ব্যস্ত জীবনে ক্রমেই ওয়ান পট মিলের গুরুত্ব বাড়ছে। অর্থাৎ এমন রান্না যা, একটিই পাত্রে তৈরি হয়ে যাবে। ম্যারিনেশন থেকে শুরু করে কষানো, সেদ্ধ করা সব কিছু। এক বার কড়ায় নাড়া তার পরে প্রেশার কুকারে দেওয়া— অফিস-বাড়ি-সংসার সামলে রান্নাঘরে এসে এত কিছু করার সময় পান না অনেকেই। একটি পাত্রে সব চাপিয়ে দিলেই খাবার যদি হয়ে যায় তা হলে পরিশ্রম কম। তা ছাড়া একাধিক পাত্রে রান্না মানে অনেক রকম বাসনেরও ব্যবহার এবং সেই সব বাসন মাজার ঝক্কি। ওয়ান পট মিলে সেই ঝঞ্ঝাট ও বাঁচবে। কারণ এখানে যে পাত্রে জোগাড়যন্তর, রান্নাও হবে সেই পাত্রেই, আবার সেখান থেকেই পরিবেশন।
বাঙালিকে ‘ওয়ান পট মিল’ বানাতে বললে প্রথমেই মনে আসবে খিচুড়ির কথা। অথচ বাঙালিদের এমন ‘এক পাত্রের রান্না’ আরও আছে। বাঙালির যে বাটিচচ্চড়ি রান্না, সেও তো একটি পাত্রেই সেজে বসিয়ে দিলে হয়ে যায়। পয়লা বৈশাখের আগে বাঙালির প্রিয় মাছ দিয়ে তৈরি তেমনই এক ‘ওয়ান পট মিলে’র রেসিপি রইল। নাম ‘হাতে মাখা মাছ’।
বাংলাদেশের এই রান্না যতটা ঝঞ্ঝাটহীন, ততটাই খেতে সুস্বাদু। পয়লা বৈশাখের দুপুরে বাড়িতেই নানা কাজের ব্যস্ততায় কাটলে অল্প সময়ের এমন একটি মাছের রান্না বানিয়ে চমকে দিন। নববর্ষের মধ্যাহ্নভোজে আর কোনও রান্নার দরকার পড়বে না।

ছবি: শাটারস্টক।
উপকরণ
৫ টুকরো মাছ
৫-৬ টেবিল চামচ কোরানো পেঁয়াজ
২ চা চামচ আদাবাটা
২টি মাঝারি মাপের টম্যাটো বড় বড় টুকরোয় কেটে নেওয়া
৪-৫ টি কাঁচা লঙ্কা চেরা (স্বাদমতো বাড়িয়ে বা কমিয়ে নিতে পারেন)
১ চা চামচ হলুদগুঁড়ো
১ চা চামচ লঙ্কাগুঁড়ো
১ চা চামচ কাশ্মীরি লঙ্কাগুঁড়ো
৫-৬ টেবিল চামচ সর্ষের তেল
স্বাদমতো নুন
সামান্য চিনি
প্রণালী
কড়াই আঁচে বসানোর আগে তাতে মাছের টুকরোগুলো দিয়ে তার উপর একে একে সমস্ত গুঁড়ো এবং বাটা মশলা, টম্যাটো, কাঁচা লঙ্কা, নুন, চিনি এবং সর্ষের তেল দিয়ে ভাল ভাবে হাতে করে মাখিয়ে নিন।
মশলা মাছের গায়ে ভাল করে লাগানো হয়ে গেলে সামান্য জল দিয়ে কড়াই আঁচে বসান এবং মাঝারি আঁচে রান্না হতে দিন। ফুটতে শুরু করলে আরও মিনিট তিনেক রেখে তার পরে মাছের টুকরোগুলোকে উল্টে দিয়ে ঢাকা দিয়ে দিন।
ঢাকা দিয়ে মাছ পাঁচ-সাত মিনিট হালকা আঁচে রান্না করে আবার ঢাকা খুলে মাছের টুকরো গুলো উল্টে ঢাকা দিয়ে দিতে হবে। এই ভাবে ২০-২৫ মিনিট রান্না করতে হবে। মাছ সেদ্ধ হয়ে গিয়েছে বুঝলে আঁচ বন্ধ করে কিছু ক্ষণ রেখে দিন। তার পরে ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।