Pet cats have eaten owner’s flesh after she died due to illness dgtl
cat
Cat: মালিকের মৃতদেহ খেল তাঁরই ২০টি পোষ্য বিড়াল!
প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে পুলিশের অনুমান, অসুস্থতার কারণে ঘরেই মৃত্যু হয় এই মহিলার।
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতাশেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০২২ ১০:০০
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৯
দু’সপ্তাহ ধরে নিখোঁজ মহিলা। দুশ্চিন্তাগ্রস্ত সহকর্মীর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিশ যা উদ্ধার করল, তা শুনলে শিউরে উঠবেন যে কোনও মানুষ। পোষ্য রাখার আগেও দু’বার চিন্তা।
০২১৯
মহিলার খোঁজে নেমে তাঁর বাড়ি যায় পুলিশ। তবে মহিলার ঘরে প্রবেশ করতেই আঁতকে ওঠেন পুলিশ কর্তারা। তাঁরা দেখতে পান মহিলার দেহাংশ। আর সেই দেহাংশ ঘিরে পরম আনন্দে নিজেদের রসনা তৃপ্তি করছে ২০টি বেড়াল।
০৩১৯
রাশিয়ার রোস্তভ অঞ্চলের বাতায়স্কে এই ঘটনাটি ঘটেছে।
০৪১৯
তবে কোথা থেকে ঘরে ঢুকল এই বিড়ালগুলি? তদন্তে চালিয়ে পুলিশ পরক্ষণেই জানতে পারে যে, বাইরের থেকে নয়। এই বিড়ালগুলি ছিল ঘরের ভিতরেও। ওই মাংসাশী বিড়ালগুলি মৃতা মহিলারই পোষা।
০৫১৯
প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে পুলিশের অনুমান, অসুস্থতার কারণে ঘরেই মৃত্যু হয় এই মহিলার। মালিকের অনুপস্থিতিতে খাবার জোটেনি এই বিড়ালগুলির। বেশ কিছু সময় ধরে অভুক্ত থাকার পর নিজের মালিকের মৃতদেহকেই খাদ্য হিসাবে বেছে নেয় এই বিড়ালগুলি।
০৬১৯
পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলার অধীনে কাজ করা এক কর্মচারী পুলিশকে জানায় যে মালিককে বেশ কিছু দিন ধরে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এর পরই তদন্তে নামে পুলিশ।
০৭১৯
পুলিশ ইতিমধ্যেই ওই মহিলার আধ খাওয়া মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
০৮১৯
এই খবরটি প্রকাশ্যে আসার পর এক প্রাণী বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘‘বিড়ালগুলি অনেক দিন ধরে অভুক্ত ছিল। ঘরে কোনও খাবার ছিল না। তাই এই পরিস্থিতিতে তারা আর কী খাবে? যা হাতের সামনে পেয়েছে তাই খেয়েছে।’’
০৯১৯
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বিড়ালগুলির মধ্যে কিছু বিড়ালকে ইতিমধ্যেই প্রায় তিন হাজার টাকার বিনিময়ে নতুন মালিকদের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। তবে এই বিড়ালগুলি যে মালিকেরই রক্ত এবং মাংসের স্বাদ পেয়েছে, তা নিয়ে নতুন মালিকদের জানানো হয়েছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
১০১৯
পুলিশ জানিয়েছে, এই বিড়ালগুলি মেইন কুন প্রজাতির। মেইন কুন প্রজাতির বিড়ালগুলি সাধারণ বিড়ালের থেকে আকারে বেশ কিছুটা বড় এবং শক্তিশালী হয়।
১১১৯
আমেরিকার মেইন রাজ্যে এই বিশেষ ধরনের বিড়াল পাওয়া যায় বলেই এদের নাম মেইন কুন। জনপ্রিয়তার নিরিখে এই বিড়ালগুলির স্থান তিন নম্বরে। তবে এই বিশেষ প্রজাতির বিড়ালগুলি তাদের শান্ত স্বভাবের জন্যই বেশি পরিচিত।
১২১৯
গবেষণায় আগেই দেখা গিয়েছে, বিড়ালের মালিক যদি কোনও কারণবশত বাড়িতেই মারা যান, তা হলে পোষা বিড়ালগুলির মালিকের মৃতদেহ খেয়ে নেওয়ার প্রবণতা থাকে।
১৩১৯
আমেরিকার কলোরাডোতে পচনশীল মৃতদেহ খাওয়ার জন্য একটি গবেষণা কেন্দ্রে দু’টি বিড়াল প্রবেশ করে। তবে এই ঘটনার পর নতুন করে গবেষণা শুরু করেন বিজ্ঞানীরা। আর গবেষণার ফলাফলও মেলে চমকে দেওয়ার মতো।
১৪১৯
গবেষণায় উঠে আসে যে, পচনশীল মৃতদেহের হাত, বুক এবং কাঁধের মাংস খেতে বেশি পছন্দ করে বিড়ালেরা।
১৫১৯
আশ্চর্যজনক ভাবে, এই গবেষণা চলাকালীন প্রতিটি বিড়াল নিজেদের পছন্দসই মৃতদেহ বেছে নেয়। তার পরই খাওয়া শুরু করে। তবে এক জনের পছন্দ করা মৃতদেহে ভাগ বসাতে আসেনি অন্য কোনও বিড়াল।
১৬১৯
এই গবেষকদের মধ্যে অন্যতম প্রধান গবেষক সারা গার্সিয়ার দাবি, বিড়ালেরা সাধারণত খুব বেছে বেছে খাবার খায়। বিড়াল এক বার পছন্দের খাবার খুঁজে পেলে, তারা বার বার সেটাই খেতে চায়।
১৭১৯
২০১৩ সালে, সাউদাম্পটনের কাছে বাড়িতে অসুস্থতার কারণে মারা যাওয়া এক মহিলার শরীরের সমস্ত অংশ একই ভাবে তাঁর পোষা তিনটি বেড়াল খেয়ে নেয়।
১৮১৯
আমেরিকাতেও বছর তিরিশের এক ব্যক্তি মারা যাওয়ার পর পোষ্য ১০টি বেড়াল তাঁর মাথা, ঘাড় এবং হাতের বেশ কিছু অংশ খেয়ে নেয়।
১৯১৯
এই ধরনের একাধিক ঘটনার নজির থাকা সত্ত্বেও ২০২০ সালে এই গবেষণার আগে পর্যন্ত বিষয়টির উপর বিশেষ নজর দেওয়া হয়নি।