The Allahabad High Court said that even if a husband is unemployed, he must provide sustenance for his ex-wife dgtl
Allahabad High Court
চাকরিরতা প্রাক্তন স্ত্রীকে খোরপোশ দিতেই হবে! বেকার যুবককে শ্রমিকের কাজ নিতে পরামর্শ আদালতের
স্বামী বেকার। তা সত্ত্বেও বিবাহবিচ্ছেদের পর স্ত্রীর খরচ তাঁকেই জোগাতে হবে। একটি মামলায় এমনটাই পর্যবেক্ষণ ইলাহাবাদ হাই কোর্টের।
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতাশেষ আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২৪ ১৩:৩২
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৫
বিবাহবিচ্ছেদের পরেও স্ত্রীর ভরণপোষণের দায়িত্ব প্রাক্তন স্বামীর। তাই বেকার হলেও যে ভাবেই হোক জোগাড় করতে হবে খরচ। একটি মামলায় জানাল ইলাহাবাদ হাই কোর্ট।
০২১৫
স্বামী বেকার। তা সত্ত্বেও বিবাহবিচ্ছেদের পর স্ত্রীর খরচ তাঁকে জোগাতেই হবে। একটি মামলায় এমনটাই পর্যবেক্ষণ ইলাহাবাদ হাই কোর্টের।
০৩১৫
যে করেই হোক, স্ত্রীর ভরণপোষণের খরচ জোগাড় করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ওই যুবককে। কারণ, বিচ্ছেদের পরেও স্ত্রীর খরচ বহন করা প্রত্যেক স্বামীর কর্তব্য, মনে করে আদালত।
০৪১৫
বিচ্ছেদের পর স্ত্রীর খরচ বহন করতে পারবেন না বলে আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন যুবক। পারিবারিক আদালতে তাঁর আবেদন খারিজ হয়ে যায়।
০৫১৫
আইন অনুযায়ী স্ত্রীর ভরণপোষণ বাবদ নির্দিষ্ট মাসিক খরচ দিতে বলা হয় তাঁকে। পারিবারিক আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে যুবক ইলাহাবাদ হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন।
০৬১৫
বিচারপতি রেণু আগরওয়ালের বেঞ্চে মামলাটি ওঠে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, বিবাহবিচ্ছেদের পর স্ত্রীর ভরণপোষণের খরচ জোগানো স্বামীর কর্তব্যের মধ্যে পড়ে।
০৭১৫
তিনি সেই কর্তব্য কোনও অজুহাতেই এড়িয়ে যেতে পারেন না। স্বামী বেকার হলেও স্ত্রীর খরচ জোগানোর জন্যই তাঁকে রোজগার করতে হবে।
০৮১৫
রোজগারের জন্য যুবককে পরামর্শও দিয়েছে আদালত। বিচারপতি জানিয়েছেন, এক জন অদক্ষ শ্রমিক হিসাবে কাজ করেও যুবক দিনে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা রোজগার করার ক্ষমতা রাখেন।
০৯১৫
সেই কারণেই স্ত্রীর ভরণপোষণের বন্দোবস্ত তাঁকে করতে হবে। স্ত্রীকে মাসে দু’হাজার টাকা করে দিতে হবে যুবককে, নির্দেশ আদালতের।
১০১৫
জানা গিয়েছে, ওই দম্পতির বিয়ে হয়েছিল ২০১৫ সালে। তার পরের বছরেই ঘর ছেড়ে চলে যান মহিলা।
১১১৫
স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে তিনি এফআইআর করেছিলেন। অভিযোগ, তাঁর কাছ থেকে পণের টাকা আদায়ের জন্য চাপ দিতেন শ্বশুরবাড়ির সদস্যেরা। চলত শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন।
১২১৫
স্বামীর ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসার পর মহিলা শিক্ষিকা হিসাবে একটি স্কুলে যোগ দেন। সেখান থেকে মাসে ১০ হাজার টাকা রোজগার করেন তিনি।
১৩১৫
এই যুক্তি দেখিয়েই যুবক স্ত্রীর ভরণপোষণ জোগাতে পারবেন না বলে আদালতে যান। যুবক জানান, তিনি শারীরিক ভাবে অসুস্থ, চিকিৎসা চলছে।
১৪১৫
তাঁর নিজের বাবা-মায়ের দায়িত্বও তাঁরই কাঁধে। ভাড়াবাড়ির খরচও তাঁকেই জোগাড় করতে হয় বলে জানান যুবক।
১৫১৫
কিন্তু আদালত তাঁর আবেদন গ্রাহ্য করেনি। স্ত্রীর মাসিক রোজগারের কোনও প্রামাণ্য নথিও আদালতে দেখাতে পারেননি ওই যুবক।