From Violence in Sandeshkhali to arrest of TMC Leader Shahjahan Sheikh, everything you need to know dgtl
Sandeshkhali Incident at a Glimpse
৫ জানুয়ারি ইডি হানা থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার! কেমন ছিল ‘বাঘ-বন্দি খেলা’? এক নজরে সন্দেশখালিকাণ্ড
৫৫ দিন আগে শাহজাহানের খোঁজে সন্দেশখালি গিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। শাহজাহানের নাগাল তো পাওয়া যায়ইনি, উল্টে তাঁর অনুগামীদের হাতে মারধর খেতে হয়েছিল ইডি আধিকারিকদের।
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতাশেষ আপডেট: ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১২:৩৫
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১৩৭
৫৫ দিন আগে তাঁর খোঁজে সন্দেশখালি গিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। তাঁর নাগাল তো পাওয়া যায়ইনি, উল্টে মারধর খেতে হয়েছিল ইডি আধিকারিকদের। তার পর থেকেই তিনি ছিলেন ‘নিখোঁজ’। অবশেষে গ্রেফতার হলেন সন্দেশখালির সেই ‘বাঘ’ (এলাকায় এই নামেই পরিচিত ছিলেন) শাহজাহান শেখ।
০২৩৭
রাজ্য পুলিশের এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার জানিয়েছেন, মিনাখাঁ থানার বামনপুকুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে শাহজাহানকে। কিন্তু এই ৫৫ দিনের মধ্যে শাহজাহানের গ্রেফতারির দাবিতে একাধিক বার উত্তাল হয়ে ওঠে সন্দেশখালি। স্থানীয়দের সঙ্গ দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়ান সন্দেশখালির মহিলারা। অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে।
০৩৩৭
রাজ্য রাজনীতিতেও শোরগোল ফেলে সন্দেশখালিকাণ্ড। যা পরবর্তী কালে রাজ্যের পরিধি পেরিয়ে জাতীয় রাজনীতিতেও শোরগোল ফেলে দেয়। কিন্তু কেমন ছিল সন্দেশখালির সেই ৫৫ দিন?
০৪৩৭
গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতি মামলায় সন্দেশখালিতে শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে গিয়েছিল ইডি। সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। কিন্তু শাহজাহানের বাড়ির কাছে তাঁদের ঘিরে ফেলেন শাহজাহানের অনুগামী এবং স্থানীয়েরা। মারধর করা হয় ইডি আধিকারিকদের। সেই মারে আহত হন তদন্তকারীরা। এক জনের মাথাও ফাটে। সেই সময় মার খেয়ে পালিয়ে আসতে হয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার আধিকারিকদের।
০৫৩৭
সেই থেকে শাহজাহান ছিলেন ‘বেপাত্তা’। আদালতের দ্বারস্থ হয় ইডি। আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিজেপিও। শাহজাহানের গায়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতার তকমা থাকায়, তা নিয়ে রাস্তায় নামেন বিরোধীরা। শাহজাহানকে গ্রেফতারের দাবি তোলেন তাঁরা। অভিযোগ ওঠে, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার।
০৬৩৭
এ দিকে শাহজাহানের বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করেন স্থানীয়দের একাংশ। শাহজাহানের বিরুদ্ধে নোনা জল ঢুকিয়ে চাষের জমি দখল করার অভিযোগ তোলেন অনেকে। অভিযোগ ওঠে নির্যাতনেরও। এরই মধ্যে সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের মারধরের অভিযোগে বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করা হয়।
০৭৩৭
গত ১৫ জানুয়ারি আদালতের দ্বারস্থ হন খোদ শাহজাহান। সন্দেশখালি মামলায় যুক্ত হওয়ার আবেদন করা হয় তাঁর তরফে। তবে এর পর দিনই তা প্রত্যাহার করে নেন তাঁর আইনজীবী।
০৮৩৭
শাহজাহানকে নিয়ে শাসক-বিরোধী তরজা যখন তুঙ্গে, তখন তাড়া খেয়ে পালানোর ১৯ দিন পর অর্থাৎ, ২৪ জানুয়ারি শাহজাহান-ডেরায় আবার ঢোকে ইডি। সে বার তৃণমূল নেতার বাড়ির তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করেন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার আধিকারিকেরা। তবে উল্লেখযোগ্য কিছুই উদ্ধার হয়নি।
০৯৩৭
শাহজাহান নিয়ে তৃণমূলের শীর্ষনেতারা প্রথমে মুখ না খুললেও গত ২৭ জানুয়ারি রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম তাঁর সমালোচনা করেন। এক কর্মসূচিতে গিয়ে ফিরহাদ (ববি) বলেন, ‘‘শাহজাহান যা করেছে অন্যায় করেছে। আমি গণমাধ্যমে দেখেছি, মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে সরকারি আধিকারিকদের। যেটা করেছে, নিশ্চিত করে বলছি, অন্যায় করেছে!’’
১০৩৭
এর মধ্যে তৃণমূল নেতার বাড়িতে গিয়ে একাধিক বার নোটিস টাঙিয়ে এসেছিল ইডি। তাতে বলা হয়েছিল শাহজাহানকে কলকাতায় ইডি দফতরে হাজিরা দিতে হবে। তবে নির্ধারিত দিনগুলিতে সিজিও কমপ্লেক্সে উপস্থিত হননি শাহজাহান।
১১৩৭
সিজিও কমপ্লেক্সে উপস্থিত না হলেও, পর্যাপ্ত প্রমাণ ছাড়াই তাঁকে ‘ফাঁসানোর’ চেষ্টা চলছে অভিযোগ তুলে আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতের দ্বারস্থ হন শাহজাহান। শাহজাহানের আইনজীবীর দাবি ছিল, শাহাজাহান যে হেতু এক জন রাজনীতিক, তাই ‘উইচহান্ট’ (শয়তান প্রতিপন্ন করার চেষ্টা) চলছে। আগাম জামিনের আবেদনও করেন তিনি।
১২৩৭
তবে তত দিনে ভিতরে ভিতরে অনেকটা উত্তপ্ত হয়ে গিয়েছে সন্দেশখালির পরিস্থিতি। শাহজাহান বিরোধী বিবিধ অভিযোগ তুলতে শুরু করেছেন স্থানীয়েরা। তাঁর গ্রেফতারির দাবিতে সরব হতে শুরু করেছেন তাঁরা। বাড়তে শুরু করে জনরোষ।
১৩৩৭
সেই উত্তাপ বাড়ে ৭ ফেব্রুয়ারি দুপুরে। শাহাজাহানের বাড়িতে ইডির প্রথম হানার এক মাস পরে পরেই। শাহজাহানের বাহিনীকে শুধু তাড়া করে নদীতে ঝাঁপ দিতে বাধ্য করেন সন্দেশখালির স্থানীয়রা।
১৪৩৭
উত্তাপ সীমা ছাড়ায় এর ঠিক এক দিন পর অর্থাৎ, ৮ ফেব্রুয়ারি। ৮ ফেব্রুয়ারি দিনভর দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সন্দেশখালি। শাহজাহানের বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে হাতে বাঁশ, লাঠি, হাতা, খুন্তি হাতে নিয়ে সামনে এসে দাঁড়ান মহিলারা। তাঁরা থানা ঘেরাও করেন। দাবি ছিল একটাই, শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে হবে।
১৫৩৭
ব্লক সভাপতি শিবপ্রসাদ হাজরা এবং তাঁর সঙ্গী উত্তম সর্দারকেও গ্রেফতারির দাবি তোলেন স্থানীয়েরা। স্থানীয় মহিলাদের দাবি ছিল, তাঁরাও তৃণমূল করেন। কিন্তু দলের নাম ভাঙিয়ে শাহজাহানেরা গ্রামবাসীদের উপর অত্যাচার করেছেন বলে অভিযোগ করেন ওই মহিলারা। তাই শাহজাহান, শিবুদের গ্রেফতারি চান তাঁরা।
১৬৩৭
জমি দখল থেকে শুরু করে মিথ্যা অভিযোগ এনে গ্রামবাসীদের হেনস্থা, শাহজাহানদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ছিল বিক্ষোভরত মহিলাদের। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ ছিল, শাহজাহান কোথায় লুকিয়ে আছেন, পুলিশ তা জানে। চার-পাঁচ দিন আগেও নাকি তাঁকে এলাকায় দেখা গিয়েছিল। পুলিশই তাঁকে নিরাপত্তা দিচ্ছে বলে দাবি ওঠে।
১৭৩৭
অভিযোগ ওঠে, চার বছরে ৪২টি মামলা, এর মধ্যে ৪১টির চার্জশিটও দাখিল হয়ে গিয়েছে শাহজাহানের নামে। সূত্রের খবর, চার বছরে একটি মামলাতেও (যার মধ্যে জামিন অযোগ্য ধারাও আছে) শাহজাহানকে গ্রেফতার করা হয়নি। উল্টে, অভিযোগকারীকেই নিগৃহীত হতে হয়েছে। মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে ভিটেমাটিটুকুও খোয়াতে হয়েছে বলে হাই কোর্টে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
১৮৩৭
শাহজাহান এবং তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ তুলে পথে নামেন সন্দেশখালির বাসিন্দাদের একাংশ। সন্দেশখালির পরিস্থিতি ঘুরে দেখে আসেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
১৯৩৭
এর পরের কয়েক দিন ধরে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সন্দেশখালি। শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ সহযোগীরাও জনতার রোষের মুখে পড়েন। বেশ কয়েকটি পোলট্রি ফার্মে আগুন ধরানো হয়।
২০৩৭
শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ দুই নেতা উত্তম এবং শিবুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় স্থানীয় সিপিএম নেতা নিরাপদ সর্দার এবং বিজেপি নেতা বিকাশ সিংহকে। পরে নিরাপদ এবং বিকাশ জামিন পান।
২১৩৭
রাজ্যের গণ্ডি ছাড়িয়ে সন্দেশখালির উত্তাপ পৌঁছে যায় দিল্লিতেও। এলাকার ‘বেতাজ বাদশা’ শাহজাহান ও তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গদের বিরুদ্ধে স্থানীয় মহিলাদের সঙ্গে অশালীন আচরণের যে অভিযোগ উঠেছে, তা নিয়ে জাতীয় স্তরেও সুর চড়াতে শুরু করে বিজেপি।
২২৩৭
এর মধ্যেই সন্দেশখালির একাধিক জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। বার বার সন্দেশখালি ঢোকার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন বিরোধী বিজেপি, বাম এবং কংগ্রেসের নেতারা। বিজেপির অনেক নেতা সন্দেশখালি ঢোকার চেষ্টা করলে তাঁদের গ্রেফতার করে পরে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়। সন্দেশখালিকাণ্ড নিয়ে কার্যত ‘জঙ্গি’ আন্দোলন শুরু করে বিজেপি।
২৩৩৭
সন্দেশখালিতে আসে জাতীয় এসএসটি কমিশন, জাতীয় মহিলা কমিশন এবং মানবাধিকার কমিশন। এর মধ্যে এসএসটি কমিশন এবং মহিলা কমিশন রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানিয়েছিল। সন্দেশখালি পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে আসে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনও।
২৪৩৭
সন্দেশখালিকাণ্ড নিয়ে একাধিক মামলা হয় কলকাতা হাই কোর্টে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে সন্দেশখালি প্রবেশের অধিকার দেয় আদালত।
২৫৩৭
শাহজাহানের পর তৃণমূল নেতার ভাই সিরাজউদ্দিনের বিরুদ্ধেও অভিযোগে মুখর হয় সন্দেশখালিবাসীর বড় অংশ। এলাকায় সিরাজ ডাক্তার নামে পরিচিত ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে পুলিশের শিবিরে গিয়েও অভিযোগ জানানো হয়। অভিযোগ নেওয়ার জন্য গ্রামে এই শিবির করেছিল পুলিশ।
২৬৩৭
অভিযোগ, গত এক দশকে শাহজাহন এবং তাঁর ভাই সিরাজের ‘সৌজন্যে’ ধীরে ধীরে বদলে গিয়েছে এলাকার জমির ‘চরিত্র’। একের পর এক ফসলের ক্ষেত্র গায়ের জোরে দখল করে বানানো হয়েছে মাছের ভেড়ি। মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে দখল করা হয়েছে চাষের জমি। বদলে ফেলা হয়েছে বর্গা রেকর্ডও। তবে সিরাজ তৃণমূলের কোনও পদে নেই বলে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি দাবি করেন রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক।
২৭৩৭
এর পর সন্দেশখালির বেড়মজুরে নতুন করে অশান্তি ছড়ায়। সন্দেশখালির অন্য এক তৃণমূল নেতা অজিত মাইতিকে নিয়ে জনরোষ তৈরি হয়। তাঁকে কার্যত তাড়া করেন স্থানীয়েরা। পরে ২৬ ফেব্রুয়ারি তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
২৮৩৭
সন্দেশখালি নিয়ে শাসক এবং বিরোধী দল বিজেপির বেনজির সংঘাত দেখেছে রাজ্যের মানুষ। একের পর এক অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ উঠেছে। বার বার শাহজাহানকে গ্রেফতারির দাবি তুলেছেন বিরোধীরা।
২৯৩৭
সম্প্রতি আনন্দবাজার অনলাইনকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, কোর্টই পুলিশের হাত-পা বেঁধে দিয়েছে। না হলে রাজ্য সরকারের পুলিশই শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে পারে। ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ বলেন, “শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে রাজ্য সরকার। ইডি তাঁকে ধরতে পারেনি। কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা গিয়ে রাজ্য পুলিশের ওই এফআইআরের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ পেয়েছে। ফলে পুলিশের হাত-পা বেঁধে দিয়েছে আদালতই।’’
৩০৩৭
গত সোমবার কলকাতা হাই কোর্ট জানায়, তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখকে গ্রেফতার করতে পারবে রাজ্যের পুলিশ। কোনও স্থগিতাদেশ তাতে দেওয়া হয়নি। এই সংক্রান্ত মামলায় প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের মন্তব্য, ‘‘স্পষ্ট ভাবে বলছি, পুলিশকে কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। ইডির মামলায় সিট গঠনের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছিল। আমরা পুলিশকে বলিনি, যে গ্রেফতার করা যাবে না।’’ বুধবার প্রধান বিচারপতি বলেন, “সিবিআই, ইডি এবং রাজ্য পুলিশ যে কেউ শাহজাহান শেখকে গ্রেফতার করতে পারে।”
৩১৩৭
বুধবার হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে আদালতের পূর্ববর্তী নির্দেশের অষ্টম অনুচ্ছেদের পরিবর্তন চায় রাজ্য। রাজ্যের আইনজীবী জানান, নির্দেশের ওই অংশটিই শাহজাহানকে গ্রেফতার করার বিষয়ে পুলিশের প্রধান বাধা। কিন্তু কী আছে অষ্টম অনুচ্ছেদে? সন্দেশখালিতে শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিল ইডি। সেই আক্রমণের প্রেক্ষিতে তিনটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। যা নিয়ে হাই কোর্টে যায় কেন্দ্রীয় সংস্থা।
৩২৩৭
হাই কোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চ ইডি আধিকারিকদের উপর আক্রমণের ঘটনায় সিবিআই এবং রাজ্য পুলিশকে যৌথ ভাবে সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল। যাকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় ইডি এবং রাজ্য পুলিশ। সেখানে গত ৭ ফেব্রুয়ারি সিট গঠনের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। ওই নির্দেশের অষ্টম অনুচ্ছেদে বলা হয়েছিল, রাজ্য পুলিশও এই সংক্রান্ত তদন্ত থেকে দূরে থাকবে। অর্থাৎ, এই সংক্রান্ত তদন্ত থেকে রাজ্যের পুলিশকে বিরত থাকতে বলেছিল হাই কোর্ট। আদালত জানায় পুলিশ, সিবিআই, ইডি— যে কেউ গ্রেফতার করতে পারে শাহজাহানকে।
৩৩৩৭
হাই কোর্টের শেখ শাহজাহান সংক্রান্ত নির্দেশ এবং প্রধান বিচারপতির মন্তব্যের পরে শাসক তৃণমূল সোমবার আবার দাবি করে, আদালতের কারণেই শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে পারেনি রাজ্য পুলিশ। ‘জট’ কেটেছে। সাত দিনের মধ্যে শাহজাহান গ্রেফতার হবেন।
৩৪৩৭
তারও আগে গত বৃহস্পতিবার সকালে সন্দেশখালি এলাকায় টহল দিতে বেরোনোর আগে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার বলেছিলেন, “যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, তাঁরা সবাই গ্রেফতার হবেন। যাঁরা আইন ভেঙেছেন, তাঁরা গ্রেফতার হবেন।”
৩৫৩৭
সেই শাহজাহান অবশেষে গ্রেফতার হলেন মিনাখাঁর বামনপুকুর থেকে। তার পর সাংবাদিক সম্মেলন করেন এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ)। বৃহস্পতিবারই তাঁকে আদালতে হাজির করানো হয়।
৩৬৩৭
শাহজাহানের গ্রেফতারির জন্য পরোক্ষে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেই কৃতিত্ব দিচ্ছে শাসক তৃণমূল। বৃহস্পতিবার সকালে নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে তৃণমূলের অন্যতম মুখপাত্র তথা রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ লেখেন, “আদালতের বাধা ছিল, পুলিশ কাজ করতে পারেনি।” তার পরেই তিনি লেখেন “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৌজন্যে আদালত বাধা সরিয়েছে। পুলিশ যা করার করেছে।”
৩৭৩৭
সন্দেশখালির ‘বাঘ-বন্দি’র খবর আসতেই উল্লাসে মেতেছে সন্দেশখালি। উলুধ্বনি দিচ্ছেন মহিলারা। শঙ্খনাদের সঙ্গে চলছে মিষ্টিমুখ এবং আবির খেলা। শাহজাহানকে আপাতত ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।