘ইলেক্ট্রিক’ মেঘ (ছবি- নাসা)
সময়ের অনেকটা আগেই দেখা মিলল তার। অ্যান্টাকর্টিকার আকাশ ঢেকে গিয়েছে উজ্জ্বল, নীলাভ ‘ইলেক্ট্রিক’ মেঘে। যেমন রাতের শহর লাল, নীল আলোয় সেজে ওঠে, ঠিক তেমনই অ্যান্টার্কটিকার আকাশ নীল আলোয় সেজে উঠেছে। ঠিকরে বেরচ্ছে আলোর দ্যুতি। তবে, প্রতিবারের তুলনায় এর বিস্তৃতি এ বারে অনেকটাই বেশি। প্রতি বছর এই মেঘ দেখা গেলেও এ বার তা নিয়ে চিন্তায় বিজ্ঞানীরা। এই মেঘের পিছনে অশনি সংকেত দেখতে পাচ্ছেন নাসার অ্যারোনমি অব আইস ইন দ্য মেসোস্ফিয়ার (এআইএম)-এর বিজ্ঞানীরা। উষ্ণায়নের জন্য পৃথিবীর জলবায়ুর পরিবর্তন হচ্ছে। আর এর জন্যই আকাশে বাড়চ্ছে নক্টিলুসেন্ট মেঘের পরিমাণ।
কী এই নক্টিলুসেন্ট মেঘ? লাতিন ভাষায় নক্টিলুসেন্ট মেঘের মানে ‘রাতের উজ্বল’ মেঘ। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের ৫০ কিলোমিটার উপরে এবং মহাকাশ শুরুর ঠিক সীমানায় থাকে এই মেঘ।
কী ভাবে তৈরি হয় এই মেঘ? নক্টিলুসেন্ট মেঘ এক ধরনের ছোট ছোট বরফের স্ফটিকের সমষ্টি। নিরক্ষরেখার উত্তর বা দক্ষিণে ৭০ ডিগ্রি থেকে ৫০ ডিগ্রির মধ্যে গ্রীষ্মকালের গোধূলি বেলায় এই মেঘের দেখা মেলে। গ্রীষ্মকালে বাতাসের প্রবাহ বেশি থাকায় বেশি পরিমাণ জলীয় বাস্প বায়ুমণ্ডলে মেশে। যখন এই জলীয় বাস্প ধীরে ধীরে বায়ুমণ্ডলের সর্বোচ্চ জায়গায় পৌঁছয়, সেখানে মহকাশের শেষ প্রান্তে থাকা মিটিওরাইট বা উল্কাপিণ্ডর সঙ্গে মিশে এই মেঘের সৃষ্টি হয়। গ্রীষ্মকালে বায়ুমণ্ডলের উপরিস্থল ঠান্ডা থাকায় বরফের স্ফটিকে পরিণত হয় মেঘগুলি।
আকাশে নক্টিলুসেন্ট মেঘের আলোর দ্যুতি
বিজ্ঞানীদের দাবি, আবহাওয়া এবং জলবায়ুর পরিবর্তন যত বেশি হয়, এই মেঘের বিস্তৃতি ততই বাড়ে। ১৮৮৫ সালে প্রথম নক্টিলুসেন্ট মেঘ আবিষ্কার হয়। নাসার বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, উত্তর এবং দক্ষিণ গোলার্ধে প্রতি বছর গ্রীষ্মকালে নক্টিলুসেন্ট মেঘ দেখা যায়। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে এই মেঘ দুই গোলার্ধকে ছেয়ে ফেলছে আরও বেশি করে। এবং সময়ের আগেই এর আবির্ভব ঘটছে। বিপদের গন্ধ পাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। তার দায় কিন্তু আমাদেরই।
দেখুন ভিডিও (নাসা) -
আরও পড়ুন- প্রজাতন্ত্র দিবসে চাঁদে উড়বে ভারতের পতাকা, নামবে রোভার মহাকাশযান
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy