Man wins lottery 14 times using simple formula in Australia dgtl
Lottery Win
অঙ্ক কষে ১৪ বার লটারি পান, জেতেন কোটি কোটি টাকা! শেষে নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করেন
অঙ্ক কষে ১৪ বার লটারি জিতেছিলেন। আইন করেও তাঁর জয় আটকাতে পারেনি সংস্থাগুলো। পরিণতি যদিও সুখকর নয় অস্ট্রেলিয়ার এই নাগরিকের।
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
সিডনিশেষ আপডেট: ১২ জুন ২০২৩ ১৬:২৬
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৭
এক বার লটারি জিতলেই কেল্লাফতে! এই আশা নিয়ে কত ‘চাষা’ যে বাঁচে আর মরে! সারা জীবন কেটে গেলেও সেই আশা পূরণ হয় না তাঁদের। অথচ স্টেফান ম্যান্ডেলের সেই আশা পূরণ হয়েছে এক-আধ বার নয়। ১৪ বার। ১৪ বার লটারিতে জিতেছেন তিনি।
০২১৭
স্টেফান দাবি করেছেন, এক বারও নিয়ম ভেঙে বা বেআইনি ভাবে লটারি জেতেননি তিনি। প্রতি বার সোজা পথেই জিতেছেন লটারি। স্রেফ সহজ কিছু অঙ্ক কষে কার্যসিদ্ধি হয়েছে।
০৩১৭
একটি সংবাদ মাধ্যমকে স্টেফান সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, যত বার বিজয়ী লটারির নম্বর অনুমান করেছেন, তত বার তা সঠিক হয়েছে। ছোটখাটো অর্থমূল্য শুধু নয়, বড় বড় জ্যাকপটও জিতেছেন তিনি।
০৪১৭
একটি সূত্র আবিষ্কার করেছিলেন স্টেফান। যেখানে তিনি পাঁচটি অঙ্ক নিতেন, তার পর ষষ্ঠ অঙ্ক অনুমান করতেন। সেই সংখ্যা দিয়েই জিতে নিতেন একের পর এক লটারি।
০৫১৭
স্টেফান নিজে এক জন গণিতজ্ঞ। তাঁর জন্ম রোমানিয়ায়। এখন অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক।
০৬১৭
রোমানিয়ায় অর্থনীতিবিদ হিসাবে কাজ করতেন স্টেফান। তখনই অঙ্কের সেই সূত্র আবিষ্কার করে ফেলেন, যা দিয়ে ভবিষ্যতে একের পর এক লটারি জিতে যাবেন।
০৭১৭
সেই সূত্রের মাধ্যমে রোমানিয়ায় বিশাল অঙ্কের লটারি যেতেন স্টেফান। তার পর পরিবার নিয়ে চলে যান অস্ট্রেলিয়া। সেখানেই থিতু হন স্টেফান।
০৮১৭
অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে কাজ শুরু করেন স্টেফান। পাশাপাশি ১৯৬০ সাল নাগাদ আরও রোজগারের জন্য লটারিকেও পেশা হিসাবে গ্রহণ করেন।
০৯১৭
রোমানিয়া, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা থেকে লটারির টিকিট কেনা শুরু করেন স্টেফান। প্রতি বারই তিনি জিততে শুরু করেন। এতে রীতিমতো চটে যায় লটারি সংস্থাগুলি।
১০১৭
অস্ট্রেলিয়ায় থাকতে শুরু করার পর ১২ বার লটারি জেতেন স্টেফান। তাঁর এই জয়ে কড়া ব্যবস্থা নেয় লটারি সংস্থাগুলি। যদিও বেআইনি পথে স্টেফান লটারি জেতেননি, তবু বার বার একই ব্যক্তি লটারি জিততে থাকায় গ্রাহকদের ক্ষোভ বাড়তে থাকে। অস্ট্রেলিয়ার সংস্থা বাধ্য হয়েই স্টেফানকে ব্লক করার পথে হাঁটে।
১১১৭
স্টেফানও দমবার পাত্র নন। পাঁচ জন অংশীদার জুটিয়ে নেন তিনি। সকলে মিলে একটি বিক্রয় কেন্দ্রের সব টিকিট কিনে ফেলতেন। অস্ট্রেলিয়ার লটারি সংস্থাগুলি তখন দল বেঁধে লটারির টিকিট কেনা নিষিদ্ধ করে। একটি দলের সকলে একই কেন্দ্রের সব লটারি কিনতে পারবে না।
১২১৭
স্টেফান শেষে অস্ট্রেলিয়া ছেড়ে পা বাড়ান আমেরিকার দিকে। সেখানকার লটারি সংস্থার থেকে টিকিট কিনতে শুরু করেন। আমেরিকায় অস্ট্রেলিয়ার মতো কোনও নিয়ম ছিল না।
১৩১৭
ধীরে ধীকে আমেরিকার লটারি জেতার গোপন সূত্রটিও অঙ্ক কষে ধরে ফেলেন স্টেফান। ভার্জিনিয়া লটারির দিকেই নজর দেন তিনি।
১৪১৭
আমেরিকায় লটারির একটি টিকিটের দাম ছিল ১ ডলার। স্টেফান ২,৫০০ সঙ্গী জোগাড় করেন। তাঁদের দিয়ে ২,৫০০ টিকিট কেনান। কী ভাবে লটারি খেলবেন, তা অঙ্ক কষে জানিয়ে দেন স্টেফানই।
১৫১৭
একটি সাক্ষাৎকারে স্টেফান জানান যে, তিনি জানতেন ১টি প্রথম, ৬টি দ্বিতীয় এবং ১৩২টি তৃতীয় পুরস্কার জিতে যাবেন। হয়েও ছিল তা-ই। প্রায় ৩ কোটি আমেরিকান ডলার জিতেছিলেন তিনি এবং তাঁর সঙ্গীরা। ভারতীয় মুদ্রায় ২৪৫ কোটি টাকারও বেশি।
১৬১৭
এই ঘটনার তদন্তে নামে আমেরিকার তদন্তকারী সংস্থা এফবিআই। চার বছর ধরে আইনি লড়াই চলে। তবু স্টেফানকে দোষী সাব্যস্ত করা যায়নি।
১৭১৭
১৯৯৫ সালে স্টেফান দেউলিয়া ঘোষণা করেন নিজেকে। তাঁর সেই অঙ্কের রহস্য আজও তিনি ছাড়া কেউ সমাধান করতে পারেননি।