নারকেলের দুধ রান্নায় দেবেন, কৌশলে ভুল হলে স্বাদ কিন্তু মাটি হতে পারে। ছবি: ফ্রিপিক।
চিংড়ি মালাইকারি হোক বা চিকেন মইলি, রকমারি পদে নারকেলের দুধ যোগ করলেই বেড়ে যায় তার স্বাদ-গন্ধ। অনেকে যেমন টাটকা নারকেলের দুধ ব্যবহার করেন, অনেকে তেমন বেছে নেন কৌটো বন্দি নারকেলের দুধও। তবে তা ব্যবহারের নিয়মকানুনও আছে। আর সেই নিয়মে ভুল হলে অধরা থেকে যেতে পারে কাঙ্ক্ষিত স্বাদ। রান্নায় সময় তাই কোন বিষয়গুলি মাথায় রাখবেন?
ঝাঁকিয়ে নেওয়া
কৌটোয় থাকা নারকেলের দুধ ব্যবহার করলে অতি অবশ্যই তা ঝাঁকিয়ে নিতে হবে। নারকেলের দুধ ভাল রাখার জন্য ফ্রিজে রাখতেই হয়। এ ক্ষেত্রে অনেক সময় ঘন অংশ থিতিয়ে যায়। তাই ব্যবহারের আগে তা ঝাঁকিয়ে নেওয়া দরকার।
ঘনত্ব
বাড়িতে তৈরি করা নারকেলের দুধের চেয়ে কৌটোর নারকেলের দুধ ঘন হয়। সে কারণে পরিমাণ বুঝে তা ব্যবহার করতে হবে। পাশাপাশি নারকেলের দুধে মাছ বা মাংস সেদ্ধ করতে চাইলে কিছুটা জল মিশিয়ে নিতে পারেন। রান্নায় ব্যবহারের আগেই সেই কাজটি করতে হবে। একটি কাপে কিছুটা জল নিয়ে নারকেলের ঘন দুধ ভাল করে মিশিয়ে তার পর রান্নায় ব্যবহার করতে হবে।
স্বাদ
বাড়িতে তৈরি নারকেলের দুধে চিনি থাকে না। কিন্তু কৌটোর দুধে অনেক সময় চিনি থাকে। বিভিন্ন কোম্পানি বা ব্র্যান্ডের নারকেল দুধের স্বাদ, ঘনত্ব, গন্ধ আলাদা হয়। সেটা বুঝে খাবারে দেওয়া দরকার। যদি আগে থেকেই তাতে চিনি থাকে, তা হলে খাবারে আর বাড়তি চিনি যোগ করা যাবে না।
রান্নার শুরুতেই ব্যবহার
অনেকে রান্নার শুরুতেই নারকেলের দুধ দিয়ে দেন। এতে কিন্তু রান্নার শেষ পর্যন্ত সেই গন্ধ আর থাকে না। পাশাপাশি দুধ কেটে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে। তা ছাড়া মাছ, মাংস কষিয়ে নেওয়ার পর এক বারে শেষ ধাপে নারকেলের দুধ যোগ করলে, এর গন্ধও ভাল আসে।
তাপমাত্রা
মাছ, মাংস ফুটছে সেই সময় দুধ ঢেলে দিলেন? এতে কিন্তু নারকেলের দুধ কেটে গিয়ে ছানার মতো হয়ে যেতে পারে। আঁচ একেবারে কমিয়ে নারকেলের দুধ দিতে হবে। নারকেলের দুধ দেওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে তা রান্নায় মিশিয়ে দিতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy