পালং পনির বা চিকেন বাটার মশলা কিংবা ধাবার তড়কা, মাখন আর উপর থেকে ছড়ানো ক্রিম রান্নার স্বাদ বাড়িয়ে দেয় অনেকটাই। আবার চকোলেট হোক বা স্ট্রবেরি কিংবা বাটারস্কচ— যে কোনও পেস্ট্রিতেও থাকে ক্রিমের ছোঁয়া। ক্রিম ব্যবহার হয় দুই ক্ষেত্রেই। দুই ভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ক্রিম কি একই উপকরণ?
ক্রিমের রকমভেদ
রন্ধনে বা বেকিংয়ে ক্রিমের ব্যবহার হয় ঠিকই, তবে তার নামকরণ যেমন আলাদা, তেমনই চরিত্রও খানিক ভিন্ন। কেক, পেস্ট্রির সজ্জায় ব্যবহার হয় ‘হুইপড ক্রিম’ আর মাংস হোক বা তড়কা— বিভিন্ন পদে উপর থেকে যে ক্রিম ছড়িয়ে যে দেওয়ার চল, সেটিকে বলা হয় ‘ফ্রেশ ক্রিম’।
ফ্রেশ ক্রিম এবং হুইপড ক্রিম দু’টিই দুধ থেকে তৈরি হলেও তাদের মধ্যে থাকা ফ্যাটের পরিমাপে তফাত হয়। ফ্রেশ ক্রিমে সাধারণত ২৫ শতাংশ ফ্যাট থাকে। প্যাকেটজাত বা কৌটোজাত অবস্থায় তা বিক্রি হয়। স্যুপ, কফি-সহ নানা পদের স্বাদ, বর্ণ বদলে সামান্য একটু ক্রিমই যথেষ্ট। অন্য দিকে, হুইপড ক্রিম অনেকটা ফাঁপা, হালকা, ফেনার মতো। হুইপড ক্রিমে ফ্যাটের পরিমাণও বেশি থাকে। প্যাকেটজাত হুইপড ক্রিম বা ফ্যাটযুক্ত হেভি ক্রিম ইলেক্ট্রিক ব্লেন্ডারের সাহায্যে ফেটিয়ে নিলে সেটি বাতাসযুক্ত হয় এবং হালকা হয়ে ওঠে। সেই ক্রিম ব্যবহার হয় পেস্ট্রি, ট্রাফ্ল, কেক-সহ নানাবিধ খাবারে।
ক্রিমের উৎস
সাধারণত দুধ থেকেই ক্রিম তৈরি হয়। তবে উদ্ভিজ্জ উৎস থেকেও এখন হুইপড ক্রিম পাওয়া যাচ্ছে। প্রাণিজ দুধ সহ্য না হলে বা ভিগান ডায়েটে অভ্যস্ত হলে এই ধরনের ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন।
কোন পদে কোন ক্রিম?
কফিতে যেমন দুই ধরনের ক্রিমই ব্যবহার করা চলে। গরম কফিতে ফ্রেশ ক্রিম দেওয়া হয়। আবার কোল্ড কফি সুদৃশ্য দেখানোর জন্য হুইপড ক্রিম দিয়ে থাকেন অনেকে। তবে রান্নার ক্ষেত্রে ফ্রেশ ক্রিমই দেওয়া হয়। বেকিং করে বানানো বিভিন্ন পদের জন্য ব্যবহার হয় হুইপড ক্রিম।