নয়াদিল্লি, ৬ মার্চ: আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণার পর শুল্ক ত্রাস চলছে। তা নিয়ে সাউথ ব্লক সরকারি ভাবে নীরব। তবে ব্রিটেনে সফররত বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে দেখা গিয়েছে, ভারতের শিল্পমহলে যাতে আতঙ্ক না ছড়ায়, তার ভাষ্য রচনা করতে। তিনি চতুর্দেশীয় অক্ষ ‘কোয়াড’-এর প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ট্রাম্প আসলে ‘বহুপাক্ষিকতার’ দিকে এগোচ্ছেন, যা নাকি ভারতের স্বার্থের জন্য ‘সুখবর’। কংগ্রেস অবশ্য ট্রাম্পের হুমকির পর ভারতের ‘নীরবতা’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
লন্ডনে বুধবার একটি থিঙ্ক ট্যাঙ্কের সম্মেলনে জয়শঙ্কর বলেন, “আমরা দেখতে পাচ্ছি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট এবং তাঁর প্রশাসন বহুমেরু বিশ্বের দিকে এগিয়ে চলেছে, যা ভারতের স্বার্থের সঙ্গে মানানসই।” চড়া শুল্ক নিয়ে প্রশ্ন কিছুটা এড়িয়ে গিয়ে তিনি বলেন, “বাণিজ্যমন্ত্রী এই মুহূর্তে সে দেশে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছেন। এর আগে গত মাসে প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং ট্রাম্প কথা বলেছেন। সেই কথার পরিণতিতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে একমত হওয়া গিয়েছে।”
মোদী সরকারকে এ ব্যাপারে আক্রমণ করছে কংগ্রেস। দলের নেতা রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা বলেছেন, “কেন এ রকম একটা হুঁশিয়ারি দেওয়ার পরেও মোদী সরকার চুপ করে রয়েছে? ট্রাম্পের ঘোষণার পর চব্বিশ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। কোনও বক্তব্য নেই সাউথ ব্লকের। অথচ পাল্টা চড়া সুদের কারণে ৭০০ কোটি ডলার লোকসানের আশঙ্কা রয়েছে।”
বাণিজ্য মন্ত্রক সূত্রের বক্তব্য, পীযূষের সঙ্গে আমেরিকার বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ার এবং বাণিজ্যসচিব হাওয়ার্ড লুটনিক-এর বৈঠক হয়ে গিয়েছে। তাঁরা আমেরিকা থেকে আমদানি করা টেসলা গাড়িতে শূন্য শতাংশ কর চাইছেন। মুম্বইয়ে শোরুমের সঙ্গে টেসলা সংস্থার চুক্তি হয়ে গিয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। এখন আমেরিকার গাড়িতে ১১০ শতাংশ শুল্ক চাপায় ভারত। বাকি সব পণ্য যেগুলি আমেরিকা থেকে যায়, সেখানেও হয় শূন্য অথবা একেবারে যৎসামান্য কর চাইছেন গ্রিয়াররা।