অস্বস্তিকর ভ্যাপসা গরমে খাওয়াদাওয়ায় অরুচি। পান্তা ভাত খেয়ে মনে শান্তি এলেও এক খাবারই বা কত দিন আর খাওয়া যায়! এই সময়ে দুপুরের খাবার যথাসম্ভব হালকা হলেই ভাল। এ দিকে সন্তানরাও সাদামাঠা খাবার দেখে নাক সিঁটকোচ্ছে। তবে কী করবেন?
খাবারের পাতে নতুনত্ব আনতে চান, এ দিকে ভারী খাবার খেলেও শরীর বিগড়ে যাচ্ছে। আর তাই ভরসা রাখতে পারেন দক্ষিণ ভারতের দই-ভাতের উপর। শুনে মনে হচ্ছে, সেই তো চিনি দিয়ে দই আর ভাত মাখা। কিন্তু এই রেসিপিটি একেবারে নতুন। এর আমদানি হয়েছে দক্ষিণ ভারতের থেকে। নতুন ধরনের দই-ভাতের প্রণালী জেনে নিয়ে চমকে দিন বাড়ির সকলকে।
আরও পড়ুন:
উপকরণ:
এক কাপ দই, অর্ধেক কাপ চালের ভাত, একটি কাপের ১/৪ ভাগ বেদানা, একটি চা-চামচের ১/৪ ভাগ গোটা সর্ষে (কালো), ৩ টেবিলচামচ চিনাবাদাম, ১ টেবিলচামচ পরিমাণ সাদা তেল, ৬-৭টি কারিপাতা, একটি গোটা শুকনো লঙ্কা, এক মুঠো ধনেপাতা, স্বাদ মতো নুন আর চিনি।

দক্ষিণ ভারতের সু্স্বাদু দই-ভাতের রেসিপিটি বাঙালির দই-ভাতের থেকে একেবারেই আলাদা। ছবি: সংগৃহীত।
প্রণালী:
বেদানা ছাড়িয়ে রাখুন। ভাত সিদ্ধ করে রাখুন। ধনেপাতা কুচি কুচি করে কেটে রাখুন। এর পর টক দইতে চিনি মিশিয়ে ভাল করে ঘেঁটে নিন। ভাত আর দই মিশিয়ে নিন একটি পাত্রে। একটি কড়াইতে সাদা তেল গরম করে নিন। তাতে সর্ষে ফোড়ন দিন। তার পর শুকনো লঙ্কা ও চিনাবাদাম দিয়ে ভাল করে নাড়াচাড়াকরে নিন। কারিপাতাগুলি একে একে তেলে ছেড়ে দিন। সব শেষে প্রয়োজন মতো নুন মিশিয়ে খানিক ক্ষণ ঢিমে আঁচে রেখে দিন।
এ বার কড়াই থেকে নামিয়ে দই-ভাত মাখার উপরে ঢেলে দিন। তার পর নাড়িয়ে নিন। ঠান্ডা হওয়ার সময় দিতে হবে। শেষে বেদানাগুলি এবং ধনেপাতা দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন। একাধারে সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর। গরমের সময়ে ঠান্ডা ঠান্ডা বিশেষ ‘কার্ড রাইস’ খেয়ে ছোটদের মুখেও হাসি ফুটবে।
গরমকালে দক্ষিণ ভারতের নানা অঞ্চলে এই খাবারটি খাওয়ার চল। এতে পেট ঠান্ডা থাকে, আবার শরীরে প্রয়োজনীয় প্রোটিনও যায়।