পাকিস্তানের কষ্টার্জিত ১৯১ রান তাড়া করতে ভারতের হয়ে ওপেন করেন রোহিত এবং শুভমন গিল। ডেঙ্গিজয় করে মাঠে ফেরার পর শুভমন কেমন খেলবেন, তা নিয়ে সংশয় ছিল ক্রিকেটমহলে। অন্য দিকে, পাকিস্তানের অন্যতম সেরা জোরে বোলার শাহিন শাহ আফ্রিদির ভিতরে ঢুকে আসা বল রোহিত কী ভাবে সামলাবেন, তা নিয়েও সংশয় ছিল। যদিও ম্যাচের প্রথমার্ধেই বোঝা গিয়েছিল, নিষ্প্রাণ পিচে তেমন কোনও সুবিধা অবশিষ্ট নেই জোরে বোলারদের জন্য। কিন্তু ক্রিকেটকে বলা হয় মহান অনিশ্চয়তার খেলা। তাই কখন যে পিচ চরিত্র বদলে ফেলে, তা বোঝা মুশকিল। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা গেল, তেমন কিছুই ঘটল না।
রোহিত আর শুভমন শুরুটা করেন ঝড়ের গতিতে। তবে ম্যাচের রাশ বরাবরই ছিল অধিনায়ক রোহিতের হাতে। যখন যেমন ইচ্ছে, শনিবারের আমদাবাদে রোহিত ঠিক তেমনই বল পাঠালেন গ্যালারিতে। না শাহিন শাহ, না হ্যারিস রউফ, শাদাব খান— কোনও বোলারই সামান্যতম দাগও কাটতে পারেননি। অবলীলায় রোহিত সকলকেই একে একে ফেলেছেন লক্ষাধিক দর্শকের গ্যালারিতে। আর গোটা দেশ লাফিয়ে উঠেছে ‘আটে আট’ করার স্বপ্নে বলিয়ান হয়ে। মোট ৬৩ বল খেলেছেন রোহিত, করেছেন ৮৬ রান। তার মধ্যে রয়েছে ছ’টি বিরাট ছক্কা এবং সমসংখ্যক বাউন্ডারি। দিনের শেষে ক্যাপ্টেন রোহিতকে ১০-এর মধ্যে দিতে হচ্ছে ৯। ম্যাচ শেষ করে ফিরতে পারলেন না, শুধুমাত্র এই কারণে এক নম্বর কাটা গেল ৪৫ নম্বর জার্সিধারীর।
শুভমন গিলের লড়াইটা ছিল দ্বিমুখী। প্রথমত, ডেঙ্গি থেকে সুস্থ হওয়ার পর শরীর মাঠে কতটা সঙ্গ দিতে পারবে, তা নিয়ে সংশয়ে ছিলেন বহু ক্রিকেটপ্রেমী। দ্বিতীয়ত, পাকিস্তানের জোরে বোলারদের কী ভাবে মোকাবিলা করবেন, সেই লড়াইও জিতে নিলেন অনায়াসেই। মাত্র ১১ বল খেলেছেন শুভমন, করেছেন ১৬ রান। পুরো রানই এসেছে তাঁর সপাটে মারা চারটি বাউন্ডারিতে। তবে দ্রুত আউট হয়ে গেলেন ভারতীয় ক্রিকেটের নতুন আইকন। আনন্দবাজার অনলাইন ১০-এর মধ্যে শুভমনকে দিচ্ছে ৫।
চারে ব্যাট করতে আসেন শ্রেয়স আইয়ার। তাড়াহুড়ো করার কোনও কারণ ছিল না। শ্রেয়স তা করেনওনি। ধীরেসুস্থে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান মহার্ঘ জয়ের দিকে। যদিও এই ম্যাচেও দ্রুত গতির শর্ট বলের বিরুদ্ধে শ্রেয়সের অস্বস্তি চাপা থাকেনি। রউফ তা বুঝতে পেরেই পর পর শর্ট বল করা শুরু করেন। যথারীতি সমস্যায় পড়ে যান শ্রেয়স। কিন্তু হাল ছাড়েননি। শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে ম্যাচ বার করে নিয়ে যান তিনি। ৬২ বল খেলে করেন মহামূল্যবান ৫৩ রান। মেরেছেন দু’টি পেল্লায় ছক্কা। ১০-এর মধ্যে শ্রেয়সকে দেওয়া যেতে পারে ৮।
ব্যাটিংয়েও পাকিস্তানের ক্ষেত্রে কহতব্য কিছুই নেই। আবদুল্লাহ্ শফিক এবং ইমাম উল হক খুব বেশি এগোতে না পারলেও শুরুটা ভালই করেছিলেন। বিশ্বকাপের বড় ম্যাচে তাদের ২০ এবং ৩৬ রান গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারত। কিন্তু দিনের শেষে দেখা গেল, কার্যত কোনও প্রভাবই থাকল না তাঁদের ইনিংসের। আনন্দবাজার অনলাইনের বিচারে তাঁরা পাবেন ১০-এর মধ্যে ৪।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy