Man accused of driving was at home during delhi hit and run horror dgtl
Delhi hit and run
বাড়িতেই ছিলেন দুর্ঘটনার সময় গাড়ি চালানোয় অভিযুক্ত, তা হলে অঞ্জলিকে চাপা দিল কে?
বর্ষবরণের রাতে দিল্লির রাস্তায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা। প্রাণ যায় ২০ বছরের তরুণী। ঠিক কী হয়েছিল সেই রাতে? রোজই উঠে আসছে নতুন তথ্য। রহস্যের জট তবু কাটছে না।
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতাশেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২৩ ১৩:৪৫
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৮
বর্ষবরণের রাতে দিল্লির রাস্তায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা। গাড়ির চাকায় আটকে যায় তরুণীর পা। এর পর ২০ বছরের তরুণী অঞ্জলি সিংহকে টেনেহিঁচড়ে ১৩ কিলোমিটার পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছিল মারুতি ব্যালেনো গাড়িটি। সেই দুর্ঘটনার তদন্তে নেমেছে দিল্লি পুলিশ। ঠিক কী হয়েছিল সেই রাতে? রোজই উঠে আসছে নতুন তথ্য। রহস্যের জট তবু কাটছে না।
০২১৮
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জেনেছিল, ঘাতক গাড়িতে বসেছিলেন ৫ জন। শুক্রবার দিল্লি পুলিশ এই নিয়ে নতুন এক তথ্য দিল। জানাল, বর্ষবরণের রাতে দিল্লিতে ২০ বছরের অঞ্জলি সিংহকে যখন চাপা দেয় সেই গাড়ি, তখন তাতে ৫ জন নয়, বসেছিলেন ৪ জন।
০৩১৮
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে যাঁকে গাড়ির চালক বলে মনে করা হয়েছিল, তিনি ১ জানুয়ারির রাতে বাড়িতেই ছিলেন। ওই গাড়িতে ছিলেন না। এ কথা জানিয়েছে খোদ পুলিশই।
০৪১৮
ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর ৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁরা হলেন, দীপক খন্না, মনোজ মিত্তল, অমিত খন্না, কৃষণ এবং মিঠুন। আপ দাবি করে, মনোজ হলেন স্থানীয় বিজেপি নেতা। (ছবি: মনোজ)
০৫১৮
ওই পাঁচ জনকে সাহায্য করা এবং দুর্ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আরও ২ জনের বিরুদ্ধে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন গাড়ির মালিক আশুতোষও। (ছবি: কৃষাণ)
০৬১৮
আশুতোষকে শুক্রবার সকালে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সপ্তম অভিযুক্ত অঙ্কুশ এখনও ফেরার।
০৭১৮
পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার সময় অমিত খন্নাই গাড়ি চালাচ্ছিলেন। তাঁর আত্মীয় দীপক নন। তদন্তে জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় দীপক বাড়িতেই ছিলেন। (ছবি: অমিত)
০৮১৮
পুলিশ এ-ও জানিয়েছে, ইচ্ছা করেই নিজের ঘাড়ে দায় নিয়েছিলেন দীপক। তিনি পুলিশকে জানিয়েছিলেন, গাড়ির চালকের আসনে বসেছিলেন তিনিই। (ছবি: দীপক)
০৯১৮
কেন এমন করেছিলেন দীপক? পুলিশ জানিয়েছে, লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালাচ্ছিলেন অমিত। ১ জানুয়ারির রাতে এই দুর্ঘটনার পর ফোন করেছিলেন খুড়তুতো ভাই দীপক এবং অঙ্কুশকে।
১০১৮
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই খুড়তুতো ভাইকে ফোন করে দীপক জানিয়েছিলেন, তাঁর গাড়ি চালানোর লাইসেন্স নেই। সাহায্য চেয়েছিলেন দুই ভাইয়ের। তার পরেই নিজের ঘাড়ে দায় নিয়েছিলেন তাঁর খুড়তুতো ভাই দীপক। অন্য ভাই অঙ্কুশ এখনও ফেরার। এই নিয়ে এখনও রহস্যের জট পুরোপুরি কাটেনি বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
১১১৮
বর্ষবরণের পার্টি থেকে নিজের স্কুটি চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন অঞ্জলি। সঙ্গে ছিলেন বন্ধু নিধি। রাত তখন ২টো। সুলতানপুরীতে মারুতি ব্যালেনো গাড়ির চাকায় পা জড়িয়ে যায় অঞ্জলির।
১২১৮
এর পর তাঁকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার টেনে নিয়ে যায় ঘাতক গাড়ি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অঞ্জলি চিৎকার করলেও গাড়ি থামেনি। গাড়িতে বসে থাকা ৪ যুবকই ছিলেন মদ্যপ।
১৩১৮
এক ঘণ্টা ধরে গাড়ি চালানোর পর গাড়ির চাকায় আটকে থাকা অঞ্জলির দেহ ছিটকে বেরিয়ে গেলে অভিযুক্তরা রোহিণীর কাছে গাড়িটি ছেড়ে অটো করে পালিয়ে যান বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।
১৪১৮
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অঞ্জলির শরীরে ছিল ৪০টি আঘাত। দুর্ঘটনার কারণে গায়ের চামড়া উঠে এসেছিল। মাথা, মেরুদণ্ড, অঙ্গ ভেঙে গিয়েছে। ঘিলুর একাংশ মেলেনি।
১৫১৮
সে রাতের একটি সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে। সেই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, রাস্তার দু’পাশে অটো, গাড়ি দাঁড়িয়ে রয়েছে। সেখানে কয়েক জন অপেক্ষা করছিলেন। কিছু ক্ষণ পরেই একটি গাড়ি আসে। সেই গাড়ি থেকে অভিযুক্তেরা নামেন।
১৬১৮
গাড়ি থেকে নেমে অভিযুক্তদের মধ্যে এক জন গাড়ির বাঁ দিকের চাকার নীচে ঝুঁকে পড়ে কিছু দেখেন। তার পর সকলে মিলে অটো নিয়ে সেখান থেকে চম্পট দেন। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
১৭১৮
এই আবহেই ওই রাতে অঞ্জলির সঙ্গে থাকা বন্ধু নিধির মন্তব্যে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়। তিনি দাবি করেন, অঞ্জলি মত্ত হয়ে স্কুটি চালাচ্ছিলেন।
১৮১৮
নিধির এই দাবিকে সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে উড়িয়ে দেন অঞ্জলির মা। তাঁর অভিযোগ, নিধি মিথ্যা কথা বলছে। তাঁর মেয়েকে খুনের চক্রান্তে সে-ও শামিল ছিল বলে দাবি করেছেন তিনি। অঞ্জলির মায়ের দাবি, মেয়েকে কখনও মদ খেয়ে বাড়িতে ফিরতে দেখেননি। আঙুল তুলেছেন নিধির দিকেও। বলেন, ‘‘ও (নিধি) যদি বন্ধু হয়েই থাকে, তবে বিপদের সময় বন্ধুকে ছেড়ে চলে এল কেন?” ছবি: সংগৃহীত এবং পিটিআই।