ছবি: পিয়ালী বালা।
পূর্বানুবৃত্তি: শ্যামলেন্দু আজকাল কিছু অদ্ভুত জিনিস দেখতে পান। দেখেন কোনও ছায়া তাঁর সঙ্গে সঙ্গে ঘুরছে কিংবা কিছু মেয়ে তাঁর সঙ্গে স্নান করছে। সে কথা তিনি বলেন বৌমা কস্তুরীকে। কস্তুরী তাঁকে বলেন মিশুকের সঙ্গে ফেসবুকে বন্ধুত্ব হওয়ার কথা। ফেসবুক ব্যাপারটা বিশদে না বুঝলেও উৎসাহ দেন শ্যামলেন্দু। ও দিকে মেহুলি ভাবে, সাহিনা নামে এক বান্ধবীর ফিমেল কন্ডোম রাখতে গিয়ে কী ঝামেলাতেই না পড়ে গেল সে! সব কিছুর জন্য তার মা-কেই মনে মনে দোষী করে সে। অন্য দিকে কস্তুরীর কষ্ট বাড়ে যখনই মনে হয়, তার মেয়ে তার থেকে অনেক দূরে চলে গেছে।
রাঙামাটির মেয়ে
এপিসোড – ৩০২
দৃশ্য: ৬ + ৬এ (রি ডু)
সময়: সকাল
অ্যাকশন এরিয়া: ভিলেজ হাট
গ্রামের হাটের লোকজন, ফেরিওয়ালা, দোকানপাট, একটা টি-স্টল, একটা গরুর গাড়ির চাকা (দাঁড় করানো)
রিখি, মানবেন্দ্র, পুরুষোত্তম + যোগিনী, সারথি, বাউল।
ট্রানজ়িশন: দিনে ঝড় ওঠার শট
সিন: হাট জমে গেছে। এক্সট্রারা এ দিক-ও দিক হাঁটাচলা করবে। বাউল গান গাইতে গাইতে চলে যাচ্ছে হাটের মাঝখান দিয়ে। লং শট। জ়ুম ইন। ট্রলি নামবে রিখির মাথা বরাবর। বাউলগান ডিমিনিশিং। ও এস। চায়ের দোকান ফেড আউট। রিখি কপালের উপর হাত রেখে বলছে...
দেবদা যে কী করে না, আর পারা যায় না। দু’দিন পরের শটটা আজ এগিয়ে নিয়ে এসেছে। আর মুখে বলছে পনেরো মিনিট। পনেরো মিনিটে এত বড় ডায়লগ মুখস্থ হয়? অবশ্য আজকের দিনটা বেশ মেঘলা। দেবদা বলেছে, আজ সেই ঝড়ের দৃশ্য নেওয়া হবে। মেঘলা দিনের সঙ্গে যাবে ব্যাপারটা। একটু আগেও মিশুক ঘুরে দেখে এসেছে, চারটে চিমায়া লাগানো হয়েছে, চারটে পেডেস্টাল ফ্যান আর প্রচুর শুকনো পাতা, ছেঁড়া কাগজ মজুত। ঝড়ের দৃশ্যে এই সব ফ্যান চালিয়ে সামনে পাতা আর কাগজের টুকরোগুলো ধরবে এক্সট্রা হ্যান্ডস।
আজ থেকে যখন বছরছয়েক আগে মিশুক এই প্রফেশনে আসে, তখন এই সব শব্দের চক্রব্যূহে ভারী ফাঁপরে পড়ত। পরে ধীরে ধীরে সবই শিখল। চিমায়া হল চারচৌকো পর্দা, যেগুলো একটা ডান্ডার সাহায্যে দাঁড় করানো থাকে। লাইটের আলো সেই পর্দাগুলোয় রিফ্লেক্টেড হয়ে অভিনেতাদের মুখে এসে পড়ে। এ ছাড়া আছে বিভিন্ন শট, তাদের কত স্টাইল, কত বিচিত্র নাম! ট্রানজ়িশন হল এক প্রাকৃতিক দৃশ্য থেকে আর এক প্রাকৃতিক দৃশ্যে যাওয়া। ৩০১ এপিসোডটা শেষ হয়েছিল রাতে। ৩০২-এর পাঁচ নম্বর দৃশ্যে ছিল সূর্যোদয়। সেখান থেকে ছ’নম্বর আসতে সকাল হয়ে গেছে বোঝাতে ট্রানজ়িশন শব্দটা ইউজ় করা হয়।
আজকের সিনটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আজ দেখা হবে সারথির সঙ্গে রিখির। সারথি হল সেই মেল-ক্যারেক্টার যার সঙ্গে রিখির রোম্যান্স হবে। এ দিকে গ্রামের ছেলে বিনোদের সঙ্গে রিখির একটা ছোটবেলা থেকে সম্পর্ক আছে। দু’বাড়ির লোক জানে রিখির সঙ্গে বিনোদের বিয়ে, আর কয়েক মাসের মধ্যেই। এর মধ্যে গ্রামের সম্পন্ন জমিদার বরদাচরণের একমাত্র ছেলে আসছে বাইরে থেকে। কবে আসবে কেউ জানে না। বরদাচরণ আর তার স্ত্রী জানে তাদের একমাত্র পুত্র সন্তান সারথি মারা গেছে রক-ক্লাইম্বিং করতে গিয়ে। এখানেই টুইস্ট। সেই ছেলে ফিরে আসবে। এ দিকে অকালবৈশাখী। গ্রামের হাটে এসেছে রিখি আর তার বাবা মানবেন্দ্র। ঝড় উঠল। হাটে বিকিকিনি করতে আসা সব পসরা উল্টেপাল্টে চিত্তির! সেই ঝড়ের মধ্যে সারথির প্রবেশ, লং-শটে।
এখন ‘রাঙামাটির মেয়ে’র টিআরপি তুঙ্গে। টেলিকাস্টের মধ্যে মধ্যে প্রোমো শট দেখানো হচ্ছে। দর্শকের উত্তেজনা তুঙ্গে। প্রোমো শটে দেখা যাচ্ছে রিখি একটা ছাউনির নীচে আশ্রয় নিয়েছে, চুল, পরনের শাড়ি এলোমেলো। সে চোখ তীক্ষ্ণ করে বাবাকে খুঁজছে। এমন সময় ধুলো আর পাতা-ওড়া দৃশ্যের মাঝেই সারথির প্রবেশ। সারথির মুখ দেখা যাচ্ছে অস্পষ্ট করে। কে এই যুবক? লাস্ট প্রোমো শটেই দর্শকের আগ্রহ জমে আছে। এখন সেটা ভাঙিয়ে খাচ্ছে চ্যানেল। আজ সেই শুট। টেলিকাস্ট হবে আরও দিন সাতেক পর। ‘রাঙামাটির মেয়ে’র ব্যাঙ্কিং ভাল।
সারথির চরিত্রে একটা নতুন ছেলে। তবে একটা স্ক্রিন শেয়ার করে মিশুক বুঝেছে, লেগে থাকলে ছেলেটা অচিরেই নাম করবে। ভীষণ সিরিয়াসলি অ্যাক্টিং করে। এন জি প্রায় নেই-ই। চমকে গিয়েছিল মিশুক। এর আগেও প্রচুর নভিস ছেলেমেয়ের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করে দেখেছে, অনেকেই ধেড়িয়েছে শট দিতে গিয়ে। আসলে পর্দার সামনে বসে অভিনয় দেখা আর অত লোকজনের সামনে, ক্যামেরার সামনে, বিশেষ করে জোরালো এবং চড়া আলোর সামনে মেকআপ নিয়ে নামা অন্য জিনিস!
ছেলেটার নাম অর্ক ঘোষাল। বেশ হ্যান্ডসাম। আগে অভিনয় করেনি। তবে দেশি, বিদেশি সিনেমা নিয়ে ওর লেখাপড়া প্রচুর। মিশুক দু’দিন কথা বলেই বুঝেছে। অর্ক এসআরএফটিআই থেকে পাশ করা ছেলে। তা ছাড়া এডিটিং নিয়ে পড়তে দিল্লি গিয়েছিল। ইচ্ছে ছিল বলিউড মুভি এডিটর হওয়ার। হয়ে গেল টালিগঞ্জের সিরিয়াল অভিনেতা। দেবদার সঙ্গে কী একটা রিলেশনশিপ আছে। দূর সম্পর্কের মাসি না কাকার ছেলে। তবে এ ছেলে টিকলে হয়। প্রথম দিনের আলাপেই জানিয়ে দিয়েছে তার লক্ষ্য টলিউড নয়, অ্যাক্টিংও নয়। সে মুম্বইয়ে গিয়ে প্রফেশনাল মুভি এডিটর হতে চায়।
সারথির চরিত্র করার কথা ছিল বাদশা বোসের। পাকাপাকি কথাবার্তা হয়নি, তবে বাদশাকেই নেবে দেবদা এমনটাই কানাঘুষো শুনেছিল, আর তাই শুনে মিশুক খুব উত্তেজিতও ছিল। বাদশা বোসকে তার দারুণ লাগে। ওর সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করতে পারবে ভেবেই ঘুম আসেনি এক রাত। গোটা টিম তেতে ছিল। বাদশা বোস এই প্রথম বাংলা সিরিয়ালে। জাস্ট জমে যাবে। সারথির পক্ষে বয়সটা হয়তো একটু বেশি, তবে ভদ্রলোক সব চরিত্রে মানিয়ে যান। এর মধ্যে ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন একটা। লাস্ট মুভিটা সোনার ভল্লুক পেয়েছে। লাস্ট মোমেন্টে বাদশা বোসকে বাদ দিয়ে অর্ক ঘোষালকে সিলেক্ট করায় মিশুক খুব কষ্ট পেয়েছিল। শুধু মিশুক? দেবপ্রিয়া, স্নিতি, ঐন্দ্রিলা, অহনা, পারিজাত, সোমাশ্রী, পিয়াংকি, মনিজিঞ্জির, প্রত্যুষা— কে নয়? কে এই অর্ক ঘোষাল! মনে মনে গালাগালিও দিয়েছিল সবাই মিলে।
প্রথম দিন একটা বিতৃষ্ণা বোধ কাজ করছিল। কোথায় বাদশা বোস আর কোথায়... কিন্তু দিনের শেষে ক্যামেরাম্যান বিজয়দা, এডিটর মুখার্জিবাবু, সাউন্ড-রেকর্ডার বিঘ্নেশ-সহ ইউনিটের সবাই খুব খুশি। শুধু দেবদা মুচকি হেসে সবার দিকে তাকিয়ে রি-অ্যাকশন দেখছিল। ঐন্দ্রিলা কানের পাশে ফিসফিস করে বলেছিল, “ফোর্থ সিনে তোকেও বিট দিল মিশু?”
রেগে যায়নি মিশুক, অবাক চোখে তাকিয়ে উত্তর দিয়েছিল, “সেটা বড় কথা নয়, ছেলেটা এত ভাল লাইট নিতে শিখল কোত্থেকে?”
সেই অর্ক ঘোষালের ফার্স্ট এন্ট্রি সিনটা আজকে। পরের চারটে দৃশ্য আগে শুট হয়ে গেছে। আসলে দেবদা হয়তো ঝালিয়ে নিতে চাইছিলেন। অনেক নতুনের ক্ষেত্রে এটা করে থাকেন দেবদা। এন্ট্রি সিনটা একদম ন্যাচারাল হওয়া চাই। তাই নতুন অভিনেতা এলে তাকে দিয়ে প্রথম দৃশ্য করান না। এটা অনেকেই করে থাকেন। কিন্তু পরের সিন শুট করার সঙ্গে সঙ্গে ইউনিটের সবাই জেনে গেছে অর্ক ঘোষাল কী জিনিস। তাই আর দেরি না করে মেঘলা দিন দেখে এন্ট্রি-শট আজ এনে ফেলা হয়েছে। কিন্তু মিশুককে মাত করা অত সহজ নয়। চোয়াল শক্ত হয় মিশুকের। দর্শক তো প্রথম থেকেই দেখবে সারথিকে। তারা কী করে জানবে, রিখি সেনের সঙ্গে সারথি দেবের আসলে এটা চতুর্থ দৃশ্য! অতএব ঢেলে দিতে হবে আজ। মিশুক প্রাণপণে স্ক্রিপ্ট মুখস্থ করে, সঙ্গে সঙ্গে মনে মনে সাজিয়ে নেয় পর পর ইমোশনগুলো।
আগে প্রচুর সময় লাগত। এখন অভ্যেস হয়ে গেছে। শুধু এক বার ডায়লগ-লাইনারটা ধরে নিতে পারলেই হল। এখানে অবশ্য নিয়ম আছে। স্ক্রিপ্ট অনুযায়ী হুবহু দাঁড়ি-কমা মিলিয়ে বলতে হবে তার কোনও মাথার দিব্যি নেই। শুধু লাইনের শুরু আর শেষটা ঠিকঠাক বলতে হবে। নইলে পরের জন ধরতে পারবে না। মোটামুটি মাথার ভিতরে ব্যাপার ঢুকে যেতেই মিশুক স্বস্তি বোধ করল। এখন ঠিকঠাক ইমোশন পাঞ্চ করে ডেলিভারি। মিশুক এক বার ফোনটা তুলে হোয়াটসঅ্যাপে সব্যসাচীর মেসেজটা পড়ল। সব্য আজ দেখা করতে চেয়েছে। কী নাকি খুব দরকারি। সব্যর আবার দরকারি! গত মাসেও ‘দারুণ প্রয়োজন’ বলে স্টুডিয়োর বাইরে চকলেট নিয়ে অপেক্ষা করছিল।
সব্য তার জীবনে এসেছে বছরখানেক হল। এমনি মিশুক সে শুধু নামেই, প্র্যাক্টিক্যালি সে শামুকের মতো গুটিয়ে থাকা মেয়ে। আগে কৌশিক নামে একটা ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল, কেটে যাওয়ার পরে আরও গুটিয়ে নিয়েছে নিজেকে। ইন্ডাস্ট্রিতে তার প্রচুর চেনা, কিন্তু বন্ধু বলে কেউ নেই। সবাই সহকর্মী। সে কোনও পার্টিতে যায় না। তার রিলেশনের সবটাই কেরিয়ারের স্বার্থে। কোনও রিলেটিভের বাড়ি যেতেও তার প্রবল অনীহা। মামা-কাকা-দাদা শ্রেণিরা খোঁটা দিতে ছাড়ে না। রাঙাকাকিমা তো প্রায়ই বলে, “আমাদের মিশুক এখন সেলিব্রিটি। আমাদের সঙ্গে কথা আর বলবে কেন? এক দিন এই মিশুকই আমার কাছ থেকে রোজ একটা করে বিস্কুট চেয়ে খেত। আর এখন?” মিশুক শোনে, মৃদু হাসে, কোনও জবাব দেয় না। সে অর্থে বন্ধু বলতে একমাত্র হিয়ান্তিকা। ওর স্কুলের বন্ধু। একমাত্র টিকে থাকা বন্ধু। আর কেউ ছিল না। সব্য এসে তাকে ভাসিয়ে নিয়ে গেল। সব বাধা, সব মনখারাপ মুছিয়ে দিল। খানিকটা হলেও এই প্রথম কোনও অপরিচিতের সামনে মুখ খুলল সে। হিয়ান্তিকা বলেছিল, “কৌশিকের পর এই প্রথম তোর কাছে কারও গল্প শুনলাম। ছেলেটার দম আছে। সামলে সামলে।”
সব্যকে মেসেজ করল সে, “ফের চকলেট, না কি হিন্দুস্তান পার্কের ফুচকা?” সেন্ড করে মেসেঞ্জার খুলল সে। অনেক মেসেজ। আরে! বিজিতদা! আগামী পরশু তার ইন্টারভিউ নেবে বিজিতদার চ্যানেল। গ্রেট! সন্ধে সাতটার মধ্যে শোভাবাজারে আসতে হবে। সঙ্গে ঠিকানা। অবশ্য ঠিকানার দরকার ছিল না। এই চ্যানেলের অ্যাড্রেসটা চেনে না এমন কেউ নেই তাদের প্রফেশনে। বিজিতদাকে বিগ থামস আপ আর সঙ্গে মেনি থ্যাঙ্কস জানিয়ে পরের মেসেজের দিকে চোখ গেল। কস্তুরী রায়। কে কস্তুরী রায়? ওহ! মনে পড়েছে। সেই ভদ্রমহিলা যার ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট অ্যাকসেপ্ট করেছে কিছু দিন আগে? কী লিখেছে? মিশুক পড়ল। খুব ছোট্ট মেসেজ, “তোমার বয়স কত? ছোট বলে তুমি বললাম।”
অবাক লাগল মিশুকের। এমনিতে সে অপরিচিতের ফ্রেন্ডশিপ চায় না। তেমন কেউ চ্যানেল ধরে করে এলে ‘কেমন আছ?’, ‘কী করছ?’ ‘তোমার অভিনয় ভাল লাগে’ ইত্যাদি বোরিং কথাবার্তা চালাতে চায়। উত্তর দেয় না মিশুক। আমি কী খেলাম জেনে তোমার লাভ কী?
প্রোগ্রাম অ্যারেঞ্জার মলয়ের উঁকি, “রিখি সেন, সিন সিক্স।”
মিশুক বলল, “চল, আসছি। ঝিঙ্কি কোথায়?”
মিশুক আবার স্ক্রিপ্টটায় চোখ বুলিয়ে নিল। আজ অর্ক ঘোষাল, তোমায় দেখে নিচ্ছি। বিজিতদার মেসেজ পাওয়ায় মনটা বেশ খুশি-খুশি। কস্তুরী রায়ের মেসেজটার দিকে চোখ গেল। তার বয়স জেনে ভদ্রমহিলার কী লাভ? অবাক হল মিশুক।
তখনই ঝিঙ্কি ঘরে ঢুকল। কোনও পিএনপিসি-র মশলা মুখে নিয়ে এসেছে বুঝতে পেরেই মিশুক বলল, “কথা নয়, আমার চুলটা দেখ।”
ঝিঙ্কির মুখটা চুন হয়ে গেল। ঝিঙ্কি যত ক্ষণ চুল নিয়ে পড়ল, মিশুক কস্তুরী রায়ের প্রোফাইল ঘুরে এল। নিঃসন্দেহে তার বিগ ফ্যান সন্দেহ নেই। তবে কি ভদ্রমহিলা অভিনয় করতে চান? একটা সুযোগ খুঁজছেন? আসলে অনেকেই ভাবে সিরিয়ালের লাইফটা ভারী মজার। এক বার এক মাচার প্রোগ্রামে গিয়ে এক ভদ্রলোক বলেছিল, “আমার মাইয়াডারে এট্টু ঢুকাইয়া দ্যান না দিদি।”
কোথায় ঢুকিয়ে দেব! কথাটা শুনে রাগ হয়েছিল মিশুকের। এরা ভাবেটা কী! আরে, এখানেও পড়তে হয়, শিখতে হয়, পরিশ্রম করতে হয়, নিজস্ব প্রতিভা থাকা চাই। খালি ‘ঢুকতে’ চাইলেই হয় না। তা সে যত রূপসীই হোক। মনে আছে, দুটো কড়া কথা শুনিয়ে দিয়েছিল ভদ্রলোককে।
ক্রমশ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy