ফেসবুক বা টুইটারে একাধিক অ্যাকাউন্ট। রাশি রাশি ফলোয়ার। নেটমাধ্যমে মাঝে মাঝেই ঢেউ ওঠে তাঁকে নিয়ে। ‘মুরাদ টাকলা’। এই নামেই পরিচিত তিনি। সমাজ ও সংস্কৃতি সচেতন নেটাগরিকরাও কিন্তু তাঁর নামের পিছনে ‘বডি শেমিং’-এর কোনও উদ্দেশ্য দেখতে পান না। স্বচ্ছন্দে, সাবলীল ভাবে ভাইরাল হতে থাকে মুরাদ টাকলার পোস্ট। ফেসবুক-টুইটার-ইনস্টাগ্রামের অলিগলি পেরিয়ে সেই সব পোস্ট ছড়িয়ে পড়ে হোয়াটসঅ্যাপের মহাসমুদ্রে।
নেটমাধ্যমের খ্যাতনামী ‘মুরাদ টাকলা’ কিন্তু কোনও এক জন ব্যক্তি নন। নেটমাধ্যমে ইংরেজি হরফে বাংলা লিখতে গিয়ে যাঁরা ভুল ভাবে বিকৃত বাংলা বা ‘বাংলিশ’ লেখেন, তাঁদেরকেই ডাকা হয় ‘মুরাদ টাকলা’ নামে। এই ডাকের পিছনে একটি কাহিনি আছে। আনুমানিক ২০১২ সালে ফেসবুকে জয়ন্ত কুমার নামে এক ব্যক্তি একটি মন্তব্য করেন ‘বাংলিশ’-এ। তিনি লিখতে চেয়েছিলেন, ‘মুরোদ থাকলে যুক্তি দিয়া কথা বল, ফালতু পিক দিছস কেন? লেখাপড়া কইরা কথা বল।’ কিন্তু যা সেই পোস্টে যা দাঁড়িয়েছিল, তা সঙ্গের ছবিতে দৃশ্যমান।