চোখে কালো চশমা। মাথায় ছাতা। পুলের ধারে হাঁটতে হাঁটতে কখনও কখনও মৃদু স্বরে কথা বলতেন সাঁতারুদের সঙ্গে। তাঁর ‘বেণু ও বীণা’, ‘কুহু ও কেকা’-র মতো কাব্যগ্রন্থ তুমুল জনপ্রিয় হয়। নিঃশব্দে পেরিয়ে গেল সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের ১৪০ তম জন্মদিন। এ বছর তাঁর প্রয়াণেরও শতবর্ষ।
ছান্দসিক: সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত। আধুনিক সাম্যবাদী চেতনার প্রাথমিক আভাস ছিল তাঁর কবিতায়
সময়টা মার্চ মাস, ১৯১৭। হেদুয়ায় সাঁতার ক্লাব শুরু হয়েছে সবে। পরম উৎসাহে সেখানকার সদস্য হয়ে গেলেন এক স্বনামধন্য কবি। বছর ৩৫ বয়স। শব্দ দিয়ে ছন্দ আঁকেন। প্রতিদিন বিকেলে তিনি চলে আসতেন হেদুয়ায়। কিন্তু সাঁতার কাটতে নয়, হেদুয়ার চার পাশে চক্কর দিতে। তাঁর চোখে কালো চশমা। মাথায় ছাতা। ভয়, হিম লেগে যদি শরীর খারাপ হয়ে যায়! তাই শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা সন্ধ্যা নামলেই ছাতা মেলে ধরতেন মাথায়। চোখেও নানা সমস্যা, তাই কালো চশমা। ধীর পায়ে জলের পাশ ধরে হাঁটতেন ছন্দের জাদুকর সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত। কখনও নিচু গলায় দু’-চারটে কথা বলতেন সাঁতারুদের সঙ্গে। তার পর, ভাষাচার্য সুকুমার সেন লিখেছেন, “রাত্রি আটটার পর হেদো নির্জন হয়ে গেলে সত্যেন্দ্রনাথ বেঞ্চিতে বসে থাকতেন। আমি তাঁকে দেখতুম মুগ্ধ দৃষ্টিতে।… শান্ত গম্ভীর, ঈষৎ বিষণ্ণ মূর্তি।”
সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের জন্ম ১৮৮২ খ্রিস্টাব্দের ১২ ফেব্রুয়ারি (মতান্তরে, ১১ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাত, ২৯/৩০ মাঘ, ১২৮৮ বঙ্গাব্দ) নিমতায় মামাবাড়িতে। প্রবল ঝড়ের রাতে জন্ম হয়েছিল বলে তাঁর ডাকনাম ‘ঝড়ি’। ঠাকুরদা অক্ষয়কুমার দত্ত, বাংলা গদ্যের খ্যাতিমান পুরুষ, যাঁর রচনায় বিজ্ঞানচেতনার প্রাথমিক দ্যুতি দেখেছি আমরা। মাত্র চার বছর বয়সে সত্যেন্দ্রনাথ তাঁর ঠাকুরদাকে হারান বটে, তবে অনুমান করা যায়, তাঁর বিজ্ঞানমনস্কতা অনেকটাই উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া। প্রথম প্রকাশিত কাব্য ‘সবিতা’-তে সেই বিজ্ঞানচেতনার চিহ্ন মেলে। মাত্র ৪০ বছরের জীবন সত্যেন্দ্রনাথের। সাহিত্যজীবন বছর বাইশের। প্রথম কবিতার বই ‘সবিতা’ প্রকাশিত হয় ১৯০০ খ্রিস্টাব্দে। সত্যেন্দ্রনাথের বয়স তখন আঠারো। ‘সন্ধিক্ষণ’ তাঁর দ্বিতীয় কবিতা পুস্তিকা। প্রকাশিত হয় ১৯০৫-এ। সমসাময়িক রাজনৈতিক প্রভাব আছে এই কাব্যে। তবে সত্যেন্দ্রনাথের কবিপ্রতিভার উজ্জ্বল বিভা ছড়িয়ে আছে পরের বছর প্রকাশিত ‘বেণু ও বীণা’ বইয়ে। তার পর ‘হসন্তিকা’ (১৯১৭) পর্যন্ত বারোটি উজ্জ্বল কাব্যগ্রন্থ। ১৯২২-এ অকাল প্রয়াণ। মৃত্যুর পর প্রকাশিত হয় ‘বেলা শেষের গান’ ও ‘বিদায় আরতি’। জীবিত অবস্থায় তাঁর ‘কুহু ও কেকা’ (১৯১২)-র তুমুল জনপ্রিয়তা সত্যেন্দ্র দেখে গিয়েছিলেন। ‘পাল্কীর গান’, ‘মেথর’, ‘শূদ্র’ প্রভৃতি তাঁর বহুখ্যাত কবিতাগুলি এই বইয়েই স্থান পেয়েছে।
সত্যেন্দ্রনাথ অনুবাদও করেছেন বহু বিদেশি কবিতা। শুধু কবিতা নয়, জোয়ানা লাইয়ের ‘সোল অব আ স্লেভ’-এর অনুবাদ করেছেন ‘জন্মদুঃখী’ নামে এবং সে কালে প্রচলিত অনেকের সঙ্গে লিখেছেন বারোয়ারি উপন্যাসও। শেষজীবনে প্রবাসী পত্রিকায় ‘ডঙ্কানিশান’ নামে একটি ঐতিহাসিক উপন্যাস লেখা শুরু করেন, তবে তা শেষ করে যেতে পারেননি। উল্লেখ করতে হয় ‘চীনের ধূপ’, ‘ছন্দসরস্বতী’ র মতো নিবন্ধ, ‘রঙ্গমল্লী’ (চারটি ছোট অনূদিত নাটকের সঙ্কলন), ‘ধূপের ধোঁয়ায়’ নামে নাটক এবং আরও অনেক রচনা। ব্যক্তিজীবনে শান্তস্বভাব ঝড়ির লেখার গতি ছিল ঝড়ের মতোই। প্রকাশিত বই বা সাময়িকপত্রের পাতায় সে সবের চিহ্ন আছে।
১৮৯৯-এ সত্যেন্দ্রনাথ সেন্ট্রাল কলেজিয়েট স্কুল থেকে এনট্রান্স পাস করে জেনারেল অ্যাসেমব্লিজ় ইনস্টিটিউশনে (বর্তমান স্কটিশ চার্চ কলেজ) এফ এ ক্লাসে ভর্তি হন। এফ এ পাশ করলেও স্নাতক হওয়া হয়নি তাঁর। বাবা রজনীনাথের ইচ্ছে ছিল সত্যেন্দ্র ডাক্তারি পড়ুন। প্রথমে রাজি হয়েও শেষ পর্যন্ত মত বদলান সত্যেন্দ্র। ভর্তি হন বি এ ক্লাসে। বি এ পড়াকালীন ১৯০২ সালে তাঁর বাবার মৃত্যু হয়। আর ১৯০৩ সালে একুশ বছরের সত্যেন্দ্রনাথের বিয়ে হয় বাবার ঠিক করে রাখা পাত্রী, ঢাকা নয়াবাড়ির ঈশানচন্দ্র ও গিরিবালা বসুর মেয়ে কনকলতার সঙ্গে। কেমন ছিল তাঁদের দাম্পত্যজীবন? কেউ বলেন, কবি তাঁকে যোগ্য মর্যাদা দেননি, কেউ বলেন অন্য কথা। সত্যেন্দ্রনাথের অকালমৃত্যুর পর তিনি অনেক দিন জীবিত ছিলেন। ১৯৬৭ সালের ডিসেম্বরে মৃত্যু হয় কনকলতার।
মামা কালীচরণ মিত্র ছিলেন ‘হিতৈষী’ পত্রিকার সম্পাদক। সত্যেন্দ্রনাথের প্রথম লেখা প্রকাশিত হয় এখানেই, মাত্র ১৪ বছর বয়সে। ১৮৯৬ সালে বাবার সঙ্গে মধুপুর ভ্রমণে যান সত্যেন্দ্র। যাওয়ার আগে বালক সত্যেন্দ্র তাঁর মামার কাছে আবদার করেন, সংবাদপত্রে তাঁর নাম ছেপে দিতে হবে। ছাপানো হরফে নিজের নাম দেখতে চান। মামা প্রাণাধিক প্রিয় ভাগ্নেকে বললেন, নাম ছাপা যেতে পারে, যদি সত্যেন্দ্র মধুপুর থেকে কোনও সংবাদ লিখে পাঠান। লেখা ভাল হলে তা বেরোবে স্বনামেই। তাই হল। ‘হিতৈষী’ পত্রিকায় বেরোল স্বনামে প্রকাশিত সত্যেন্দ্রর প্রথম রচনা। বাঙালির শৈশব জুড়ে আজও অমলিন ‘ছিপখান তিন-দাঁড় / তিনজন মাল্লা,’ ‘ঝর্ণা! ঝর্ণা! সুন্দরী ঝর্ণা’, ‘জগৎ জুড়িয়া এক জাতি আছে…’, ‘পাল্কীর গান’ এবং নিশ্চিত ভাবে ‘কোন দেশেতে তরুলতা/ সকল দেশের চাইতে শ্যামল’ কিংবা, ‘মধুর চেয়ে আছে মধুর /সে এই আমার দেশের মাটি’— এমন অসংখ্য সত্যেন্দ্র-পঙ্ক্তি। এক দিকে দেশাত্মবোধ, সময়চেতনা, অন্য দিকে নিবিড় প্রকৃতিপ্রেম সত্যেন্দ্রর কবিতাকে উজ্জ্বল করে তুলেছে।
১৯০৫-এর বঙ্গভঙ্গ থেকে ১৯২১ সালের অসহযোগ পর্যন্ত জাতীয় জীবনের কর্মকাণ্ড তাঁর কবিতায় ছাপ ফেলেছে। রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে গভীর পরিচিতি ছিল তাঁর। কবিপুত্র রথীন্দ্রনাথ ছিলেন তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু। রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে এক বার কাশ্মীর ভ্রমণেও সঙ্গী হয়েছিলেন। কবিগুরু তাঁকে ‘ছন্দের রাজা’, ‘ছন্দের যাদুকর’ বলে প্রশংসা করেছেন। সত্যেন্দ্রর একাধিক কবিতা ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন রবীন্দ্রনাথ। অন্য দিকে কবিগুরুর কাছে সত্যেন্দ্রর আবদার ছিল একটি ইংরেজি কবিতা, যা তিনি অনুবাদ করবেন। সে সাধ অপূর্ণ থাকেনি। ‘মণি-মঞ্জুষা’য় প্রকাশিত ‘একটি গান’ রবীন্দ্রনাথের ইংরেজি রচনার সত্যেন্দ্র-কৃত অনুবাদ। রবীন্দ্রপ্রশস্তিতে আজীবন মগ্ন ছিলেন তিনি। তাঁর অকালপ্রয়াণের পর রবীন্দ্রনাথের লেখা কবিতাটির কথা আমরা জানি। শোনা যায়, রবীন্দ্র-বিদ্বেষীদের অভাগা বলে মনে করতেন সত্যেন্দ্রনাথ। হয়তো সেই কারণেই ‘রবীন্দ্র-অনুসারী কবি’ নামক ছোট বৃত্তে ফেলেই বরাবর তাঁর কাব্যপ্রতিভার আংশিক বিচার হয়েছে। যিনি ‘সংশয়’-এর মতো কবিতায় লেখেন ‘স্থির-নিশ্চিত মৃত্যুর মতো আসিছে ঘিরে,/ নিশ্বাস হরি’ দৃষ্টি আবরি’ ঘন তিমিরে;/ কোথা সাদা পাল? কই তরী তব? হে কাণ্ডারী!’ তাঁকে কি একমাত্রিক রবীন্দ্রানুসারী তকমায় দেগে দেওয়া যায়?
অথচ, বুদ্ধদেব বসুর মনে হয়েছে, বাংলা কবিতায় শুধু কর্ণসংযোগ অর্থাৎ ছন্দের দোলা ছাড়া আর কিছুই তিনি দিতে পারেননি— “তাঁর হাতে কবিতা হয়ে উঠল লেখা-লেখা খেলা বা ছন্দঘটিত ব্যায়াম।” সত্যেন্দ্র-কবিতার নিবিড় পাঠক জানেন, আধুনিক কবিতায় সাম্যবাদী চেতনার প্রাথমিক আভাস ছিল তাঁর কবিতায়। আমাদের কানে বাজে তাঁর ‘দেবতার স্থান’ কবিতায় ক্লান্ত ভিখারির কথা। পূজারি ব্রাহ্মণ যখন মন্দিরের দিকে পা রেখে ঘুমনোর অপরাধে তাকে তিরস্কার করে, তখন ভিখারি বলে, ‘পা লয়ে তবে কোথা আমি যাই,/ এ জগতে সকলি দেবতার ঠাঁই!’ ‘সাম্যসাম’ কবিতায় তিনি লিখেছেন—
‘এ বিপুল ভবে কে এসেছে কবে উপবীত ধরি গলে?/ পশুর অধম অসুর দম্ভে মানুষেরে তবু দলে। … পুরাণ-বেদিতে উঠিছে দীপিয়া অভিনব হোমশিখা,/ এস কে পরিবে দীপ্ত ললাটে সাম্য-হোমের টিকা!… সমান হউক মানুষের মন, সমান অভিপ্রায়,/ মানুষের মত, মানুষের পথ, এক
হোক পুনরায়’— সর্বহারার এই বন্দনা সত্যেন্দ্রনাথের নিজের স্বর। পরে নজরুল ইসলামের
কবিতায় যার প্রভাব দেখা যায়। এই কবিতাতেই সত্যেন্দ্রনাথ নারীর অর্ধেক আকাশের অধিকার চিনিয়ে দেন— ‘কে বলে ছোট সে পুরুষের কাছে / কোন্ মূঢ় অবনীতে?’— হয়তো নজর এড়িয়ে গিয়েছে অনেকের!
আমাদের মনে পড়বে, সাহিত্যজীবনে বার বার সমালোচনার মুখে পড়া রবীন্দ্রনাথের কথা। তিনি ১৩১৯ বঙ্গাব্দের ২ মাঘ সত্যেন্দ্রনাথকে একটি চিঠিতে লিখেছেন— “আমাদের দেশের রসের কারবার বড় ছোট। নিতান্ত মুদির দোকানের ব্যাপার। ছোট ছোট শালপাতার ঠোঙার বন্দোবস্ত। সমালোচনার ভঙ্গী দেখলেই সেটা বোঝা যায়— নিতান্ত গেঁয়ো রকমের।” একেবারে ছোটবেলায় নবগোপাল মিত্র কর্তৃক নিজের কবিতার বিরূপ সমালোচনা রবীন্দ্রনাথ চিরকাল মনে রেখেছিলেন। ৫০ বছর বয়সে ‘জীবনস্মৃতি’ লিখতে গিয়ে সে প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, “আমার দৃঢ় বিশ্বাস হইল, নবগোপালবাবু সমজদার লোক নহেন। তাঁহাকে আর কখনো কবিতা শুনাই নাই। তাহার পরে আমার বয়স অনেক হইয়াছে, কিন্তু কে সমজদার, কে নয়, তাহা পরখ করিবার প্রণালীর বিশেষ পরিবর্তন হইয়াছে বলিয়া মনে হয় না।” স্নেহের সত্যেন্দ্রকে পূর্বোক্ত চিঠিতে আরও লিখেছিলেন, “তাই তো আমি অনেকদিন থেকে তোমাকে বলচি, মাঝে মাঝে সমালোচনার ক্ষেত্রে নাবো না কেন?… যে কবি সেই ত দ্রষ্টা এবং অন্যকে দেখিয়ে দেবার ভার ত তারই।”
মিতভাষী সত্যেন্দ্রনাথের আক্ষেপ ছিল, “আমাদের দেশে খবরের কাগজের অভাব নেই, কিন্তু সমঝদার সমালোচক কই? অবশ্য, সবাই যে Matthew Arnold হবে কি Walter Pater হবে তা আশা করা যায় না; Creative Criticism করবার মত প্রতিভা চিরকালই দুর্লভ আছে এবং থাকবে। কিন্তু যেটুকু উচ্চশিক্ষিত লোকদের কাছে স্বভাবতঃ আশা করা যেতে পারে তাই বা কই?”
শরীর তেমন মজবুত ছিল না। জটিল চোখের রোগে ক্ষীণ হয়ে আসছিল দৃষ্টি। বুঝতে পারছিলেন, বড় ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন। ১৯২২-এর জুন মাসে জ্বরে পড়লেন। সঙ্গে পৃষ্ঠব্রণ। ভয়ঙ্কর কষ্ট। ক’দিন চলল তীব্র লড়াই। কিন্তু দুর্বল শরীর ধকল নিতে পারল না। ২৫ জুন (১০ আষাঢ় ১৩২৯, রাত আড়াইটে) প্রয়াত হলেন সত্যেন্দ্রনাথ। ২৭ জুন ১৯২২ আনন্দবাজার পত্রিকায় বেরোল— “বঙ্গবাণীর পূজা-মন্দিরের এক উজ্জ্বল প্রদীপ মহাকালের ফুৎকারে নিভিয়া গেল। এ যুগের গীতি-কবিতার একজন সর্ব্বশ্রেষ্ঠ কবি, কবি সত্যেন্দ্রনাথ আমাদিগকে ছাড়িয়া চলিয়া গিয়াছেন।… কবির এই অকালমৃত্যু বাঙ্গালা সাহিত্যের দুর্ভাগ্য— বাঙ্গালী জাতির দুর্ভাগ্য!”
মিতভাষী কবি চলে গেলেন বুকের ভেতর গভীর অভিমান নিয়ে, হয়তো সে কারণেই ‘বিদায়’ কবিতায় লিখলেন— “এ চির প্রয়াণ-বার্তা, অতি সাধারণ;/… মিথ্যা প্রায়শ্চিত্ত আর মিথ্যা চান্দ্রায়ণ… / সফরে চলেছে ওই আত্মারাম বুড়া, / তার লাগি মিছে অশ্রু, মিছে হরিবোল!’
তথ্যঋণ: সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা—ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত— অলোক রায়, সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের শ্রেষ্ঠ কবিতা— অলোক রায় (সম্পাদিত)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy