Japan predicts mega quake may hit their country, up to 3 lakh people may die dgtl
Megaquake in Japan
ধেয়ে আসছে মহাভূমিকম্প, মৃত্যু হতে পারে তিন লক্ষ মানুষের! রিপোর্ট প্রকাশ করে জানাল জাপান
জাপান সরকার রিপোর্টে উল্লেখ করেছে, সম্ভাব্য ‘মহাভূমিকম্প’-এর কারণে ১২.৩ লক্ষ মানুষ, অর্থাৎ সে দেশের মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০২৫ ১৪:০৪
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৭
ভয়াবহ ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত ভারতের প্রতিবেশী দেশ মায়ানমার। শুক্রবারের ভূমিকম্পে তছনছ হয়ে গিয়েছে সে দেশের বিস্তীর্ণ এলাকা। মৃত্যু হয়েছে বহু মানুষের। তার মধ্যেই এ বার ‘মহাভূমিকম্প’ এবং সুনামির আশঙ্কা প্রকাশ করল ‘উদীয়মান সূর্যের দেশ’ জাপান।
০২১৭
তীব্র ভূমিকম্পের ভবিষ্যদ্বাণী করে সোমবার একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে জাপান সরকার। সেই রিপোর্টে সরকারের আশঙ্কা, ‘মহাভূমিকম্প’ এবং তার ফলে সৃষ্ট সুনামির কারণে জাপানে প্রায় তিন লক্ষ মানুষ মারা যেতে পারেন। আর্থিক ক্ষতি হতে পারে ২ লক্ষ কোটি ডলারের, যা সে দেশের মোট জিডিপির অর্ধেক!
০৩১৭
বিজ্ঞানীদের অনুমান, ‘মহাভূমিকম্প’ হলে কম্পনের মাত্রা রিখটার স্কেলে ৮ থেকে ৯ হতে পারে।
০৪১৭
২০২৪ সালে ৭.১ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল দক্ষিণ জাপানে। সেই ভূকম্পনের পরেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে এই সতর্কতা জারি করা হয়েছে বলে খবর।
০৫১৭
জাপান সরকার রিপোর্টে আরও উল্লেখ করেছে, সম্ভাব্য ‘মহাভূমিকম্প’-এর কারণে ১২.৩ লক্ষ মানুষ, অর্থাৎ সে দেশের মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সেইমতোই নাকি তৈরি হচ্ছে ‘যুদ্ধের’ পরিকল্পনা।
০৬১৭
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘মহাভূমিকম্প’ হলে কম্পনের সম্ভাব্য উৎস হবে ‘নানকাই ট্রফ’ নামে সমুদ্রের তলদেশের একটি এলাকা।
০৭১৭
‘নানকাই ট্রফ’ হল শিজুওকা থেকে কিউশু পর্যন্ত ৮০০ কিলোমিটার বিস্তৃত সমুদ্রতলের চ্যুতি। ২০২৪ সালের অগস্টে সমুদ্র-তলদেশের ওই এলাকা নিয়ে প্রথম বার সতর্কতা জারি করেছিল জাপান।
০৮১৭
২০১১ সালের ভয়াবহ ভূমিকম্প, সুনামি এবং ফুকুশিমা পারমাণবিক বিপর্যয়ের পর থেকেই ‘মহাভূমিকম্প’ আসতে পারে কি না তা নিয়ে আগাম সতর্কতা জারি করার নিয়ম চালু হয়েছে জাপানে।
০৯১৭
কিন্তু ‘মহাভূমিকম্প’ হওয়া নিয়ে এত নিশ্চিত কী ভাবে হচ্ছে জাপান? কেনই বা তাড়াহুড়ো করে রিপোর্ট প্রকাশ করল টোকিয়ো?
১০১৭
টোকিয়োর যুদ্ধতৎপরতা দেখানোর কারণ, অস্থির টেকটোনিক পাতের কার্যকলাপ। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ফিলিপিন্সের সমুদ্রপ্লেট ইউরেশিয়ান প্লেটের নীচে নেমে এসেছে এবং ৯.১ মাত্রার ভূমিকম্প সৃষ্টি করার শক্তি সঞ্চয় করেছে।
১১১৭
জাপান সরকারের অনুমান অনুযায়ী, আগামী ৩০ বছরের মধ্যে নানকাই খাদে ৮-৯ মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার আশঙ্কা ৭০-৮০ শতাংশ।
১২১৭
অন্য দিকে ইতিহাস সাক্ষী যে, প্রতি ১০০-২০০ বছর অন্তর বড় ভূমিকম্পের সম্মুখীন হয় জাপান। জাপানে নানকাই খাদের কারণে মহাভূমিকম্প শেষ বার ঘটে ১৯৪৬ সালে।
১৩১৭
আশঙ্কা করা হচ্ছে, এখন ‘মহাভূমিকম্প’ হলে ৩০-৩৪ মিটার উচ্চতার ঢেউ শিজুওকা, কোচি এবং ওয়াকায়ামার মতো উপকূলীয় এলাকাগুলিকে ধ্বংস করে দিতে পারে।
১৪১৭
‘নানকাই ট্রফ’ কেন এত বিপজ্জনক? বিশেষজ্ঞেরা জানিয়েছেন, নানকাই খাদে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ‘টেকটোনিক স্ট্রেন’ (পৃথিবীর ভূগর্ভস্থ প্লেটগুলির বিকৃতি, যা টেকটোনিক চাপের কারণে ঘটে) জমেছে, যা ধারাবাহিক ভাবে বড় বড় ভূমিকম্পের কারণ হয়ে উঠতে পারে।
১৫১৭
তোহোকু এবং কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় সতর্ক করা হয়েছে, ‘নানকাই ট্রফ’-এ ৭-এর বেশি মাত্রার ভূমিকম্প হলে এক সপ্তাহের মধ্যে স্বাভাবিকের চেয়ে ১০০-৩৬০০ গুণ ভূমিকম্প তৈরি হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।
১৬১৭
বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই আতঙ্ক এবং উদ্বেগ দেখা দিতে শুরু করেছে জাপানের নাগরিকদের মনে। আগাম প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞেরাও।
১৭১৭
টোকিয়ো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূকম্পবিদ নাওশি হিরাতা সতর্ক করেছেন, ‘‘প্রস্তুতির সময় এখনই। যখন মাটি কাঁপতে শুরু করবে তখন নয়।’’