Spine chilling pictures of Hathras Stampede case, several feared dead dgtl
Hathras Stampede Incident
শুধু লাশ আর লাশ! আবার শিউরে ওঠার মতো ঘটনা হাথরসে, এলাকার খণ্ডচিত্র
জানা গিয়েছে, হাথরসের মুঘলাগড়ি গ্রামে একটি সৎসঙ্গের আয়োজন করা হয়েছিল স্থানীয় উদ্যোগে। সভা শেষে বহু মানুষ একসঙ্গে বেরোনোর চেষ্টা করলে হুড়োহুড়ির সৃষ্টি হয়। মনে করা হচ্ছে, তাতেই এই দুর্ঘটনা।
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতাশেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪ ১৯:১৮
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১২০
উত্তরপ্রদেশের হাথরসের কথা মনে আছে? এক দলিত কিশোরীকে গণধর্ষণ এবং মৃত্যুর পর রাতারাতি তাঁর দেহ সৎকারের অভিযোগ উঠেছিল পুলিশের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনা গোটা দেশে আলোড়ন ফেলেছিল। এ বার সেই হাথরসেই পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটল।
০২২০
জানা গিয়েছে, হাথরসের মুঘলাগড়ি গ্রামে একটি সৎসঙ্গের আয়োজন করা হয়েছিল স্থানীয় উদ্যোগে। সেই সভায় হাজির হয়েছিলেন কয়েক হাজার মানুষ।
০৩২০
আলিগড় রেঞ্জের আইজি শলভ মাথুর জানিয়েছেন, প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, খুব ছোট জায়গায় এই সৎসঙ্গের আয়োজন করা হয়েছিল। বহু মানুষের ভিড় ছিল সেখানে। মনে করা হচ্ছে, তাতেই হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছিল পুণ্যার্থীদের মধ্যে।
০৪২০
তবে কী ভাবে সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেল এবং এই পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটল, তা পুরোপুরি স্পষ্ট নয়।
০৫২০
হাথরসের জেলাশাসক আশিসকুমার জানিয়েছেন, অন্ততপক্ষে ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে স্থানীয় সূত্রের দাবি, মৃতের সংখ্যা শতাধিক।
০৬২০
মঙ্গলবার আয়োজন করা হয়েছিল সৎসঙ্গের। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এই প্রার্থনাসভা ঘিরে উন্মাদনা ছিল তুঙ্গে। বহু মানুষ একসঙ্গে হাজির হয়েছিলেন। হঠাৎই হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছিল। যেখানে এই সভা চলছিল, সেই রাস্তা সোমবার রাত থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার দুপুরে খোলা হয়।
০৭২০
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, মঙ্গলবার রাস্তা খুলে দেওয়ার পরই হুড়মুড়িয়ে লোকজন বেরোনোর চেষ্টা করেন। তখনই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। মৃতদের মধ্যে মহিলার সংখ্যাই বেশি। বেশ কয়েকটি শিশুরও মৃত্যু হয়েছে বলে তাঁদের দাবি।
০৮২০
আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় মানুষজনই হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানেও চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসক ছিলেন না। ফলে সময়মতো চিকিৎসাও করানো যায়নি আহতদের।
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ঘটনাটির খোঁজখবর নিয়েছেন। তিনি ইতিমধ্যেই একটি তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন।
১১২০
তদন্ত কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন আগরার অতিরিক্ত ডিজি। তদন্ত কমিটি খতিয়ে দেখবে দুর্ঘটনার কারণ। কী ভাবে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।
১২২০
ঘটনার খবর পেয়ে মুঘলাগড়ি গ্রামে গিয়েছেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী লক্ষ্মীনারায়ণ চৌধরি এবং সন্দীপ সিংহ। রাজ্য পুলিশের ডিজি-ও ঘটনাস্থলে গিয়েছেন।
১৩২০
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, ঘটনাস্থল থেকে বাসে এবং টেম্পোয় মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।
১৪২০
স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগের আঙুল তুলেছেন আয়োজকদের দিকে। কী ভাবে এত লোককে এক জায়গায় জমায়েতের অনুমতি দেওয়া হল? প্রশ্ন উঠেছে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও।
১৫২০
এই ঘটনায় গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। শোকজ্ঞাপন করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
১৬২০
মৃতদের পরিবারের জন্য ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার।
১৭২০
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জানিয়েছেন, এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে। আয়োজকদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
১৮২০
২০২০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর এই হাথরসই গোটা দেশে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল। রাজ্য থেকে জাতীয় রাজনীতি উত্তাল হয়ে উঠেছিল।
১৯২০
এক দলিত তরুণীকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে। ১৪ দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর ২৯ সেপ্টেম্বর তাঁর মৃত্যু হয়। অভিযোগ ওঠে, পরিবারকে না জানিয়েই পুলিশ ওই তরুণীর দেহ রাতারাতি সৎকার করে।
২০২০
মঙ্গলবার হাথরসের ওই ঘটনাস্থলে ছিল প্রবল গরম, সঙ্গে গুমোট পরিবেশ। যাওয়া-আসার জন্য রাস্তা সঙ্কীর্ণ। সেই সঙ্গে ছোট জায়গায় এত মানুষের জমায়েতই কি এই দুর্ঘটনার কারণ? তদন্তে উঠে আসবে প্রকৃত তথ্য।