তেল-মশলাদার কষিয়ে রাঁধা মুরগির লাল ঝোল দেখলে সব সময়েই জিভে জল আসে। তবে স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে হলে রোজ এমন পদ খাওয়া চলে না। মুরগির মাংসের উপকারিতা অনেক। প্রোটিন খাওয়ায় সমস্যা না থাকলে পুষ্টিবিদেরা ডায়েটে মুরগির মাংসও রাখতে বলেন। কিন্তু কী ভাবে সেই মাংস রাঁধবেন। প্রতি দিন চিকেন স্ট্যু সকলের মুখে রোচে না। সে ক্ষেত্রে কম তেলমশলায় বানিয়ে নিতে পারেন নানা রকম পদ।
মুরগির ভর্তা: মাখন, ক্রিম দেওয়া উচ্চ ক্যালোরির চিকেন ভর্তার চেয়ে এর রন্ধনপদ্ধতি বেশ আলাদা। ত্রিপুরায় ভাতের সঙ্গে মুরগির ভর্তা খাওয়ার চল রয়েছে। রান্নার পদ্ধতি খুবই সহজ। প্রথমে নুন দিয়ে মুরগির মাংস সেদ্ধ করে মাংস ছাড়িয়ে নিতে হবে। এ বার কড়াইয়ে কাঁচা লঙ্কা, আদা, রসুন নাড়িয়েচাড়িয়ে নিন। তেল দিতেও পারেন, চাইলে তেল বাদ দিতে পারেন। তার পর সেদ্ধ করা ছাড়ানো মুরগির মাংসের সঙ্গে কাঁচা পেঁয়াজ, লঙ্কা, আদা, রসুন ভাল করে মেখে নিন। ছড়িয়ে দিন এক চামচ সর্ষের তেল। যোগ করতে পারেন ধনেপাতা কুচিও। ঝক্কিহীন রান্নার স্বাদ কিন্তু কোনও মতেই নিরাশ করবে না।
গোলমরিচ দিয়ে মাংস: কড়াইয়ে সামান্য তেল দিয়ে ছোট টুকরো করে কাটা মুরগির মাংস নাড়াচাড়া করে নিন। স্বাদমতো নুন দিয়ে সামান্য জল দিয়ে মাংস সেদ্ধ করে নিতে হবে। জল শুকিয়ে গেলে তাতে সামান্য সাদা তেল বা ঘি দিয়ে কুচনো রসুন দিয়ে ভেজে নিন। যোগ করুন পাতিলেবুর রস এবং গোলমরিচ। খানিক ক্ষণ নাড়াচাড়া করে নিলেই তৈরি হয়ে ঝাল ঝাল পদ।
গ্রিলড চিকেন স্যালাড: মুরগির মাংসের বুকের অংশ লেবুর রস, নুন, রসুন বাটা, গোলমরিচের গুঁড়ো, অলিভ অয়েল মাখিয়ে রাখুন অন্তত ঘণ্টাখানেক। একটি পাত্রে ডার্ক সয়া সসের সঙ্গে স্বাদমতো মধু মিশিয়ে নিন। এ বার কড়াইতে অল্প তেল দিয়ে মুরগির মাংস উল্টেপাল্টে গ্রিল করে নিন। মাংস সেদ্ধ হয়ে গেলে সস্ এবং মধু মাখিয়ে আরও মিনিট দুয়েক রান্না করে নিন। এর পর ছুরি দিয়ে সরু সরু করে নিন মাংস। লেটুস, টম্যাটো, শসা পছন্দের স্যলাডের সঙ্গে মুরগির টুকরো মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে সুস্বাদু স্যালাড।