১২ বছর অন্তর প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ মেলা হয়। এ বছর ১৩ জানুয়ারি (পৌষ পূর্ণিমা), ১৫ ডানুয়ারি (মকর সংক্রান্তি), ২৯ জানুয়ারি (মৌনী অমবস্যা), ৩ ফেব্রুয়ারি (বসন্ত পঞ্চমী), ১২ ফেব্রুয়ারি (মাঘী পূর্ণিমা) এবং ২৬ ফেব্রুয়ারি (শিবরাত্রি) শাহিস্নানের তিথি রয়েছে। গঙ্গা, যমুনা এবং অধুনাবিলুপ্ত সরস্বতী নদীর পবিত্র সঙ্গমস্থলে ভক্তেরা জড়ো হবেন পুণ্যস্নান করতে। পুণ্যস্নানের জন্য ইতিমধ্যেই প্রয়াগরাজে জড়ো হয়েছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ।
তালিকার প্রথমেই রয়েছেন ‘অ্যাম্বাসাডর বাবা’। ৫০ বছরেরও বেশি বয়সি ওই সাধু মধ্যপ্রদেশের ইনদওরের বাসিন্দা। রবিবার মহাকুম্ভে এসেছেন তিনি। ‘অ্যাম্বাসাডর বাবা’ এখনও পর্যন্ত চারটি কুম্ভমেলায় অংশ নিয়েছেন। কিন্তু কেন ও রকম নাম তাঁর? কারণ, সর্বদাই ১৯৭২ সালের একটি অ্যাম্বাসাডর গাড়িতে ভ্রমণ করেন তিনি। ‘ভিনটেজ’ সেই গাড়ি গত ৩০ থেকে ৩৫ বছর ধরে তাঁর সঙ্গী।
‘পরিবেশ বাবা’র কথায়, ‘‘আমি এ পর্যন্ত ৮২টি আচার পালন করেছি। প্রায় ৩০টি দেশ জুড়ে থাকা আমার ভক্তরা আমাদের দেশে ১ কোটিরও বেশি গাছ লাগানোর জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ২০১৬ সালে, বৈষ্ণোদেবী থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত পদযাত্রার সময়, আমরা ২৭টি রাজ্যে গাছ লাগিয়েছিলাম। তখন থেকেই ভক্তেরা আমাকে ‘পরিবেশ বাবা’ বলে ডাকতে শুরু করে।’’
‘রুদ্রাক্ষ বাবা’ ব্যাখ্যা করেছেন, ‘‘ভগবান শিবের একটি অংশ রুদ্রাক্ষ। বলা হয় যে, এটি তাঁর চোখের জল থেকে উদ্ভূত। আমার শরীরে ১ থেকে ২১ মুখী রুদ্রাক্ষ রয়েছে। সাধুরা এই রুদ্রাক্ষ পরিধান করে। আমি ১১ হাজার রুদ্রাক্ষ পরি কারণ, শৈবপুরাণ অনুযায়ী, যাঁরা ১১ হাজার রুদ্রাক্ষ পরিধান করেন, তাঁদের রুদ্র হিসাবে গণ্য করা হয়।’’
উচ্চতা মেরেকেটে ৩ ফুট ৮ ইঞ্চি। উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভে আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্রে তিনিও। মহিলা থেকে পুরুষ, তরুণ থেকে প্রবীণ— সকলেই এসে তাঁর পা ছুঁয়ে প্রণাম করছেন। মাথায় হাত রেখে আশীর্বাদ বিলোচ্ছেন ‘ছোটু বাবা’ ওরফে গঙ্গাপুরী মহারাজ। তাঁর দাবি, গত ৩২ বছর ধরে স্নান করেননি তিনি। মহাকুম্ভেও গঙ্গায় স্নানে নামবেন না। তবে মেলার শেষ দিন পর্যন্ত থেকে যাবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy