ছবি: প্রসেনজিৎ নাথ
ওই শুরু হয়েছে। রণজয়ের চোখ পিটপিট। সন্তর্পণে বিছানা ছেড়ে ওঠার প্রস্তুতি নেয় আত্রেয়ী। তড়িঘড়ি, তবে পড়িমড়ি নয়। আওয়াজ হলেই কেঁচে যাবে। রণজয়কে না জাগিয়ে ওঠা মুশকিল। কিন্তু উঠতে হবে। আজই সুযোগ। রণো বলে দিয়েছে বার করতেই হবে।
হুঁঃ। বললেই যেন হয়ে গেল। এ ভাবে কিছু বার করা যায়!
স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে না কী বিড়বিড় করছে লোকটা। শব্দগুলো এতটাই অস্ফুট যে অস্পষ্ট কোনও ছবিও তৈরি হয় না তা দিয়ে। মুখ থেকে কথাগুলো বার হচ্ছে, যেন জোর করে পুঁটলির সরু ফুটো দিয়ে পুচপুচ করে কেউ মেহেন্দি বার করছে।
তবে আত্রেয়ীর তো নেহাত কম দিন হল না। আকাশের তলায় পাঁচ। ছাদের তলায় পনেরো। খোলসা করে বললে, ময়দানে বসে লেখক রণজয়কে প্রেমিক রণজয়ে রূপান্তর করতেই করতেই পাঁচ বছর। বিয়ের পরে হাঁসফাঁস করে বাকি পনেরোটা গ্রীষ্ম। অতএব রণজয়ের হাঁচিটা ভালই চেনে। আর চেনে বলেই জানে, লেখককে তাঁর সৃষ্টিতে খোঁজার কোনও মানেই হয় না। গাঁজাখুরির ডিপো। আসল লোকটিকে চেনে দুনিয়ায় এক জনই। লেখকের গোপন ঘরের সমস্ত চাবির সোল প্রোপ্রাইটার এক জনই। লেখকের স্ত্রী।
তিনি চাবিটি তুলে রাখেন আলমারির মাথায়। যে আলমারির মাথায় হাত দেওয়ার মতো উচ্চতা লেখক কোনও দিনই অর্জন করে উঠতে পারেন না। মেলা দেখতে যাওয়ার সময় যেমন অভিভাবকেরা বাচ্চাদের দু-চার টাকা হাতে দেন, তেমনি সেই চাবি লেখকের হাতে আসে নেহাতই কালেভদ্রে। শর্তসাপেক্ষে।
রণজয়ের বহু বেচাল আর বেলাইনের কথা জানে আত্রেয়ী। নেহাত কিছু বলে না। দরকারও হয় না। আত্রেয়ীর সামান্য ইঙ্গিতেই রণজয় বুঝতে পারে, হাটে হাঁড়ি ভেঙে যাবে। বিপন্ন হবে তার সযত্নলালিত ইমেজ। তাই দাঁতে-জিভে সদ্ভাব নিয়ে কেটে যাচ্ছে বছরের পর বছর।
আত্রেয়ী দেখেছে, লেখকদের অনেকে আবার বেশি স্মার্ট। কিন্তু রণজয় সেটা নয়। একটু পুরনো ধাঁচের। ধুতিপাঞ্জাবি টাইপ। খানিকটা আতা কিংবা ভেজা পাঁউরুটির মতো। থ্যাসথ্যাসে। তা ছাড়া একটু-আধটু মুচমুচে ব্যাপার থাকলেও আত্রেয়ীও গায়ে মাখবে না। কারণ, লেখালিখি করে রণজয়ের খানিক নামযশ হোক, এটা ও বরাবর মন থেকেই চায়।
কিন্তু নামযশের তো অনেক স্তর আছে! সে দিক দিয়ে ধরতে গেলে রণজয় এখন কিন্ডারগার্টেন। মানে, ওই একটু লেখেটেখে। দু’একটা কাগজপত্র বা মাসিক পত্রপত্রিকায় ছাপা হয়ে বেরোয় ন’মাসে ছ’মাসে। এর পরে যদি কোনও দিন অনেক লেখকের সঙ্গে গুঁতোগুঁতি করে লেখক হয়ও, গল্পকার, ঔপন্যাসিক হওয়ার দুর্গম গিরি কান্তার মরু পেরিয়ে কথাসাহিত্যিক হতে হতে আঙুলে গেঁটে বাত ধরে যাবে মনে হয়। তত দিন কী আর… সে যাগ্গে। নিজের মতো করে চেষ্টা করছে করুক। আর কিছু তো পারেও না লোকটা।
সংসারে করার মধ্যে তো শুধু দোকান-বাজারটুকুই। তা-ও একবারে পেরে ওঠে না। না না, ভার বইতে খুবই পারে। ফেলটু অন্য সাবজেক্টে। মানে, আলু এল তো পটল এল না। পটল এল তো ঝিঙে বাদ পড়ল।
সে দিন আত্রেয়ী দেখল, বাজার থেকে ফিরে থলে নামিয়ে বাইরে চলে গেল রণজয়। আবার ফিরে এল, যেন পা গুনে গুনে। এসে দাঁড়াল। ঠিক সেই জায়গায়, যেখানে দাঁড়িয়ে বাজার যাওয়ার আগে আত্রেয়ীর কাছে শুনে নিচ্ছিল কী কী আনতে হবে। একই ভঙ্গিমায়। আবার বাইরে গেল। ফিরেও এল। একই জায়গায়, একই ভঙ্গিমায়। যেন ডিরেক্টরের নির্দেশে পরের পর রি-টেক।
আড়চোখে নজর রাখছিল আত্রেয়ী। ঝট করে বাজারের ব্যাগ উজাড় করে বুঝে ফেলেছিল ব্যাপারটা কী! কেন বারবার ঘটনার পুনর্নির্মাণ। তৃতীয় বার বাড়ির বাইরে যাওয়ার উপক্রম করতেই তার হাতে চায়ের কাপটা ধরিয়ে দিয়ে আত্রেয়ী গম্ভীর গলায় বলেছিল, ‘‘নুন।’’
বিগলিত আত্মসমর্পণ মাখা হাসি টুপ করে ঝরে পড়ে রণজয়ের গলায়, ‘‘কী করে বুঝলে?’’ ব্যস্ত আত্রেয়ী সংক্ষিপ্ত, ‘‘তোমার পেটে ডুবুরি নামিয়ে।’’
তা এমন ভুলো লোক লিখবে কী করে! প্লট তো ভুলভুলাইয়ায় লুকোচুরি খেলছে।
অফিস থেকে ফিরে সে দিন বলল, হাওড়া স্টেশনের সাবওয়েতে নাকি ওর প্লট হারিয়ে গিয়েছে। এই ধরনের বায়বীয় কথা শুনলে আত্রেয়ীর মনে হয়, মাথা তো নয়, যেন শ্রীহরিকোটা। প্রবল আগুন জ্বালিয়ে রকেট উৎক্ষেপণ হচ্ছে। ঝাঁঝিয়ে ওঠে
‘‘সাবওয়েতে প্লট হারিয়ে গিয়েছে মানে? এ কী তোমার মানিব্যাগ, যে পকেটমার তুলে নেবে? না তোমার চশমা, ভুল করে অমুকবাবুর বাড়িতে ফেলে আসবে?’’
‘‘আরে না না। আসলে মাথায় একটা প্লট ঘাই মারছিল। বোধহয় একটু অন্যমনস্কও ছিলাম। হঠাৎ একটা ঝাঁকাওয়ালা দিল রামধাক্কা। মাথাটা এমন ঝনঝনিয়ে উঠল, সমস্ত চিন্তার জাল একেবারে ছিন্নভিন্ন। কী বলব তোমায়, মাথা বিলকুল ফাঁকা হয়ে গেল। হাজার চেষ্টা করেও মনে করতে পারছি না। আর এক বার বেরিয়ে গেলে বোঝোই তো… খুব মুশকিল।’’
‘‘তা হলে আর কী? আর এক জন ঝাঁকাওয়ালাকে বলো তোমার মাথায় ধাক্কা মারতে। বলা যায় না, সিনেমায় স্মৃতিশক্তি ফিরে আসার মতো যদি তোমার প্লট ফিরে আসে!’’
আসলে ওটাই টার্নিং পয়েন্ট। ঝাঁকাওয়ালার ধাক্কা খাওয়ার পর থেকেই বলতে গেলে ব্যাপারটা শুরু। প্রথম যে দিন ঘটল ব্যাপারটা, ভোররাতে ধাক্কা দিয়ে আত্রেয়ী জাগিয়েছিল রণজয়কে।
‘‘কী গো কী বিড়বিড় করছ? স্বপ্ন দেখছিলে না কি! ওঠো। ওই দেখো, ওরম ন্যাকান্যাকা মুখে তাকাচ্ছ কেন?’’
ধড়মড় করে উঠে বসে খানিক ধাতস্থ হয় রণজয়। তার পর মাথা চুলকোয়, ‘‘একটা প্লট। জানো, হলটা কী!’’
‘‘বোঝা গিয়েছে। আর বলতে হবে না। ও সব পরে হবে। এখন বাথরুম থেকে ঘুরে এস। ভাল করে জল খেয়ে শুয়ে পড়ো। এখন তুমি বকতে শুরু করলে আমার আর ঘুম আসবে না। কাল সকালে প্লটের পাটালি ভেঙো’খন।’’
পর দিন সকালে চা খেতে খেতে খবরের কাগজ পড়ছিল রণজয়। তখন কথাটা তুলল আত্রেয়ীই।
‘‘কাল রাতে কী প্লটের কথা বলছিলে!’’
‘‘না, কিচ্ছু মনে নেই। সকালে উঠে আমার স্বপ্নের ব্যাপারটা মনে করার চেষ্টা করেছিলাম। কিছুতেই মনে এল না। হারিয়ে গিয়েছে। চিরতরে।’’
এমন স্বপ্ন মাঝে মাঝেই আসতে লাগল। কিন্তু সকালে ভ্যানিশ। আর এই ভাবেই বেশ কিছু প্লট হাতছাড়া হয়ে গিয়েছে। সেই প্লটে অন্য লেখকরা গল্প তুলে ফেলেছেন। সেই গল্প পড়ে রণজয়ের মনে হয়েছে, আরে, এ তো আমার প্লট! জবরদখল হয়ে গিয়েছে। স্বপ্নের তো কপিরাইট হয় না। অবশ্য পরে নিজের কাছেই সেই আফসোসটা জুতা আবিষ্কারের বুড়ো মন্ত্রীর আক্ষেপের মতো মনে হয়েছে। আমারও ছিল মনে, কেমনে ব্যাটা পেরেছে সেটা জানতে। নিজেকে ধিক্কার দেয় রণজয়। ধুস্স! কপিই নেই তো কপিরাইট।
ব্রিফলেস ব্যারিস্টার, প্লটলেস রাইটার এবং ধম্মের ষাঁড়, এরা সমগোত্রীয়। যতই ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে, ইনিয়ে-বিনিয়ে এটা ওটা বলো না কেন, প্লটের জোর না থাকলে গাড়ি এগোয় না। অথচ মাথা কুটে মরলেও ইদানীং মাথায় নতুন কোনও প্লট আসছে না।
রণজয় ঠিক করল, প্লট যখন জাগ্রত আবস্থায় ধরা দিচ্ছে না, তখন স্বপ্নেই সই। কিন্তু মুশকিল হল, স্বপ্নের গোলমেলে ধোঁয়াশা থেকে সেই প্লট উদ্ধার করবে কে? সে তো তখন স্বপ্ন দেখবে। তার পক্ষে তো টুকে রাখা সম্ভব নয়। অন্তত স্বপ্ন দেখতে দেখতে যে অস্ফুট শব্দ বেরিয়ে আসে, সেগুলো ধরে রাখতে পারলেও প্লটের একটা রূপরেখা পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু সেই উড়ন্ত শব্দ ধরবে কে?
অগত্যা গিন্নিং শরণং গচ্ছামি। আত্রেয়ীকেই বলল সজাগ থাকতে। রাতে স্বপ্নের কোনও লক্ষণ তার মধ্যে দেখতে পেলেই সে যেন মোবাইলের ভয়েস রেকর্ডার অন করে। মোবাইল তাদের শোওয়ার ঘরের বেডসাইড টেবিলেই থাকে। হাত বাড়িয়ে শুধু এই কাজটা করলেই আগামী দিনে একের পর এক বই বেরনো তার আটকায় কে! কোনটা কাকে উৎসর্গ করা হবে সেটা পর্যন্ত ছকে ফেলা হয়ে গিয়েছে। শুধু গল্পের প্লটগুলো এক বার…
ক্ষমাঘেন্না করে পরপর কয়েক দিন আর রাত সজাগ রইল আত্রেয়ী। কিন্তু স্বপ্নের বুড়বুড়ি পর্যন্ত উঠল না। মাঝখান থেকে সারারাত আড়ষ্ট হয়ে ঘুমোনোর ফলে দিনের বেলা হঠাৎ হঠাৎ প্রবল হাই উঠতে লাগল। কাজে অনীহা, ক্ষুধামান্দ্য। শুধু মেজাজ উঠল চরমে। সাংসারিক খিটিমিটি গেল বেড়ে। ছোটখাটো ব্যাপারেই মেজাজের ধরতাইটা ছিটকে যেতে লাগল আত্রেয়ীর হাত থেকে। রণজয়ও ও দিকে হতাশ। কিন্তু স্বপ্নের দেখা নেই। প্লট তো দূরস্থান।
ভাবল, এক বার ডাক্তারের পরামর্শ নিলে কেমন হয়?
স্বপ্নজ সেন মনস্তাত্ত্বিক হবেন ভেবেই বোধহয় বাবা-মা নামটা অমন দিয়েছিলেন। রণজয়ের পেশা, সামাজিক অবস্থান, গল্প লেখার শখ ইত্যাদি ঠিকুজিকোষ্ঠী নিয়ে বললেন, এ তো পেট এঁটে যাওয়া নয়, যে ল্যাক্সেটিভ দিয়ে লুজ় করে দেব। আর আমি স্বপ্নের ফেরিওয়ালা নই যে ইচ্ছেমতো ঝোলা থেকে আপনাকে স্বপ্ন বেছে দেব। আমি এক জন ডাক্তার। তবে…’’
‘‘তবে?’’
একসঙ্গে বলে ওঠে রণজয় আর আত্রেয়ী। ওদের দু’জনের মুখেই আশার সলতেটা কে যেন উসকে দেয়। ডাক্তার সেন আত্রেয়ীর দিকে তাকিয়ে বললেন,
‘‘না না। আমি বলছি অন্য কথা। কী ভাবে বুঝবেন উনি স্বপ্ন দেখছেন। যদি দেখেন চোখ পিটপিট করছে, বুঝবেন উনি ‘রেম স্লিপে’ রয়েছেন। মানে খোলসা করে বললে,
দ্রুত চোখের মুভমেন্ট। ওই রেম স্লিপেই স্বপ্নের যাতায়াত। যখন দেখবেন সারা শরীর স্থির, বুঝবেন— সন্ধিক্ষণ সমাগত। আপনারা দশটায় ঘুমোন তো! মানে ধরুন রাত দু’টো আর আর ভোররাতে পাঁচটা-টাঁচটার দিকে ওর স্বপ্ন দেখার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। অবশ্য যদি আদৌ দেখেন। স্বপ্ন দেখাবার কোনও ওষুধ এখনও পর্যন্ত আবিষ্কার হয়নি। অতএব স্বপ্নটা কোঁৎ পেড়ে ওঁকেই দেখতে হবে।’’
কথাগুলোয় রণজয়ের মনে কোনও ভাবান্তর দেখা গেল না। আত্রেয়ীরও যে খুব মনে ধরল তা নয়। কারণ, রাতদুপুরে এই বয়সে হাপিত্যেশ করে ও রকম মুখের দিকে তাকিয়ে থাকা যায় না কি! কখন বাবু স্বপ্ন দেখবেন! নিজের ঘুমটুম নেই না কি!
সে দিন সন্ধ্যায় দু’এক জন লেখক বন্ধুর সঙ্গে জমিয়ে আড্ডা দিয়েছিল রণজয়। সঙ্গে ছিল তেলেভাজা মুড়ির ঢালাও ব্যবস্থা। কথাটা উঠল তখনই। স্বপ্ন ডিকোড করা বা প্লট নিষ্কাশন যা-ই হোক না কেন! অনিকেত বলল, ‘‘এই যে ধর গৌতম বুদ্ধের জন্মের আগে তার মা স্বপ্নে একটা সাদা হাতি দেখলেন। প্রশ্ন হল, কী করে বোঝা গেল সেটা মহামানব আসার সিগন্যাল?’’ আলোচনা হল আপেক্ষিকতাবাদ আবিষ্কারের আগে আইনস্টাইনের পাহাড় থেকে পড়ে যাওয়ার স্বপ্ন নিয়েও। পড়তে পড়তে নাকি তাঁর মনে হল তিনি আলোর গতিতে পড়ছেন আর সেই সময় তার পাশের তারাগুলো কেমন যেন বদলে যেতে লাগল, মানে টাইম অ্যান্ড স্পেসের সত্তা গেল বদলে...
সেই রাতেই রণজয়ের স্বপ্নে ঘোঁতঘোঁত শব্দে এল একটা গোলাপি শুয়োর। কী মুশকিল! তার মুখে আড়াআড়ি ধরা একটা সাদা রঙের কলম। আরে! এ তো রণজয়ের কলম। সাইজটা এত বড় হল কী করে! কলমটাকে বুনো শুয়োরের দাঁতের মতো দেখাচ্ছে। পেটটা অস্বাভাবিক ফোলা। প্লটে ভরা পিগিব্যাঙ্ক যেন!
রণজয় কলমের মুখ দিয়ে ফালাফালা করে ফেলল শুয়োরের পেট। দেখল, ভিতরে গিজগিজ করছে কাগজের বল। দুমড়ে মুচড়ে থাকা সেই কাগজের বলগুলো মেলে ধরতেই এক-একটা ছবি। প্রতিটাই খুব চেনা। ছ’বছর বয়সে জীবনের প্রথম দৌড় প্রতিযোগিতায় হেরে গিয়ে সিঁড়ির তলায় তার কান্না, ক্লাস নাইনে প্রেম নিবেদন করতে গিয়ে পলিদির বেমক্কা চড়, বিকেসি’র টিউশনের টাকা মেরে দিয়ে রেস্তরাঁয় চিকেন তন্দুরি, মায়ের বাতের ওষুধ বাজারে আসছে না বলে সেই টাকায় মদ গেলা, অফিসের মুখার্জিকে টাইট দিতে ওপরওয়ালার কাছে ওর নামে মিথ্যা লাগানো...
রণজয় জানে, দোমড়ানো মোচড়ানো প্রতিটা কাগজের বলেই জীবনের নানা গলিঘুঁজি এক-একটা প্লট হয়ে আছে। যা লিখতে ইচ্ছে করলেও কোনও দিন ও লিখে উঠতে পারেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy