আগের দিনই আন্দোলনকারীরা বলেছিলেন, ‘‘যদি বেঁচে থাকি আবার ফিরে আসব।’’ শুক্রবার তাঁরা এলেনও। তবে ১৪৪ ধারার কথা মাথায় রেখে, ছোট ছোট দলে ভেঙে। কোনও দল থামল সল্টলেকের করুণাময়ীর বাসস্ট্যান্ডে। কেউ মেট্রো স্টেশনে। ছোট একটি দল এসে থামল এপিসি ভবনের সামনেও। যেখানে গত চার দিন ধরে অনশন আন্দোলন চলছিল, ঠিক সেখানেই।
চাকরিপ্রার্থীরা অবশ্য সেই শর্ত মানতে চাননি। তাঁরা সরাসরি জানিয়েছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই ২০১৪ সালে প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগের যোগ্যতা নির্ণায়ক পরীক্ষা ‘টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট’ (টেট) পাশ করেছেন। তার পর দু’বার ইন্টারভিউও দিয়েছেন। কিন্তু তাঁদের হাতে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি। তাঁরা প্রশ্ন তোলেন, এর পরও আবার কেন তাঁদের ইন্টারভিউ দিতে হবে!
এর পরই হাই কোর্ট রাজ্যকে নির্দেশ দেয় আন্দোলনস্থলে পুলিশ মোতায়েন করার। যাতে আন্দোলনকারীদের বাধা পেরিয়ে পর্ষদে ঢুকতে অসুবিধা না হয় কর্মীদের। রাজ্য বলেছিল, তারা ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে। কোর্ট সে ব্যাপারে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট না করলেও জানিয়ে দেয়, ‘আপনারা বলছেন তাই লিখে দিচ্ছি।’ এই রায়ের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অনশনস্থল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় চাকরিপ্রার্থী আন্দোলনকারীদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy