Know why Saudi Arabia is losing its dominance in Arab Nations of West Asia dgtl
Saudi Arabia
নেতা হওয়ার লক্ষ্যে মার্কিন তাঁবেদারি! নিজের ফাঁদে জড়িয়ে হাঁসফাঁস আরব মুলুকের তেলের রাজা
আরব দুনিয়ার নেতা হওয়ার জন্য একটা সময়ে তেলকে অস্ত্র করেছিল সৌদি আরব। কিন্তু সময়ের চাকা ঘুরতেই পশ্চিম এশিয়ায় গুরুত্ব হারিয়েছে পশ্চিম এশিয়ার এই দেশ।
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৭:২৫
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১২৫
রকেটগতিতে উত্থান। মাথায় চড়েই উল্কার মতো পতন! পশ্চিম এশিয়ার একচ্ছত্র রাজা হওয়ার চক্করে সৌদি আরব মান খুইয়েছে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞেরা। ফলে বিশ্বশক্তির ভরকেন্দ্রের নিরিখে ধীরে ধীরে কমছে আরব মুলুকটির গুরুত্ব। নেপথ্যে কি যুবরাজ তথা প্রধানমন্ত্রী মহম্মদ বিন সলমন আল সৌদের একনায়কতন্ত্র? না কি রিয়াধের অতিরিক্ত আমেরিকা-প্রেম? ধীরে ধীরে স্পষ্ট হচ্ছে এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর।
০২২৫
কিছু দিন আগে পর্যন্ত অবশ্য সৌদি আরবকে সমস্ত ইসলামিক বিশ্বের নেতা বলে মনে করা হত। কিন্তু বর্তমানে বদলেছে সেই সমীকরণ। আরব মুলুকটিকে এখন চিরশত্রুর তকমা দিয়েছে প্যালেস্টাইনপন্থীদের একাংশ। পাশাপাশি, শিয়া অধ্যুষিত ইরানের সঙ্গে রিয়াধের সম্পর্ক দাঁড়িয়েছে ‘সাপে-নেউলে’র। ইসলামের তীর্থভূমিকে দু’চক্ষে দেখতে পারে না পশ্চিম এশিয়ার আর একটি ধনকুবের রাষ্ট্র কাতার।
০৩২৫
বিশ্বের তাবড় মুসলিম রাষ্ট্রগুলিকে নেতৃত্ব দেওয়ার নেপথ্যে সৌদি আরবের মূল অস্ত্র ছিল ধর্ম। এই আরব মুলুকটিতেই রয়েছে ইসলামের দুই পবিত্র তীর্থক্ষেত্র মক্কা এবং মদিনা। যদিও গত শতাব্দীর মাঝামাঝি পশ্চিম এশিয়ার আরব দেশগুলিকে সংঘবদ্ধ করার কাজটা শুরু করে মিশর। ওই সময়ে প্যান আরব প্রকল্পের কথা বলেন ‘পিরামিডের দেশ’-এর তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গামাল আবদেল নাসের।
০৪২৫
নাসের ছিলেন ইজ়রায়েলের ঘোর বিরোধী। আরব দুনিয়ার মধ্যে পশ্চিমি প্রভাবে হঠাৎ করে ইহুদি রাষ্ট্রের জন্ম মেনে নিতে পারেননি তিনি। আর তাই ইসলামীয় দেশগুলির জোট তৈরিতে জোর দেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, আরব দুনিয়াকে ইউরোপ এবং মার্কিন সংস্কৃতি থেকে দূরে রাখতে কোমর বেঁধে প্রচার চালান তৎকালীন মিশরীয় প্রেসিডেন্ট।
০৫২৫
১৯৬৭ সালে সিরিয়া ও জর্ডনকে সঙ্গে নিয়ে ইজ়রায়েল আক্রমণ করেন নাসের। কিন্তু মাত্র ছ’দিনের যুদ্ধে (সিক্স ডে ওয়ার) এই যৌথ বাহিনীকে পুরোপরি পর্যুদস্ত করে ইহুদি ফৌজ। লড়াইশেষে দেখা যায় মিশরের সিনাই উপদ্বীপের বিশাল এলাকা পুরোপুরি চলে গিয়েছে ইজ়রায়েলের দখলে। এর জেরে মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় মিশরীয় অর্থনীতি।
০৬২৫
ছ’দিনের যুদ্ধে পরাজয়ের ফলে আরব দুনিয়ায় গ্রহণযোগ্যতা হারান নাসের। তাঁর পরবর্তী সময়ে ‘পিরামিডের দেশের’ প্রেসিডেন্ট হন আনোয়ার সাদাত। প্যান আরব প্রকল্পকে সফল করতে ১৯৭৩ সালের অক্টোবরে ফের ইজ়রায়েল আক্রমণ করেন তিনি। এ বারও সিরিয়াকে পাশে পায় মিশর। ইহুদিদের পবিত্র দিন ‘ইয়ম কিপুর’-এর সময়ে দু’দিন থেকে আক্রমণ শানায় যৌথ বাহিনী। সাদাতের সেনা সিনাই উপদ্বীপ পুনর্দখলে ঝাঁপিয়ে পড়ে। আর গোলান মালভূমিতে হামলা চালিয়েছিল দামাস্কাসের ফৌজ।
০৭২৫
প্রাথমিক ধাক্কা সামলে উঠে এই ইয়ম কিপুর যুদ্ধেও জয়ী হয় ইজ়রায়েল। এর ফলে মিশরের আরব দুনিয়ার নেতা হওয়ার সমস্ত স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়। পাশাপাশি, সিরিয়া ও জর্ডনের সঙ্গেও কায়েরোর সম্পর্কে কিছুটা চিড় ধরে। ১৯৭৮ সালে ক্যাম্প ডেভিড চুক্তিতে সই করে বিবদমান দুই পক্ষ। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী সিনাই উপদ্বীপ মিশরকে ফিরিয়ে দেন ইহুদিরা।
০৮২৫
গত শতাব্দীর ৭০-এর দশকে আরব দুনিয়ায় মিশর যখন ধীরে ধীরে গুরুত্ব হারাচ্ছে, ঠিক তখনই রঙ্গমঞ্চে আবির্ভাব হয় সৌদি আরবের। ইসলামিক দুনিয়াকে নেতৃত্ব দিতে এবং ইহুদি ‘আগ্রাসন’ ঠেকাতে অপরিশোধিত তেলকে হাতিয়ার করে রিয়াধ। সৌদির এই দাবার চালে রাতারাতি বদলে যায় বিশ্ব অর্থনীতি। পশ্চিম এশিয়ার দ্রুত পট পরিবর্তন দেখে ওয়াশিংটন পর্যন্ত চমকে গিয়েছিল।
০৯২৫
ইয়ম কিপুর যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে আরব দুনিয়ার কাঁচা তেল রফতানিকারী দেশগুলির সংগঠন ওপেকের (অর্গানাইজ়েশন অফ পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজ়) নিয়ন্ত্রণ এক রকম চলে যায় সৌদি আরবের হাতে। তত দিনে পশ্চিম এশিয়ার আরব দেশটি বিশ্বের সর্ববৃহৎ অপরিশোধিত তেল উত্তোলক রাষ্ট্রের তকমা অর্জন করেছে। আর এই ক্ষমতাবলেই ইহুদিদের বিক্রি করা তেলের পাঁচ শতাংশ বন্ধ করার প্রস্তাব দেয় রিয়াধ। পাশাপাশি, কাঁচা তেলের দাম তিন শতাংশ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ওপেক।
১০২৫
সৌদি আরব কাঁচা তেলের দাম বৃদ্ধি করায় আমেরিকা-সহ পশ্চিমি দুনিয়ার আর্থিক লোকসান বাড়ছিল। ফলে এক রকম বাধ্য হয়েই রিয়াধের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেয় ওয়াশিংটন। বলা বাহুল্য, এতে আরব দুনিয়ায় সৌদির গুরুত্ব কয়েক গুণ বেড়েছিল। ১৯৭০ সালে তৈরি হয় ‘অর্গানাইজ়েশন অফ ইসলামিক কান্ট্রিজ়’ বা ওআইসি। এই সংগঠন তৈরির নেপথ্যেও বড় ভূমিকা নেয় মক্কা-মদিনার দেশ।
১১২৫
১৯৭৯ সালে ইসলামীয় বিপ্লবের মাধ্যমে ইরানকে কট্টর শিয়া ধর্মাবলম্বী রাষ্ট্রে পরিণত করেন আয়াতোল্লা খোমেনাই। সেখানকার শাহ বা রাজা আশ্রয় নেন যুক্তরাষ্ট্রে। পারস্য উপসাগরের তীরের দেশটির উপর থেকে শেষ হয়ে যায় আমেরিকার আধিপত্য। ঠিক এর এক বছরের মাথায় (পড়ুন ১৯৮০ সাল) প্রতিবেশী ইরাকের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে তেহরান। টানা আট বছর চললেও সেই লড়াইয়ে জেতেনি কোনও পক্ষই।
১২২৫
ইরান-ইরাক যুদ্ধে আখেরে লাভবান হয় সৌদি আরব। কারণ, না চাইতেই যুদ্ধ করে আরব দুনিয়ার দু’টি দেশ আর্থিক এবং সামরিক দিক থেকে কিছুটা কমজোরি হয়েছিল। ১৯৭৯ সালে আচমকা আফগানিস্তান আক্রমণ করে বসে তৎকালীন সোভিয়েত রাশিয়া। এতে ইসলামি দুনিয়ার নেতা হওয়ার ক্ষেত্রে রিয়াধের সামনে সুবর্ণ সুযোগ এসে গিয়েছিল।
১৩২৫
গত শতকের ৭০ ও ৮০-র দশকে আমেরিকা ও সোভিয়েত রাশিয়ার মধ্যে ‘স্নায়ু যুদ্ধ’ চরম আকার ধারণ করে। ওই সময়ে ইসলামীয় বিপ্লবের পর ইরানের সঙ্গে মস্কোর সখ্য বৃদ্ধি পায়। ফলে এশিয়ায় সোভিয়েত প্রভাব কমাতে মরিয়া হয়ে ওঠে ওয়াশিংটন। পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে আমেরিকার পাশে দাঁড়িয়ে নিজের অবস্থান মজবুত করে রিয়াধ। আফগানিস্তানে রুশ ফৌজকে হারাতে মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএর মদতে জন্ম হয় জঙ্গি সংগঠন আল কায়দার। এর শীর্ষনেতা ওসামা বিন লাদেন ছিলেন সৌদি আরবের ভূমিপুত্র।
১৪২৫
১৯৯১ সালে কুয়েত আক্রমণ করেন তৎকালীন ইরাকি প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হুসেন। এর জেরে পশ্চিম এশিয়ায় শুরু হয় উপসাগরীয় যুদ্ধ। এতে সরাসরি অংশ নেয় আমেরিকা। উপসাগরীয় যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে খোলাখুলি ভাবে সমর্থন করেছিল রিয়াধ। বিনিময়ে মার্কিন ডলারে ভরে ওঠে সৌদির কোষাগার। আরব মুলুকটির থেকে বিপুল পরিমাণে তেল কিনতে শুরু করে ওয়াশিংটন ও পশ্চিমি বিশ্ব। ফলে কয়েক বছরের মধ্যেই দুনিয়ার অন্যতম সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হয় সৌদি আরব।
১৫২৫
৭০-এর দশক থেকে শুরু করে ২১ শতকের প্রথমার্ধ পর্যন্ত স্বাধীন প্যালেস্টাইন প্রতিষ্ঠার জোরালো সমর্থক ছিল মক্কা-মদিনার দেশ। বিশ্বের যে কোনও জায়গায় মসজিদের উপর হামলা হলে কড়া প্রতিক্রিয়া দিত সৌদি আরব। এতে আরব দুনিয়ায় রিয়াধের জনপ্রিয়তা হু-হু করে বেড়েছিল। ২০১৫ সালে সৌদির বাদশা হন সলমন বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ। কুর্সিতে বসেই বড় ছেলে মহম্মদ বিন সলমনকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী নিযুক্ত করেন তিনি। ২০২২ সালে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বও পান যুবরাজ সলমন।
১৬২৫
২০০৯ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন বারাক হুসেন ওবামা। তাঁর আমলে পশ্চিম এশিয়ার নীতিতে বড় বদল আনে ওয়াশিংটন। এই সময় থেকেই একটু একটু করে সৌদি আরবে লগ্নির পরিমাণ কমাতে থাকে মার্কিন সরকার। পাশাপাশি, ইরানের সঙ্গে ভাঙা সম্পর্ক মেরামত করতে উঠেপড়ে লাগেন ওবামা। পারস্য উপসাগরের তীরের দেশটির উপর থেকে কিছু নিষেধাজ্ঞা তুলে নেন তিনি।
১৭২৫
মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জেরে আর্থিক দিক থেকে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায় তেহরান। গত কয়েক দশক ধরে চলা যুদ্ধ এবং যাবতীয় লোকসানের জন্য সৌদি আরব এবং ইজ়রায়েলকে দায়ী করে ইরান। এর পরই দুই শক্তিধর দেশের বিরুদ্ধে বদলা নিতে পশ্চিম এশিয়ায় একধিক সশস্ত্র গোষ্ঠী তৈরি করে ওই শিয়া মুলুক। সেই তালিকায় রয়েছে ইয়েমেনের হুথি এবং লেবাননের হিজ়বুল্লা।
১৮২৫
ইরানের শক্তিবৃদ্ধিতে প্রমাদ গোনেন সৌদি যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমন। ২০১৫ সালে হুথিদের নিকেশ করতে ইয়েমেনে লাগাতার আক্রমণের নির্দেশ দেন তিনি। কিন্তু তা সত্ত্বেও সশস্ত্র গোষ্ঠীটিকে বাগে আনতে ব্যর্থ হন তিনি। উল্টে হুথিদের রকেট হামলায় পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায় আরব মুলুকটির সবচেয়ে বড় তেল শোধনাগার। এতে আরব দুনিয়ায় মুখ পোড়ে রিয়াধের।
১৯২৫
তেহরানের উপর চাপ তৈরি করতে ২০১৭ সালে কাতারকে নিশানা করেন সৌদি যুবরাজ সলমন। কারণ, এই আরব দেশটির সঙ্গে ইরানের রয়েছে গলায় গলায় বন্ধুত্ব। ওই বছর মিশর, বাহরাইন এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহিকে নিয়ে কাতারের উপর আর্থিক অবরোধের ঘোষণা করে রিয়াধ। সৌদির আকাশপথ ব্যবহার নিষিদ্ধ হয় কাতারের জন্য।
২০২৫
কিন্তু এত কিছু করেও কাতারের গায়ে আঁচড়টি পর্যন্ত কাটতে পারেননি যুবরাজ সলমন। পরবর্তী বছরগুলিতে ইরানের থেকে খাদ্যদ্রব্য আমদানি করতে থাকে পশ্চিম এশিয়ার ওই দেশ। এ ছাড়া কাতার তাঁদের সংবাদ সংস্থা আল জ়াজিরা বন্ধ করুক, চেয়েছিল সৌদি আরব। অর্থনৈতিক অবরোধের পর উল্টে রিয়াধের কড়া সমালোচনা শুরু করে ওই গণমাধ্যম।
২১২৫
২০১৭ সালে লেবাননের প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরিকে রিয়াধে আমন্ত্রণ করেন যুবরাজ সলমন। সৌদি আরবে পা দিতেই তাঁকে একরকম আটক করে স্থানীয় প্রশাসন। পরে টিভিতে লাইভ সম্প্রচার চালিয়ে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফাপত্র নেওয়া হয় তাঁর। গোটা ঘটনার নেপথ্যে সলমনের হাত থাকার অভিযোগ ওঠে। সেই সঙ্গে আরব দুনিয়ায় একনায়ক হিসাবে বদনামের মুখে পড়েন সৌদির যুবরাজ।
২২২৫
একটা সময়ে সলমনের অভিন্নহৃদয় বন্ধু ছিলেন পেশায় সাংবাদিক জ়ামাল খাসোগি। কিন্তু পরবর্তী কালে যুবরাজের কড়া সমালোচনা করতে শুরু করেন তিনি। একটা সময়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে ইউরোপে চলে যান খাসোগি। ২০১৮ সালে তুরস্কের ইস্তানবুলে সৌদি দূতাবাসে ঢুকেছিলেন তিনি। কিন্তু তার পর আর তাঁকে সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়নি। মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএর দাবি, সলমনের নির্দেশে দূতাবাসের ভিতরেই খাসোগিকে কেটে টুকরো টুকরো করে দেয় তাঁর ভাড়া করা ঘাতকেরা।
২৩২৫
২০২০ সালের অগস্টে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত হয় আব্রাহাম অ্যাকর্ড। এতে ইজ়রায়েলের সঙ্গে চুক্তি করে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, বাহরাইন, সুদান এবং মরক্কো। চুক্তিতে কোথাও প্যালেস্টাইনের কথা লেখা ছিল না। প্রাথমিক ভাবে অ্যাব্রাহাম অ্যাকর্ড মানতে রাজি না হলেও পরে এতে সম্মতি দেন সৌদি যুবরাজ সলমন। এতে প্রবল ক্ষুব্ধ প্যালেস্তিনীয়রা রিয়াধকে একরকম শত্রু হিসাবে দেখতে শুরু করে।
২৪২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শাসনকালে পশ্চিম এশিয়ায় গড়ে ওঠে চার দেশের নতুন সংগঠন আইটুইউটু। এতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও রয়েছে ভারত, ইজ়রায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। মূলত বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে এটিকে তৈরি করেছে সংশ্লিষ্ট চার দেশ। সেখানেও জায়গা না পাওয়ায় আরব দুনিয়ায় গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে সৌদি আরব।
২৫২৫
দেশের আর্থিক পরিস্থিতি মজবুত করতে ‘ভিশন ২০৩০’ প্রকল্পের সূচনা করেছেন সৌদি যুবরাজ সলমন। এর মাধ্যমে পর্যটন ব্যবসাকে ঢেলে সাজানোর চেষ্টা করছে রিয়াধ। কিন্তু বিশ্লেষকদের দাবি, প্রকল্প শেষ করার মতো প্রয়োজনীয় অর্থ হাতে নেই যুবরাজ সলমনের। ফলে ভবিষ্যতে তেলের কুয়োগুলি যত ফুরিয়ে আসবে, ততই আরব মুলুকটির গুরুত্ব আরও কমবে বলে স্পষ্ট করেছেন তাঁরা।