যার শুরু আছে কিন্তু শেষ দেখা যায় না। এই গুহার আকার জানলে অবাক হবেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৭:২৬
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১১
হ্যাং সন ডুং। বিশ্বের সবচেয়ে বড় গুহা। যার শুরু আছে কিন্তু শেষ দেখা যায় না। এই গুহার আকার জানলে অবাক হবেন।
০২১১
১৯৯১ সালে প্রথম এই গুহার খোঁজ পান ভিয়েতনামের হো খানহ নামে এক ব্যক্তি। ভিয়েতনামের বো টাচ জেলায় অবস্থিত।
০৩১১
জঙ্গলে খাদ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে গুহাটির খোঁজ পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু গুহার গভীরতা এতটাই ছিল যে, স্থানীয় মানুষেরা কেউই ভিতরে নামার সাহস করে উঠতে পারেননি।
০৪১১
২০০৯ সালে সারা বিশ্বের সামনে আসে এই গুহা। ব্রিটিশ কেভ রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশনের গুহাবিদেরা এই গুহায় নেমে রিসার্চ করার পর।
০৫১১
২০০ ফুট উঁচু একটি ফ্লোস্টোন দেওয়ালের কাছে পৌঁছে তাঁদের রিসার্চ বাধাপ্রাপ্ত হয়। প্রধানত ক্যালসিয়াম কার্বনেট দিয়ে গঠিত এই দেওয়াল বরাবর জল ২০০ ফুট নীচের দিকে নামছিল।
০৬১১
২০১০ সালে আড়াআড়ি গুহাটার শেষে পৌঁছয় ওই রিসার্চ দল। বিশালাকার এই গুহার দেওয়ালকে ‘গ্রেট ওয়াল অব ভিয়েতনাম’ বলা হয়।
০৭১১
বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক গুহা এটি। দৈর্ঘ্যে ৫ কিলোমিটার, উচ্চতায় ৬৬০ ফুট এবং চওড়ায় ৪৯০ ফুট।
০৮১১
একে আড়াআড়ি ভাগ করলে যা দাঁড়ায়, তা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম গুহা মালয়েশিয়ার ডিয়ার কেভ-এর চেয়েও আকারে বড়।
০৯১১
২০১৯ সালে জানা যায় যে, গুহাটি নিকটবর্তী হ্যাং থুং গুহার সঙ্গে যু্ক্ত। যার ফলে গুহাটির আকার আরও বেড়ে গিয়েছে।
১০১১
গুহার আকার এতটাই বড় যে, ৪০ তলা স্কাইস্ক্র্যাপার-সহ নিউ ইয়র্ক শহরের একটা ব্লককে এই গুহার মধ্য ফিট করা যাবে।
১১১১
বা এতটাই বড় যে, কোনওরকম বাধা-বিপত্তি ছাড়াই একটি বোয়িং ৭৪৭ বিমান উড়ে যেতে পারে।