—প্রতীকী চিত্র।
অ্যালঝাইমার্স রোগটি ঠিক কী ভাবে হয় তা স্পষ্ট ভাবে জানা না গেলেও চিকিৎসকেরা এত দিন বলে এসেছেন যে অ্যালঝাইমার্স সংক্রামক নয়। মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায় না।
কিন্তু সেই তথ্যের বিরুদ্ধে সম্প্রতি প্রমাণ দাখিল করেছেন ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের (ইউসিএল) এক দল গবেষক। গতকাল তাঁদের একটি গবেষণাপত্র ‘নেচার মেডিসিন’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে দাবি করা হয়েছে, বিশেষ একটি চিকিৎসাগত পরীক্ষা-নীরিক্ষার সময়ে অ্যালঝাইমার্স রোগটি এক দেহ থেকে অন্য জনের মধ্যে ছড়িয়েছে।
১৯৬০ থেকে ৮৫ সালের মধ্যে ইউরোপ ও আমেরিকায় এক ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি চালু ছিল। যে সমস্ত শিশুর বৃদ্ধি ঠিকমতো হত না, তাদের উপরে গ্রোথ হরমোন থেরাপি প্রয়োগ করা হত। সে ক্ষেত্রে মৃত মানুষের পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে সংগৃহীত গ্রোথ হরমোন প্রয়োগ করা হত শিশুর শরীরে। পরে এই পদ্ধতিটি নিয়ে বিতর্ক বাধে। দেখা যায়, এই পদ্ধতিতে ক্রুজ়ফেল্ট-জেকব নামে একটি স্নায়ুর রোগ ছড়াচ্ছে। বিশ্বের বহু দেশে চিকিৎসা পদ্ধতিটি নিষিদ্ধ হয়।
এমনই ৮ জনকে নিয়ে গবেষণা চালান ব্রিটেনের গবেষকেরা। দেখা গিয়েছে, ওই পদ্ধতিতে মানব শরীরে অ্যামিলয়েড-বিটা প্রোটিন নামে একটি প্রোটিন প্রবেশ করেছে যা পরবর্তী কালে অ্যালঝাইমার্স রোগের জন্য দায়ী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy