তিনটি সুস্বাদু খাবার যা স্বাস্থ্যগুণে ভাল ছবি: সংগৃহীত
শিশুদের এমনিতেই খাবারদাবার নিয়ে বায়নার অন্ত নেই। তাই সন্তানদের পুষ্টি নিয়ে চিন্তারও শেষ নেই অভিভাবকদের। গরমকালে তো আরও বাড়ে বিড়ম্বনা। শিশুদের দেহে জলের ভারসাম্য বজায় রাখা নিয়েও অতিরিক্ত চিন্তায় পড়েন অভিভাবকরা। রইল এমন তিনটি খাবারের হদিশ, যা স্বাস্থ্যগুণেও ভাল, আবার খেতেও সুস্বাদু।
১। ফলের পপসিকেল: আম, আনারস, তরমুজ কিংবা স্ট্রবেরি, হরেক রকম ফল ব্যবহার করে খুব সহজেই বানিয়ে ফেলা যেতে পারে পপসিকেল। যতটুকু পপসিকেল বানাতে চান, সেই অনুপাতে দু’ধরনের ফল নিন। দানা ফেলে দিয়ে শুধু সাসটুকু ডুমো ডুমো করে কেটে ব্লেন্ডারে ঘুরিয়ে নিন অল্প। ঘনত্ব বুঝে অল্প অল্প করে জল মেশজাতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবেন, যাতে মিশ্রণটি যেন একেবারে পাতলা না হয়। মিশ্রণটি ছাঁচে ঢেলে অর্ধেক ভরাট করুন। প্রত্যেক ছাঁচে একটি করে কাঠি বসিয়ে চার ঘণ্টার জন্য ফ্রিজে রেখে দিন। চার ঘণ্টা পর ফ্রিজ থেকে বার করলেই তৈরি স্বাদ ও স্বাস্থ্যে ভরপুর পপসিকেল।
২। ফ্রোজেন গ্রেপ: আঙুর বাঙালির অত্যন্ত প্রিয় একটি ফল, কিন্তু তবুও খুদেরা অনেক সময়েই খেতে চায় না এই ফল। বাচ্চাদের সহজে আঙুর খাওয়াতে চাইলে চেষ্টা করতে পারেন এই প্রণালীটি। আঙুরগুলি ধুয়ে বোঁটা ছাড়িয়ে নিন। এর পর একটি বেকিং কাগজের উপর প্রতিটি আঙুর আলাদা আলাদা করে ছড়িয়ে দিন। এ বার আঙুরগুলি কয়েক ঘণ্টার জন্য ডিপ ফ্রিজে রেখে দিন। তবে খেয়াল রাখবেন যেন আঙুরগুলি একটি অপরটির সঙ্গে লেগে না থাকে। কয়েক ঘণ্টা পর ফ্রিজ থেকে বার করে নিলেই তৈরি ফ্রোজেন গ্রেপ।
৩। স্মুদি: স্মুদি বানানোও সহজ আবার পুষ্টিগুণেও ভরপুর। কলা, আম, আনারস থেকে ওট্স— সব কিছু দিয়েই বানিয়ে ফেলা যায় স্মুদি। এক গ্লাস স্মুদি বানাতে অর্ধেক গ্লাস ফল বা সব্জি নিন। সঙ্গে যোগ করুন পরিমাণ মতো দুধ কিংবা টক দই। দুধ সহ্য না হলে কাঠবাদামের দুধ কিংবা কনডেন্সড মিল্কও ব্যবহার করা যেতে পারে। মেশাতে পারেন মধুও। গোটা মিশ্রণটি ব্লেন্ডারে ঘুরিয়ে নিলেই তৈরি পছন্দের স্মুদি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy