চিন্তপূর্ণি এলাকাটি উনা জেলায়। নিহত সুরিন্দর পাঞ্জাবের দাসুয়া এলাকার মানোয়ালের কাছে আলমপুর পট্টির বাসিন্দা। পেশায় ট্যাক্সিচালক সুরিন্দর দিল্লিতে থাকতেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতাশেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৮:৫৭
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৩
এক মাসের মধ্যে খুনের কিনারা করল হিমাচল প্রদেশের কাংড়া থানার পুলিশ। সুরিন্দর পাল নামে এক ট্যাক্সিচালককে খুন করার অভিযোগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিন অভিযুক্ত জগদীশ চন্দ, ভূপিন্দর সিংহ এবং নারিন্দর কৌরকে গ্রেফতার করে।
০২১৩
সুরিন্দর পালের হত্যারহস্য পরিচিত ছিল ‘চিন্তপূর্ণি হোটেল হত্যারহস্য’ নামে। এই খুনের তদন্তে নেমে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল পুলিশকে।
০৩১৩
চিন্তপূর্ণি এলাকাটি হিমাচল প্রদেশের উনা জেলায়। নিহত সুরিন্দর পঞ্জাবের দাসুয়া এলাকার মানোয়ালের কাছে আলমপুর পট্টির বাসিন্দা। পেশায় ট্যাক্সিচালক সুরিন্দর দিল্লিতে থাকতেন।
০৪১৩
অগস্ট মাসে স্ত্রী নারিন্দর কউর-সহ তিন জন সুরিন্দরকে চিন্তপূর্ণি হোটেলে খুন করেন বলে অভিযোগ ওঠে।
০৫১৩
ধর্মশালার পুলিশ সুপার সঞ্জীব গাঁধী জানান, মোবাইল ফোনের তথ্য দেখে তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
০৬১৩
কিন্তু কেন খুন হতে হল সুরিন্দরকে? পুলিশ জানিয়েছে, স্ত্রী নারিন্দর এক অভিযুক্ত জগদীশের সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। জগদীশ দুবাইয়ে কাজ করতেন।
০৭১৩
পুলিশের দাবি, জগদীশের সঙ্গে সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যই অভিযুক্তেরা সুরিন্দরকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে ফেলার পরিকল্পনা করেন।
০৮১৩
পরিকল্পনা অনুযায়ী স্বামী সুরিন্দরকে চিন্তপূর্ণি মন্দিরে পূজো করতে যাওয়ার জন্য জোরাজুরি করেন।
০৯১৩
চিন্তপূর্ণি মন্দিরের কাছে একটি হোটেল ভাড়া করেন সুরিন্দর এবং নারিন্দর। সুরিন্দর ঘুণাক্ষরেও টের পাননি যে, ওই হোটেলেই তৈরি হচ্ছিল তাঁর মৃত্যুর ছক।
১০১৩
হোটেলে চা খাওয়ার সময় সুরিন্দরের চায়ে মাদক মিশিয়ে দেন নারিন্দর। সেই চা খাওয়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই সুরিন্দর অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
১১১৩
সুরিন্দর অজ্ঞান হওয়ার পর বাকি দুই অভিযুক্ত জগদীশ এবং তাঁর বন্ধু ভূপিন্দর সিংহকে হোটেলে ডেকে পাঠান নারিন্দর। ওই হোটেলেরই অন্য একটি ঘর ভাড়া নিয়েছিলেন তাঁরা।
১২১৩
পুলিশের দাবি, এর পর সুরিন্দরের ঘরে ঢুকে তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন জগদীশ এবং ভূপিন্দর। এর পরই তাঁরা ওই হোটেল ছেড়ে পালিয়ে যান।
১৩১৩
পুলিশ তদন্তে নেমে প্রাথমিক ভাবে বিশেষ কিছু প্রমাণ জোগাড় করতে পারেনি। এই হত্যারহস্যের কী করে কিনারা হবে তা নিয়েও চিন্তায় ছিলেন পুলিশ আধিকারিকরা। তবে ফোন ঘেঁটে অবশেষে পুলিশের জালে এলেন অভিযুক্তরা।