Advertisement
২০ নভেম্বর ২০২৪
Short story

সেই লোকটা

দুখিরামের চোখের সামনে আচমকা যেন এক মুঠো বাতাস হয়ে মিলিয়ে গেল লোকটা।

ছবি: সৌমেন দাস।

ছবি: সৌমেন দাস।

প্রতাপ কোনার
শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০২১ ০৬:৪৩
Share: Save:

ভারী মনমরা হয়ে বুড়ো বটগাছটার তলার বাঁধানো ভাঙা বেদিটায় বসেছিল দুখিরাম। বাস থেকে নেমে হেঁটে হেঁটে যখন গাঁয়ের দিকে আসছিল, তখনই সে টের পেয়েছে, ভয়ানক সর্বনাশ হয়ে গেছে তার। বটতলার কাছে এসে ধপাস করে ভাঙা বেদিটায় বসে পড়ে মাথায় হাত দিয়ে আকাশপাতাল ভাবছিল সে। এখন বাড়ি ফিরে পারুলের মাকে সে কী বলবে, আর পারুলের মুখের দিকেই বা তাকাবে কেমন করে?

জনমানবশূন্য চত্বরটায় একাই বসে ছিল দুখিরাম। শূন্যদৃষ্টিতে সামনের দিকে তাকিয়ে নিজের কপালের কথা ভাবছিল।

“মশায়ের কি গঞ্জ থেকে আসা হচ্ছে?” এক্কেবারে পাশ থেকে মোলায়েম কণ্ঠস্বরটা কানে আসতে চমকে উঠল দুখিরাম। চেয়ে দেখল, ময়লা শার্টপ্যান্ট পরা ওরই মতো মাঝবয়সি একটা লোক তার পাশে বেদিতে বসে বসে পা দোলাচ্ছে। মাথায় কাঁচাপাকা এলোমেলো চুল, চওড়া ঢালু কপাল, নাকের বাঁ দিকে একটা বড় আঁচিল, বসা গালে খোঁচা-খোঁচা দাড়ি, কিন্তু চোখদুটো খুব উজ্জ্বল। লোকটাকে দেখে বেশ অবাক হয়ে গেল দুখিরাম। লোকটা যে কখন কোন দিক থেকে এসে তার পাশে বসল, দুখিরাম টেরটিও পায়নি। অবশ্য পাবেই বা কী করে, যা চিন্তায় সে ডুবে আছে!

“বলছিলাম, মশায়ের তো মনে হচ্ছে গঞ্জ থেকে আসা হচ্ছে...” আবার বলল লোকটা।

“হ্যাঁ। তা, মানে আপনি কী করে জানলেন?” খানিক অবাক হয়েই বলল দুখিরাম।

“গঞ্জের দিক থেকে খানিক আগে যে বাসটা আসছিল, তাতেই আপনাকে দেখেছিলুম।”

“কিন্তু আপনাকে তো আমি এর আগে এ দিকে কখনও দেখিনি।”

“তা দেখেননি, তবে আপনার সঙ্গে আজকে আমার বিশেষ একটু প্রয়োজন আছে।”

“আমার সঙ্গে!” অবাকই হল দুখিরাম। বলল, “কিন্তু যা বলার সে তো বাসস্ট্যান্ডেই বলতে পারতেন।”

“সব কথা কি আর পাঁচ জনের সামনে বলা যায়, না বলতে আছে? আপনার সঙ্গে কথা বলার জন্যে আমার একটু নিরিবিলি জায়গার দরকার ছিল।”

দুখিরাম বুঝতে পারল, লোকটা গঞ্জ থেকেই তার পিছু নিয়েছে। ওখানে ওকে জিনিসগুলো কিনতে দেখেছে, তার পর পিছু ধাওয়া করেছে ওর কাছ থেকে সেগুলো হাতানোর জন্যে। সে জন্যে এখন নিরিবিলি জায়গা খুঁজছে। একটু ভয়ই পেয়ে গেল দুখিরাম। তার পরই তার মনে হল, ভয় পাওয়ার মানেই হয় না, কারণ সে জিনিসগুলো তো আর তার কাছে নেই! মনে মনে সাহস সঞ্চয় করে দুখিরাম বলেই ফেলল, “তা হলে যা বলার তাড়াতাড়ি বলে ফেলুন।”

চোখ দুটো সরু করে দুখিরামের দিকে তাকিয়ে বলল লোকটা, “ক্ষতি তো আপনার যা হওয়ার, তা বাসের মধ্যেই হয়ে গেছে। খামোকা ভয় পাচ্ছেন কেন?”

“ক্ষতি! কী ক্ষতির কথা বলছেন বলুন তো!”

“অ্যাই দেখো! নিজের ক্ষতি নিজেই বুঝতে পারছেন না? আপনার প্যান্টের ডান পকেটে মূল্যবান জিনিসগুলোর যে বাক্সটা ছিল, সেটা কি আর যথাস্থানে আছে?” হাতদুটো উল্টে লোকটা বলল।

“আ-আপনি জানলেন কী করে?”

“কী করে আর জানব, ছেনো পকেটমারকে যে স্বচক্ষে দেখলুম আপনার পকেট থেকে মাখনের মতো হাতে মালটা সরিয়ে ফেলতে। মালটা হাপিস করে পরের স্টপেজেই ব্যাটাচ্ছেলে সুড়ুত করে নেমে পড়ল,” মিটমিট করে হেসে বলল লোকটা।

“তার মানে আপনি ওই বাসটাতেই ছিলেন! কিন্তু বাসের মধ্যে যখন আপনি দেখলেন, একটা পকেটমার আমার পকেট থেকে জিনিসটা চুপিচুপি তুলে নিচ্ছে, আপনি কিছু বললেন না!” বেশ রাগত স্বরেই বলল দুখিরাম।

“আপনি নিশিকান্ত সামন্তকে চেনেন?” আচমকা ভারী নিস্পৃহ গলায় বলল লোকটা।

“হচ্ছে একটা ক্ষয়ক্ষতির কথা, এর মধ্যে কোথাকার কোন নিশিকান্ত সামন্ত আসছে কোত্থেকে বলুন তো!” এ বার তেরিয়া হয়ে বলল দুখিরাম।

“আহা চটছেন কেন?” চেনেন কি না বলুন না।”

“নিশিকান্তকে চিনি, আমার ছোটবেলার বন্ধু,” খানিক ভেবে বলল দুখিরাম, “সামন্তকেও চিনি, গঞ্জের আড়তদার। কিন্তু এক সঙ্গে নিশিকান্ত সামন্ত বলে কাউকে চিনি না দাদা। আচ্ছা, আপনি কি পুলিশের লোক?”

“না না, আমি পুলিশ-টুলিশ কিছু নই। পুলিশকে আমার খুব ভয়, জানেন। ওদের হাতে লাঠিসোঁটা থাকে কি না!”

“লাঠি তো অনেকের হাতেই থাকে,” অবাক হয় দুখিরাম।

“ওই হাতেই থাকে, চালানোর আইন নেই। লাঠি কেন, আপনি কাউকে স্রেফ চড়থাপ্পড় মারলেই পুলিশ বলবে আইন নিজের হাতে তুলে নিয়েছেন। কিন্তু পুলিশ নিজে যখন কাউকে পেটায়, সেটা হল আইনমাফিক কাজ। পুলিশের আইনটা কিঞ্চিৎ আলাদা।”

“তা বলেছেন ঠিকই।”

“নিশিকান্ত সেটা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছিল, জানেন। সে প্রায় বিশ-বাইশ বছর আগেকার কথা। নিশিকান্ত বাসে চেপে কোথায় যেন যাচ্ছিল। হঠাৎই বাসের মধ্যে কে এক জন ‘পকেটমার, পকেটমার’ বলে চেঁচিয়ে উঠল, তার পর আরও ক’জন। আর তার পরেই নিশিকান্তর ওপর শুরু হল কিলচড়ের বৃষ্টি। নিশিকান্ত কিছু বোঝার আগেই কিছু লোক বাসটা থামিয়ে সামনের পুলিশ ফাঁড়িতে ওকে জমা করে দিল।”

“ওদের মধ্যে কার পকেট মেরেছিল নিশিকান্ত?”

“সেটা প্রশ্ন নয়। প্রশ্ন হচ্ছে, নিশিকান্ত কারও পকেট মারবে কেন? বকুলতলা গাঁয়ের অবস্থাপন্ন চাষি বলদেব সামন্তর ছেলে নিশিকান্তর মতো একটা সভ্য, ভদ্র, শিক্ষিত যুবক বাসের মধ্যে কারও পকেট মারবে, এ কথা কি মেনে নেওয়া যায়? বাসের মধ্যে এক জনের পকেট থেকে হাজারদুয়েক টাকা হাপিস হয়ে গেছিল ঠিকই, কিন্তু আসল অপরাধীকে ধরতে না পেরে স্রেফ সন্দেহের বশে বাসের লোকগুলো নিশিকান্তকে মারধোর করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিল। পুলিশ অবশ্য তাদের বলেছিল আইন হাতে তুলে নিয়ে নিশিকান্তকে মারধোর করাটা তাদের ঠিক হয়নি। কিন্তু তার পরেই পুলিশ তাকে লকআপে ঢুকিয়ে আর এক দফা ডান্ডাপেটা করেছিল। বুঝতেই পারছেন, সেটা অবশ্যই আইনসঙ্গত ভাবে। তবে স্বাভাবিক ভাবেই পুলিশ তার অপরাধের কোনও প্রমাণ পায়নি। পরে খবর পেয়ে বলদেব সামন্ত আর গাঁয়ের লোকজন এসে নিশিকান্তকে থানা থেকে জামিনে ছাড়িয়ে নিয়ে গেছিল।”

“ছি ছি! একটা নিরীহ লোক খামোকা এই ভাবে মার খেয়ে গেল!”

“নিশিকান্ত তখন আঠাশ বছরের যুবক। পাশের গাঁয়ে তার বিয়ের কথাবার্তা পাকা। সে বিয়েটাও ভেঙে গেল। সেই থেকে নিশিকান্তর মগজটাও এলোমেলো হয়ে গেছিল। কাজকর্মে তার আর মন ছিল না। ভাল করে খাওয়াদাওয়াও করত না। কিছু দিন পরে মদ খাওয়াও ধরেছিল।”

“মদ খাওয়া ধরেছিল!... কেন?”

“আসলে কী জানেন, পাশের গাঁয়ের যে মেয়েটির সঙ্গে ওর বিয়ের কথাবার্তা পাকা হয়েছিল, সেই মেয়েটিকে প্রথম দেখেই ভালবেসে ফেলেছিল নিশিকান্ত। তাকে নিয়ে ঘর বাঁধার স্বপ্নটাও দেখেছিল সে। কিন্তু মেয়েটাকে তো আর এ জীবনে পাওয়া হল না তার, তাই মেয়েটার বিয়ের দিনে সেই দুঃখ ভুলতে জীবনে প্রথম মদের গ্লাসে চুমুক দিয়েছিল সে। সেই শুরু, মদ খাওয়াটা নিশিকান্ত আর ছাড়তে পারেনি। দিনে দিনে মাত্রা আরও বেড়েছিল, বরং কমেনি।”

“নিশিকান্ত অন্য কাউকে বিয়ে করলে তো পারত!”

“ওই মেয়েকে ছাড়া আর কাউকে বিয়ে করার কথা তো সে ভাবেইনি। তা ছাড়া যার গায়ে এক বার পকেটমারের তকমা লেগে গেছে, তাকে মেয়ে দেবেই বা কে? মদ খেয়ে খেয়ে নিশিকান্ত এক দিন মরেই গেল।

“আহা, বেচারা!” দীর্ঘশ্বাস পড়ল দুখিরামের। তার পর যেন চটকা ভেঙে বলল, “কিন্তু দাদা, নিশিকান্ত সামন্তর গপ্পো শুনলে কি আমার ক্ষতিটা পূরণ হয়ে যাবে? আমার যা যাওয়ার, তা তো গেল!”

“সে না-হয় গেল। কিন্তু বলুন তো, আজ খালি হাতে বাড়ি ফিরলে আপনার স্ত্রীকে কী জবাব দেবেন, আর পারুলকেই বা কী বলবেন?”

“পারুলকে আপনি চেনেন?” ভারী অবাক হয়ে বলল দুখিরাম।

“পারুলকে চিনি, তার মা কমলাকে চিনি, আর পারুল যে আপনারও মেয়ে, তাও জানি। আপনি যে আজকে পারুলের বিয়ের গয়না কিনতে গঞ্জে গেছিলেন, সেটাও আমার জানা আছে।”

লোকটার কথা শুনে থম হয়ে বসে রইল দুখিরাম। আর দশ দিন পরে পারুলের বিয়ে। আদরের মেয়েকে বিদায় করার জন্যে বহু কষ্টে এক গাছি সরু সোনার হার আর এক জোড়া কানপাশা গড়াতে পেরেছিল সে, আর জামাইয়ের জন্য একটা সোনার আংটি। বলতে নেই, পাত্রপক্ষের কোনও দাবিদাওয়া ছিল না। সে-ই বড়মুখ করে পাত্রের বাবাকে বলেছিল, “মেয়েকে গা সাজিয়ে গয়না তো দিতে পারব না, তবে একটা সোনার হার আর এক জোড়া কানপাশা আমার মেয়েকে আমি দেব, আর জামাইকে একটা সোনার আংটি।” কিন্তু নিয়তি সেগুলোও কেড়ে নিল তার কাছ থেকে! দীর্ঘশ্বাস পড়ল দুখিরামের।

“কী এত ফোঁসফোঁস করে দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলছেন বলুন তো?” বলে লোকটা নিজের প্যান্টের পকেটে হাত ঢুকিয়ে কিছু বার করে দুখিরামের সামনে মেলে ধরতেই দুখিরাম দেখল, খানিক আগে তার পকেট থেকে গয়নার যে ছোট বাক্সটা হাপিশ হয়ে গেছিল, সেই বাক্সটাই লোকটার হাতে! দুখিরামের সামনে বাক্সটা খুলে ধরে লোকটা বলল, “নিন, মিলিয়ে দেখে নিন আপনার জিনিসগুলো।”

প্রবল বিস্ময় আর আনন্দের আতিশয্যে দুখিরামের মুখ দিয়ে কোনও কথাই বেরোচ্ছিল না। বিস্ফারিত চোখে জিনিসগুলোর দিকে চেয়ে থাকতে থাকতে বলল, “ক্-কিন্তু আপনি ক্-কী ভাবে...”

“এ আর এমন কী কথা। ছেনো আপনার পকেট সাফ করে বাস থেকে নামল, আর আমিও নেমে পড়লুম ওর পেছন পেছন। ছেনোকে আপনার কথা বললুম, পারুলের কথা বললুম। তার পর বুঝিয়েসুজিয়ে বাক্সটা ফেরত চাইলুম। দিতে কি চায়! শেষে বাধ্য হয়ে রুদ্রমূর্তি ধারণ করতে হল, দিলে বাক্স ফেলে চোঁ-চাঁ দৌড়!” বেশ রসিয়ে রসিয়ে বলল লোকটা।

“এই যে বললেন, আপনি পুলিশের লোক নন!” অবাক হয়ে বলল দুখিরাম। ওর বিশ্বাসই হচ্ছিল না, পুলিশ ছাড়া অন্য কেউ চোরাই মাল এত সহজে উদ্ধার করতে পারে।

“আহা, পুলিশের লোক না হলে কি রুদ্রমূর্তি ধরা যায় না? আসলে মারপিটটা আমার ছোটবেলা থেকেই আসে। তা ছাড়া আপনার এত কষ্টের জিনিস, একটা শুভকাজে লাগবে, কথা নেই বার্তা নেই সেটা কেউ অন্যায় ভাবে হাতিয়ে নেবে! নিন মশাই, ধরুন আপনার জিনিস,” বাক্সটা বন্ধ করে দুখিরামের হাতে ধরিয়ে দিল লোকটা।

“আপনাকে কী বলে যে ধন্যবাদ দেব!” কৃতজ্ঞতায় যেন গলে গেল দুখিরাম, “আমার দামি জিনিসগুলো আপনার জন্যেই ফিরে পেলুম।”

“আমাকে ধন্যবাদ দিতে হবে না, বরং মেয়ের বিয়েটা ভাল করে দিন। আপনার স্ত্রী আর কন্যা কি আপনার কাছে কম দামি জিনিস মশাই? পারুলের জন্যে আমার আশীর্বাদ রইল,” কপালে জোড়হাত ঠেকিয়ে বলল লোকটা, “যান, এ বার বাড়ি যান। আপনার স্ত্রী হয়তো আপনার জন্যে ভাত বেড়ে বসে আছেন।”

“আপনিও চলুন না দাদা আমার সঙ্গে। এত বেলা হয়ে গেল, আমার সঙ্গেই না-হয় চাট্টি খেয়ে নেবেন। এই তো, কাছেই আমার বাড়ি,” ইতস্তত করে বলল দুখিরাম।

“জানি, সাতগাছি প্রাইমারি স্কুলের পাশে তো?”

“আপনি আমার বাড়ি চেনেন!”

“তা ঠিক চিনি না। তবে কমলার বিয়েটা ওখানেই হয়েছিল বলে শুনেছিলুম।”

“আচ্ছা, কমলাকে আপনি কী সূত্রে চেনেন?” অনেক ক্ষণ ধরেই প্রশ্নটা করবে বলে ভাবছিল দুখিরাম।

“কমলার বাবা গুরুপদ সাঁপুইয়ের সূত্রে। সাঁপুইমশায়ের সঙ্গে সৌভাগ্যক্রমে আমার এক বার পরিচয় হয়েছিল কি না। ওঁর বাড়িতেও যেতে হয়েছিল... আপনার নিমন্ত্রণের জন্য ধন্যবাদ। কিন্তু আজ তো আমি আপনার সঙ্গে যেতে পারব না, আমার অন্য কাজ রয়েছে যে...” বেদি থেকে ছোট্ট একটা লাফ মেরে নেমে পড়ে বলল লোকটা।

“তা হলে... বলছিলুম কী দাদা... আর ঠিক দশ দিন পরে, সতেরোই অঘ্রান তো আমার মেয়ে পারুলের বিয়ে,” বেদি থেকে নামতে নামতে বলল দুখিরাম, “ওই দিন সন্ধ্যায় আমার বাড়িতে যদি এক বার পায়ের ধুলো দিয়ে আমার মেয়েটাকে আশীর্বাদ করে যান...”

“আচ্ছা, সে দেখা যাবে’খন। পারুলকে তো আমি এখান থেকে আশীর্বাদ করেই দিয়েছি, সেও হল গিয়ে আমার মেয়েরই মতো... আজ তা হলে চলি,” বলে বড় রাস্তার দিকে হনহন করে হাঁটা লাগাল লোকটা। উল্টো দিকে নিজের বাড়ির পানে হাঁটতে হাঁটতে আচমকা দুখিরামের মনে পড়ল, লোকটার নামটাই তো জানা হয়নি। পিছন ফিরে লোকটার দিকে তাকিয়ে চিৎকার করে দুখিরাম বলল, “দাদা শুনছেন? আপনার নামটাই যে জানা হল না।”

হাঁটা থামিয়ে দুখিরামের দিকে ফিরে লোকটা বলল, “আমার নাম নিশিকান্ত সামন্ত। কমলাকে বলবেন, নিশিকান্ত আজও তাকে ভোলেনি।”

দুখিরামের চোখের সামনে আচমকা যেন এক মুঠো বাতাস হয়ে মিলিয়ে গেল লোকটা।

অন্য বিষয়গুলি:

Short story
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy