Kolkata witnessed the last live performance of singer Krishnakumar Kunnath a.k.a KK dgtl
KK
Singer K K Death: ‘অলবিদা... লাইফ ইন আ মেট্রো’
নজরুল মঞ্চে হাজির দর্শক-শ্রোতারা দেখলেন, ৫৪ বছর বয়সি এক জন গায়ক কতটা তরতাজা। মঞ্চের এ পাশ থেকে অন্য পাশে দাপিয়ে বেড়ালেন কেকে।
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতাশেষ আপডেট: ০১ জুন ২০২২ ০৮:৫৩
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৭
নজরুল মঞ্চ ভিড়ে ঠাসা। দর্শকদের মধ্যে উত্তেজনা, কখন আসবেন গায়ক? কেকে এলেন। কণ্ঠে সুরের ঝাঁপি আর হাতে মাইক্রোফোন নিয়ে। হাততালিতে ফেটে পড়ল হল।
০২১৭
হম, রহে ইয়া না রহে কাল.... মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মাইক্রোফোন হাতে গান ধরেছিলেন কেকে। উপলক্ষ গুরুদাস কলেজের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
০৩১৭
গান শুরু হতেই উৎসাহ-উত্তেজনায় দর্শকদের গলা ফাটিয়ে চিৎকার। হবে না-ই বা কেন! মঞ্চে যিনি গান গাইতে উঠেছেন, তিনি তো আর সাধারণ কেউ না। বলিউডের তারকা নেপথ্যগায়ক কেকে।
০৪১৭
মঞ্চে উঠে দর্শকদের মাতাতে পারা সঙ্গীতশিল্পীদের মধ্যে অন্যতম কেকে। মঙ্গলবারের অনুষ্ঠানেও তার অন্যথা হয়নি।
০৫১৭
সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত বাড়ার পাশাপাশি গাইতে থাকেন একের পর এক গান। বাড়তে থাকে দর্শকদের উত্তেজনাও।
০৬১৭
নজরুল মঞ্চে হাজির দর্শক-শ্রোতারা দেখলেন, ৫৪ বছর বয়সি এক জন গায়ক কতটা তরতাজা। গান গাইতে গাইতে মঞ্চের এ পাশ থেকে অন্য পাশে দাপিয়ে বেড়াতেও দেখা গেল কেকে-কে। কখনও দর্শকদের উদ্দেশে ‘ফ্লাইং কিস’ ছুড়ে দিচ্ছেন, তো কখনও আবার গান গাইতে গাইতে নিজের মনেই লাফাচ্ছেন।
০৭১৭
দর্শকদের অনেকেই কেকে-কে দেখার জন্য, তাঁর গান শোনার জন্য বহু দিন ধরে অপেক্ষা করে ছিলেন।
০৮১৭
গান গাওয়ার ফাঁকে কেকে মঞ্চের স্পটলাইটগুলি নিভিয়ে দেওয়ার অনুরোধও করেন।
০৯১৭
যাঁর গানের সুরে ভারতের আপামর শ্রোতা মুগ্ধ, তাঁর আবার স্পটলাইটের দরকারই বা কী!
১০১৭
স্পটলাইট নেভাতেই শতাধিক ফোনের ফ্ল্যাশলাইটের ঝলকানি গানের পরিবেশে অন্য এক মাত্রা যোগ করে মঙ্গলবারের অনুষ্ঠানে।
১১১৭
কেকে-র অনুষ্ঠানের সময় নজরুল মঞ্চে বাতানুকুল যন্ত্র ঠিকঠাক কাজ করছিল না বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে। গান গাইতে গায়ককে দরদর করে ঘামতেও দেখা গিয়েছে। মাঝে মাঝে সাদা তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে নিয়েছেন। তবে চোখে মুখে বিরক্তির লেশমাত্র নেই।
১২১৭
শেষের দিকে বেশ খানিকটা ক্লান্তই লাগছিল গায়ককে। ভিতরে কষ্ট হচ্ছিল কি? কষ্ট হলেও বুঝতে দেননি। অনুষ্ঠানের শেষ অবধি দর্শকদের আবদার মিটিয়েছেন মুখের মিষ্টি হাসি ধরে রেখেই।
১৩১৭
অনুষ্ঠান শেষ হতেই চলে যান ধর্মতলার বিলাসবহুল হোটেলে। সেখানে পৌঁছে শারীরিক অবস্থার অবনতি। সঙ্গে সঙ্গে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
১৪১৭
তবে তত ক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়ে দেন, মৃত্যু হয়েছে কেকে-র। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু।
১৫১৭
শারীরিক কষ্ট উপেক্ষা করেই কি অনুষ্ঠান করেছেন কেকে? উঠছে প্রশ্ন।
১৬১৭
নিজে বুঝে থাকলেও, শারীরিক অসুবিধার কথা বুঝতে দেননি দর্শকদের। দক্ষ জাদুকরের মতো সুরের জাদু দেখিয়েছেন শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত।
১৭১৭
‘অলবিদা’। ‘লাইফ ইন আ মেট্রো’ সিনেমায় তাঁর গাওয়া বিখ্যাত গান। সুরের শহরকে সেই কথাই হয়তো জানাতে এসেছিলেন তিনি। আর এই অনুভবের শেষ সাক্ষী কলকাতা।