মৃত্যুর ও পারের জগৎটা কেমন— এই প্রশ্ন অতি প্রাচীন কাল থেকে মানুষকে ভাবিয়েছে। এই ভাবনা থেকেই জন্ম নিয়েছে পরলোকের ধারণা। প্রিয়জন বিয়োগের পরে মানুষ ভাবতে চেয়েছে, তারা কোথাও না কোথাও রয়েছেই। ইহজগৎ থেকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে গিয়েছে ক্রমাগত। জন্ম হয়েছে প্ল্যানচেট বা ওই ধরনের ক্রিয়ার। কিন্তু সে সবের নেপথ্যে কোনও বৈজ্ঞানিক সত্য আজ পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি। কার্য-কারণ সম্পর্কের ভিত্তিতে ব্যাখ্যা করা যায়নি পরলোকের অস্তিত্বকে। কিন্তু মজার ব্যাপার, দিকপাল এক বিজ্ঞানী তথা আবিষ্কারকই এক সময়ে চেয়েছিলেন পরলোকের সঙ্গে ইহলোকের সংযোগ স্থাপনের যন্ত্র আবিষ্কার করতে। কথাটা কল্পবিজ্ঞান-ফ্যান্টাসির মতো শোনালেও এমনটা কিন্তু সত্যিই ঘটেছিল।
সত্যজিৎ রায়ের কলমে প্রোফেসর শঙ্কু আবিষ্কার করেছিলেন ‘নিও-স্পেকট্রোস্কোপ’ নামের এক যন্ত্র, যা দিয়ে বিদেহী আত্মা বা সোজা বাংলায় ‘ভূত’ দেখা সম্ভব হত। কৌতূহল জাগে, শঙ্কুর এই আবিষ্কারের নেপথ্যে কি কাজ করেছিল আমেরিকান আবিষ্কারক টমাস আলভা এডিসনের ‘স্পিরিট ফোন’-এর ভাবনা? এডিসন এমন এক যন্ত্র তৈরি করতে চেয়েছিলেন, যার দ্বারা পরলোকগত ‘আত্মা’র সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হবে।