Neelam speaks about the 5-year-old relationship with Bobby Deol and making right decision of ending it dgtl
Neelam
Neelam-Bobby Deol: ববি দেওলের সঙ্গে প্রেম ভাঙার কারণ কি পূজা ভট্ট না ধর্মেন্দ্র? খোলসা করলেন নীলম
ববি নাকি পূজার প্রেমে পড়েছিলেন। ছেলের সঙ্গে নীলমের সম্পর্কে সায় ছিল না ধর্মেন্দ্রর। এমন হাজারও জল্পনা ভেসেছে বলিউডের অন্দরে।
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতাশেষ আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০২২ ০৭:৫১
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৫
প্রায় পাঁচ বছরের গা়ঢ় সম্পর্কের পর প্রেমে ইতি। তা পর বছরের পর বছর গড়িয়ে গিয়েছে। তবে সে বিচ্ছেদের কারণ নিয়ে জল্পনায় ইতি পড়েনি। ববি দেওলের সঙ্গে নীলমের প্রেমে চিড় ধরল কেন? ববি নাকি পূজার প্রেমে পড়েছিলেন। ছেলের সঙ্গে নীলমের সম্পর্কে সায় ছিল না ধর্মেন্দ্রর। এমন হাজারও জল্পনা ভেসেছে বলিউডের অন্দরে। তবে বিচ্ছেদের আসল কারণ কী? এত বছর পর খোলসা করেছেন খোদ নীলম।
ছবি: সংগৃহীত।
০২১৫
ববির সঙ্গে প্রেম ভাঙা নিয়েই শুধু নয়। তাঁর সঙ্গে দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক এক সময় কতটা যন্ত্রণাদায়ক হয়ে উঠেছিল, তা-ও মন খুলে বলেছেন নীলম। বলেছেন, ‘‘ওর সঙ্গে কখনই সুখী হতাম না!’’ কিন্তু কেন? ববি কি অন্য সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন?
ছবি: সংগৃহীত।
০৩১৫
ববি-নীলমের সম্পর্কের কাটাছেঁড়া করার আগে শুরুর গল্পটা বলে নেওয়া যাক! ১৯৯৫ সালে বলিউডে ববির অভিষেকের আগে থেকেই বড় পর্দায় নিজের পায়ের তলার জমি শক্ত করে নিয়েছিলেন নীলম। তবে অভিষেকের পর ববির দুনিয়া বদলাতে বেশি সময় লাগেনি।
ছবি: সংগৃহীত।
০৪১৫
শিশুশিল্পী হিসেবে স্বল্প সময়ের জন্য ‘ধরমবীর’ ফিল্মে দেখা গিয়েছিল ববিকে। ১৯৭৭ সালে মনমোহন দেশাইয়ের সেই ফিল্মে ছিলেন ধর্মেন্দ্র-জিতেন্দ্র-জিনাত আমন-নীতু সিংহের মতো তারকা।
ছবি: ববি দেওলের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে সংগৃহীত।
০৫১৫
নায়কের ভূমিকায় ববিকে প্রথম দেখা গিয়েছিল রাজকুমার সন্তোষীর ফিল্ম ‘বরসাত’-এ। সঙ্গে আর এক তারকা-কন্যা, রাজেশ খন্না-ডিম্পলের মেয়ে টুইঙ্কল খন্না।
ছবি: সংগৃহীত।
০৬১৫
১৯৯৫ সালে ‘বরসাত’ মুক্তির সঙ্গে সঙ্গে বক্স অফিসে তুমুল সাফল্য। ববির অভিনয়ের পাশাপাশি তাঁর স্টাইলও নজর কেড়েছিল সমালোচকদের। প্রশংসা কু়ড়িয়েছিল ববির অনায়াস নাচের স্টেপও। অনেকেই বলাবলি শুরু করেন, দেওল পরিবার থেকে অবশেষে ডান্স ফ্লোরে সাবলীল এক জনকে পেল বডিউড।
ছবি: সংগৃহীত।
০৭১৫
‘বরসাত’-এর সাফল্যে রাতারাতি তারকা তকমা পেয়ে গিয়েছিলেন ববি। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, খ্যাতির আলোয় আসার আগে থেকেই শিরোনামে ছিলেন তিনি। নীলমের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের রসালো গল্পের নায়ক হিসেবে ববিকে প্রায়শই দেখা যেত ‘পেজ থ্রি’-র পাতায়।
ছবি: সংগৃহীত।
০৮১৫
ববি যখন বলিউডে হাঁটি-হাঁটি পা-পা করছেন, সে সময়ই নীলম স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত। গত শতকের আশির দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে নব্বইয়ে শেষ পর্যন্ত নায়িকায় ভূমিকায় চুটিয়ে কাজ করেছেন তিনি। ১৯৮৪ সালে আর এক নবাগত কর্ণ সিংহের সঙ্গে জুটিতে ‘জওয়ানি’-তে অভিষেক তাঁর। তার পর গোবিন্দর সঙ্গে একের পর এক হিট ফিল্ম। ‘লভ ৮৬’, ‘ইলজাম’, ‘সিন্দুর’, ‘খুদগর্জ’, ‘হত্যা’, ‘ফর্জ কি জং’। চাঙ্কি পাণ্ডের সঙ্গে ‘আগ হি আগ’-ও তুমুল হিট। সঞ্জয় দত্তের সঙ্গে ‘খতরোঁ কি খিলাড়ি’ আরও জবর সফল।
ছবি: সংগৃহীত।
০৯১৫
তবে বলিউডে নবাগত ববির সঙ্গে নীলমের লম্বা দৌড় থামল কেন? এক সময় জোর জল্পনা ছিল, পূজা ভট্টের সঙ্গে সম্পর্কের জেরেই টলে গিয়েছিল নীলমের বিশ্বাস। তবে নীলম তা সাফ অস্বীকার করেছেন। এত বছর পর মুম্বইয়ের একটি ফিল্ম পত্রিকায় মুখ খুলেছেন ৫২ বছরের নীলম। তিনি বলেন, ‘‘হ্যাঁ! ববি আর আমার সম্পর্ক ভেঙেছিল। ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলতে পছন্দ করি না ঠিকই। তবে এ নিয়ে বহু ভুল ধারণা, ভিত্তিহীন জল্পনা রয়েছে। সেগুলি বন্ধ করতেই কিছু কথা খোলসা করে বলতে চাই। আমি চাই না মানুষজন অসত্য কিছু বিশ্বাস করুন।’’
ছবি: সংগৃহীত।
১০১৫
মুম্বইয়ের ওই ফিল্ম পত্রিকাকে নীলম বলেছেন, ‘‘ববি আর আমার বিচ্ছেদের কারণ নাকি পূজা ভট্ট। এমন জল্পনাও শুনেছি।’’ তাঁর সাফ কথা— ‘‘এই পত্রিকাতেই তো আমার সঙ্গে ববির সম্পর্ক ভাঙায় পূজার হাত রয়েছে বলে লেখা হয়েছিল। শুনে রাখুন, এটা একেবারেই অসত্য। ববির সঙ্গে সম্পর্ক নষ্টের পিছনে পূজা কেন, অন্য কোনও মেয়েই জড়িত ছিলেন না।’’
ছবি: সংগৃহীত।
১১১৫
সম্পর্ক ভাঙার সিদ্ধান্ত দু’জনে মিলে ভেবেচিন্তেই নিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন নীলম। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের সম্পর্কে যে ইতি টানা প্রয়োজন, সেটা দু’জনে মিলে ঠিক করেছিলাম। তাতে অন্য কারও ভূমিকা ছিল না।’’
ছবি: সংগৃহীত।
১২১৫
বলিউডে এক সময় এটাও রটেছিল, ধর্মেন্দ্র তাঁর ছেলের সঙ্গে নীলমের সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি। তবে তা মানতে চাননি নীলম। বলেছেন, ‘‘ববি বা আমার, কারও পরিবারেরই এর পিছনে হাত ছিল না।’’ পাশাপাশি, সাফ বলেছেন, ‘‘ববির সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে ঠিক কাজই করেছি। আসলে আমার মনে হয়, বুদ্ধিমানের মতোই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। এতে আমার পরিবারও স্বস্তি পেয়েছিল। সে সময় থেকে জীবনের অন্য দিকে মন দিতে পেরেছিলাম। এত দিন অনেক কিছুই অবহেলা করছিলাম। সে সময় নতুন করে জীবন শুরু করতে চাইছিলাম।’’
ছবি: সংগৃহীত।
১৩১৫
তাড়াহুড়ো করে নয়। দু’জন প্রাপ্তমনস্ক মানুষ একসঙ্গে বসে ভেবেচিন্তেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলেও জানান নীলম। তাঁর কথায়, ‘‘ববির সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলেছিলাম। দু’জনের সহমতের ভিত্তিতেই সে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। আর পর হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছিলাম। সে সময় দু’জনেরই মনে হয়েছিল, আমাদের সম্পর্ক সঠিক পথে এগোচ্ছে না। সুতরাং... ’’
ছবি: সংগৃহীত।
১৪১৫
সম্পর্ক সঠিক পথে এগোচ্ছিল না, তা বুঝতে পাঁচ বছর সময় লাগল কেন? সে প্রশ্নেরও উত্তর দিয়েছেন নীলম। তিনি বলেন, ‘‘হ্যাঁ, সেটা বুঝতে বুঝতেই অনেকটা সময় পেরিয়ে গিয়েছিল। তবে শেষমেশ সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছিলাম।’’
ছবি: সংগৃহীত।
১৫১৫
কেন সম্পর্ক ভেঙে গেল? এত কিছু বলে ফেলার পরেও আসল কারণ জানাননি নীলম। কখনও সন্দেহ হয়েছিল, ওই পাঁচ বছরে ববি অন্য মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন? নীলম সাফ কথা— ‘‘কখনই নয়!’’