Women's Day Special: 'A Thursday' to 'Delhi Crime' – movies, series to watch on special day dgtl
Women's Day Special
Women's Day Special: এক মুঠো ছবি, সিরিজে ‘নারী দি বস’! তালিকায় কী কী?
৩৬৫ দিনই নারী দিবস। এই একটি দিন ‘নারী দি বস’! ঠিক যেন জন্মদিনের মতো। প্রতি দিন ঘুম ভাঙা মানেই নতুন জন্ম। তার পরেও একটি বিশেষ দিন জন্মদিন।
নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০২২ ১০:২৩
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১০৮
৩৬৫ দিন নারী দিবস। এই একটি দিন ‘নারী দি বস’! ঠিক যেন জন্মদিনের মতো। প্রতি দিন ঘুম ভাঙা মানেই নতুন জন্ম। তার পরেও একটি বিশেষ দিন জন্মদিন। নারীত্বের বিশেষ দিন উদযাপনে ভেবেছেন কিছু? এই একটি দিন নিজের জন্য সময় বার করে দেখে নিতেই পারেন এক সে বড়কর এক ছায়াছবি বা সিরিজ---
০২০৮
আ থার্সডে: ইয়ামি গৌতম অভিনীত ছায়াছবি 'আ থার্সডে' এক সাধারণ মানুষের গল্প বলে। যে ১৬ জন শিশুকে বন্দি করে নিজের উদ্দেশ্য হাসিল করতে চায়। ছবির একটি দৃশ্য চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে সমাজ এখনও নারীর অত্যধিক আবেগকে প্রশ্রয় দেয় না। গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণে তার মতামত গ্রাহ্য করে না। সেই নারী যত উঁচু পদেই থাকুক।
০৩০৮
শেরনি: আস্থা টিকুর কাহিনী নিয়ে তৈরি অমিত মাসুরকরের ছবি শেরনি। মুখ্য আকর্ষণ বিদ্যা বালন। বিদ্যা আইএফএস (ইন্ডিয়ান ফরেস্ট সার্ভিস) অফিসার। যিনি একাধারে বনের হিংস্র পশুর রক্ষাকর্ত্রী। আবার পুরুষ সহকর্মীদের নৃশংস চেহারাকে দিনের আলোয় নিয়ে আসার কাণ্ডারী। যাতে স্পষ্ট হয়ে ওঠে কী ভাবে তাঁর হাত থেকে কাজ কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন তাঁরা। কী ভাবে পুরুষ সহকর্মীরা বারংবার তাঁর কর্মদক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাঁকে নিরুৎসাহিত করেন ইত্যাদি।
০৪০৮
রশ্মি রকেট: রশ্মি এক ছোট শহরের মেয়ে। সামাজিক বাধা অতিক্রম করে এক সময়ে সে জাতীয় স্তরের ক্রীড়াবিদ হয়ে ওঠে। রশ্মি যখন প্রতিষ্ঠিত, তখনই তার লিঙ্গ পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সত্য যাচাইয়ে তাকে পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে বাধ্য করা হয়। তার শারীরিক গঠন তথাকথিত নারীসুলভ হিসেবে গণ্য না হতেই তাকে 'পুরুষ' তকমা দেওয়া হয়। সঙ্গে সঙ্গে অখ্যাতি ঘিরে ধরে তাকে। রশ্মি কি পারবে এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়তে? আকাশ খুরানা পরিচালিত এই ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তাপসী পান্নু। এ ছাড়াও আছেন প্রিয়াংশু পাইনুলি এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
০৫০৮
ক্রিমিনাল জাস্টিস—বিহাইন্ড ক্লোজড ডোরস: যা কিছু নিষিদ্ধ, তাই-ই সতত কৌতূহলের। অনেক সময়েই সমাজের মঙ্গলসাধনে বহু নিষিদ্ধ ঘটনা বা অপরাধ প্রকাশ্যে আনা হয় না। আদালতে বা বিচারকের বিশেষ কক্ষে বন্ধ দরজার ওপারে তার বিচার। তেমনই এক কাহিনি এই সিরিজটি। যেখানে অনুরাধা চন্দ্রের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন কীর্তি কুলহারি। যাঁর স্বামীর চরিত্রে যিশু সেনগুপ্ত। যিশু ওরফে বিক্রম দুঁদে আইনজীবী। এ ছাড়াও আছেন পঙ্কজ ত্রিপাঠী, দীপ্তি নাভাল, মিতা বশিষ্ঠ্য।
০৬০৮
ভরম: সিরিজে প্রধান চরিত্র শক্তি পান্ড্য ওরফে শ্রুতি হরিহরণ। এক অল্পবয়সী, সৎ মহিলা পুলিশ অফিসার। তাঁর দায়িত্বে একটি গোটা মহিলা থানা। শক্তি এক প্রভাবশালী রাজনীতিকের ঘনিষ্ঠ সহযোগীর খুনের তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছেন। এবং তিনি সেই দায়িত্ব সততার সঙ্গে পালন করতে গিয়ে সমস্ত ঝুঁকি নিতে তৈরি। সিরিজের শুরু থেকে শেষ শক্তি। মহিলা পুলিশ অফিসারের ব্যক্তিজীবন এবং পেশাজীবন কি তার কাজে বিঘ্ন ঘটায়? কী ভাবে সামলায় সে সব কিছু? জানতে গেলে দেখতে হবে এই সিরিজটি।
০৭০৮
দিল্লি ক্রাইম: নির্ভয়া মামলা এই সিরিজের পটভূমিকায়। পুরস্কারপ্রাপ্ত সিরিজটি দেখিয়েছে কী ভাবে চাইলেই প্রশাসন সব কিছু করে উঠতে পারে না। সিরিজে দুর্বল প্রশাসনিক পরিকাঠামো, নারীপাচার চক্র, জনতার রোষ উপেক্ষা করে অবশেষে ন্যায় ছিনিয়ে এনেছেন দুই মহিলা পুলিশ অফিসার ডিসিপি বর্তিকা চতুর্বেদী (শেফালি শাহ) এবং তাঁর সহকারী নীতি সিংহ (রসিকা দুগ্গাল)।
০৮০৮
থাপ্পড়: ঘরে ঘরে এখনও নারী নির্যাতিত। সেখানে একটি থাপ্পড় তো কোনও বিষয়ই নয় পুরুষশাসিত সমাজের চোখে। গভীর ভাবে দেখলে সত্যিই বিষয়টি এতই সহজ? নারীর সম্মান তাতে বিন্দুমাত্র নষ্ট হয় না? ঠিক একই ভাবে যদি কোনও পুরুষের গালে নারী সবার সামনে সপাটে চড় কষায়? তা হলে কী হবে? ছবিতে এই প্রশ্নই তুলেছেন তাপসী পান্নু। অনুভব সিংহের ২০২০-র ছবিটি এখনও সমান প্রাসঙ্গিক। একটি থাপ্পড় নারী-পুরুষের সম্পর্ককে তলানিতে পৌঁছে দিতে যথেষ্ট, বলেছেন পরিচালক।