জম্মু-কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখায় আবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করল পাকিস্তান। রাজৌরি, আখুনর সেক্টরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে পাক সেনার বিরুদ্ধে। আর এই সুযোগে নিয়ন্ত্রণরেখা দিয়ে জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা হয়। কিন্তু পাকিস্তানের সেই চেষ্টা ভেস্তে গিয়েছে সেনার তৎপরতায়। তবে জঙ্গিদের গুলিতে প্রাণ গিয়েছে এক সেনা অফিসার-সহ দু’জনের।
রাজৌরি এবং আখুনর সেক্টরে রাতভর গুলির লড়াই চলে। অন্য দিকে, কিস্তওয়াড়েও জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষ চলে সেনার। তিনটি পৃথক ঘটনায় তিন জঙ্গি এবং এক সেনা অফিসার-সহ দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার রাতে আখুনর সেক্টরের খেড়ি ভাট্টাল এলাকা দিয়ে এক দল জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। সেনা সূত্রে খবর, নদী পেরিয়ে জঙ্গিরা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিল। তাদের সঙ্গে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র ছিল। নিয়ন্ত্রণরেখা দিয়ে ওই জঙ্গিরা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করতেই রুখে দাঁড়ায় সেনা।
বাধা পেয়েই সেনা জওয়ানদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকে জঙ্গিরা। দু’পক্ষের মধ্যে রাতভর গুলির লড়াই চলে। সেই সংঘর্ষে সেনার জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার (জেসিও) গুরুতর জখম হন। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। খেড়ি ভাট্টাল এলাকা ঘিরে জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে সেনা সূত্রে খবর। অন্য দিকে, রাজৌরিতেও নিয়ন্ত্রণরেখা দিয়ে শুক্রবার রাতে জঙ্গিরা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। কিন্তু হোয়াইট নাইট কোরের জওয়ানেরা সেই অনুপ্রবেশে রুখে দেন। রাতভর গুলির লড়াই চলে। সেই সংঘর্ষে ৯ পঞ্জাব রেজিমেন্টের সুবেদার কুলদীপ চাঁদের মৃত্যু হয়েছে।
হোটাইট নাইট কোরের তরফে এক্স করে জানানো হয়েছে, ‘‘সুবেদার কুলদীপ এবং তাঁর সঙ্গীরা জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ রুখে দিয়েছেন। কিন্তু সেই সংঘর্ষে ভারতীয় সেনা এক জন সাহসী জওয়ানকে হারাল।’’ শুক্রবারই কিস্তওয়াড়ে এক জঙ্গিকে গুলি করে মেরেছিল সেনা। তার পর থেকে বাকি জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছিল সেনা। ভারী তুষারপাত আর দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যেও সেই অভিযান জারি রেখেছিল সেনা। শনিবার সকালে কিস্তওয়াড়ের ছাতরুতে আরও দুই পাকিস্তানি জঙ্গিকে খতম করে সেনা। তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক এবং বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। সেনা সূত্রে খবর, যে তিন পাকি জঙ্গি নিহত হয়েছে, তারা জইশ জঙ্গিগোষ্ঠীর কমান্ডার।