গোটা বর্ষাকাল যেন ঘরে ঘরে চলে ইলিশ পার্বণ। ছবি: সংগৃহীত।
বর্ষা যাব যাব করছে। নীল আকাশে বাদলের কালো মেঘের বদলে শরতের সোনা রোদ ওঠার অপেক্ষা। চারদিকে পুজোর গন্ধ একটু একটু করে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। এমন উৎসবমুখর আবহেও বাঙালির মনখারাপ। বর্ষার সঙ্গে সঙ্গে ইলিশও কি বিদায় নেবে? ভোজন রসিক বাঙালি সারা বছর অপেক্ষা করে থাকে চকচকে রুপোলি ইলিশের জন্য। বঙ্গে বর্ষাকাল ঢুকতেই তাই বাজারের থলি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে মাছের বাজারগুলিতে। গোটা বর্ষাকাল যেন ঘরে ঘরে চলে ইলিশ পার্বণ। এ বার বর্ষা পাততাড়ি গোটাতে চলেছে। শহরের বড় বড় বাজারগুলিও ধীরে ধীরে ইলিশহীন হয়ে পড়বে। তবে শহরের বেশ কিছু রেস্তরাঁর হেঁশেল কিন্তু ম ম করছে ইলিশের নানা পদের গন্ধে। বর্ষা যাওয়ার আগে কোন রেস্তরাঁগুলিতে ইলিশ খেতে যেতে পারেন?
৬ বালিগঞ্জ প্লেস
বাঙালি খাবারের অন্যতম ঠিকানা এই রেস্তরাঁ। উৎসব-আনন্দে হোক কিংবা পারিবারিক কোনও অনুষ্ঠানে এই রেস্তরাঁর খাবারই প্রথম পছন্দ অনেকের। তবে ইলিশের মরসুমে এখানে এক বার না এলেই নয়। ভাপা ইলিশ থেকে বেগুন দিয়ে ইলিশের পাতলা ঝোল— বর্ষায় ইলিশের নানা বাহারি পদ থাকছে এখানে।
আহেলি
বাদশাহি ইলিশ, ইলিশ মাছের মুইঠ্যা, সর্ষে ইলিশ, স্মোকড ইলিশ— নানা রকম পাওয়া যায়। ইলিশের স্বাদ নিতে যেতে পারেন এখানে। মরসুমের শুরু থেকেই রীতিমতো একটা ইলিশ পার্বণ শুরু হয়ে যায় এই রেস্তরাঁয়। বর্ষা না যাওয়া পর্যন্ত ইলিশ উদ্যাপন চলতে থাকে।
কস্তুরি
জুলাই থেকে অগাস্ট মাস পর্যন্ত ইলিশ উৎসব চলছিল এই রেস্তরাঁয়। এখন উৎসব না চললেও ইলিশের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হবেন না। কস্তুরিতে থাকছে ইলিশ মাছের মাথা দিয়ে ছ্যাঁচড়া, সর্ষে ইলিশ, দই ইলিশ এবং ইলিশের নানা বাহারি পদ। বাজার থেকে ইলিশ বিদায় নেওয়ার আগে এক বার যেতেই পারেন।
ভজহরি মান্না
টুপটুাপ বৃষ্টি মাথায় কোনও এক দুপুরে ইলিশের খোঁজে যেতে পারেন ভজহরি মান্নায়। মরসুমের প্রথম দিকে মেনুতে ইলিশের বেশ কয়েকটি পদ ছিল। বর্ষার সময় যত ফুরিয়ে আসছে, ইলিশের পদেও টান ধরেছে। তবে বর্ষার শেষ বেলাতেও এখানকার মেনুতে রয়েছে ইলিশ ভাপা, ইলিশ মেঘনা আর সর্ষে ইলিশ।
কলকাতা রাজবাড়ি
পার্বণ না চললেও বর্ষার মরসুমে ইলিশের স্বাদ নিতে এখানে আসতেই পারেন। সর্ষে, ভাপা, দই ইলিশ আর ইলিশ পাতুরি— ইলিশের নানা পদের স্বাদ নিতে ঢুঁ মারতে পারেন এখানে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy