Actor Govinda once bought a buffalo to get fresh milk dgtl
bollywood
খাঁটি দুধ পেতে আবাসনে মোষ কিনে আনেন গোবিন্দ! তার পর...
গোবিন্দ কিন্তু নতুন কোনও দুধ বিক্রেতার কাছে গেলেন না। পরিবর্তে তিনি একটা মোষই কিনে ফেললেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০২০ ১৫:৫৭
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৬
তারকা হয়েও তারকাসুলভ আচরণ গোবিন্দর বরাবরই অপছন্দের। ইন্ডাস্ট্রির বাকি তারকারা যেখানে বিলাসবহুল গাড়ি ব্যবহার করতে অভ্যস্ত, গোবিন্দর অত মাথাব্যথা নেই নিজের বাহন নিয়ে।
০২১৬
হৃতিক রোশন হোক বা প্রিয়ঙ্কা চোপড়া। অন্য তারকারা যেখানে নিত্যনতুন গাড়ি কিনতে ভালবাসেন, সেখানে গোবিন্দ এক বার মোষ কিনে এনেছিলেন!
০৩১৬
ব্যক্তিগত জীবনে তিনটি জিনিস খুব গুরুত্বপূর্ণ গোবিন্দর জীবনে। তাঁর মায়ের নির্দেশ, তাঁর পুজো করার সময় এবং তাঁর ডায়েট। এই তিনটি বিষয়ে এক চুল এ দিক থেকে ও দিক হওয়ার উপায় নেই।
০৪১৬
গোবিন্দর ডায়েটে দুধ থাকবেই থাকবে। অন্য কোনও হেলথ ড্রিঙ্ক নয়। সুস্থ থাকার জন্য তিনি নির্ভর করেন খাঁটি দুধের উপর।
০৫১৬
গোবিন্দর এক জন নির্দিষ্ট দুধ বিক্রেতা ছিলেন। তিনি রোজ জুহুতে অভিনেতার বাড়িতে প্রচুর পরিমাণ দুধের যোগান দিতেন।
০৬১৬
বহু দিন তাঁর কাছ থেকে দুধ কেনার পরে গোবিন্দ দুধের গুণমান নিয়ে বিরক্ত হয়ে পড়েন। তাঁর অভিযোগ ছিল, ওই দুধ বিক্রেতা আর খাঁটি দুধ দিচ্ছেন না।
০৭১৬
বার বার বলা সত্ত্বেও ওই বিক্রেতা দুধে জল মেশানো বন্ধ করেননি বলে অভিযোগ গোবিন্দর। শেষে তিনি তাঁর কাছ থেকে দুধ কেনা-ই বন্ধ করে দেন।
০৮১৬
গোবিন্দ কিন্তু নতুন কোনও দুধ বিক্রেতার কাছে গেলেন না। পরিবর্তে তিনি একটা মোষই কিনে ফেললেন।
০৯১৬
জুহুতে নিজের বাড়িতে গোবিন্দ আনলেন তাঁর নতুন পোষ্যকে। মোষের দেখভালের জন্য বহাল করলেন নতুন লোক। ব্যবস্থা করলেন মোষের থাকার জায়গা।
১০১৬
গোবিন্দ এবং তাঁর পরিবার খাঁটি দুধের সরবরাহ পেলেও বিবাদ দেখা দিল অন্যত্র। জুহুর মতো অভিজাত এলাকায় মোষ দেখে আপত্তি তুললেন গোবিন্দর প্রতিবেশীরা।
১১১৬
জুহুর ‘জলদর্শন’ আবাসনে থাকতেন গোবিন্দর পরিজনরা। সেখানকার অন্য আবাসিকরা আপত্তি জানিয়ে বলেন, আবাসনের বাসিন্দারা গাড়ি রাখতে পারেন। মোষ নয়।
১২১৬
জুহুতে গোবিন্দর বিলাসবহুল বাংলোও ছিল। আবাসনে রাখতে না পেরে মোষ নিয়ে গোবিন্দ চলে যান নিজের বাংলোয়।
১৩১৬
এ বার আর খাঁটি দুধ পেতে কোনও সমস্যা থাকল না। কিন্তু গোবিন্দর পুরনো দুধ বিক্রেতা আবার ফিরে এলেন।
১৪১৬
শোনা যায়, প্রতি মাসে গোবিন্দর পরিবারে নাকি কয়েক হাজার টাকার দুধ কেনা হত। বছরে সেই টাকা পৌঁছত লাখের কাছাকাছি। এই উপার্জন হাতছাড়া হয়ে যাওয়া মানতে পারছিলেন না ওই দুধ বিক্রেতা।
১৫১৬
তিনি এসে গোবিন্দর কাছে ক্ষমা চান। ভবিষ্যতে দুধের গুণমান খারাপ হবে না, সেটাও নাকি তিনি কথা দিয়েছিলেন।
১৬১৬
এর পর পুরনো দুধ বিক্রেতাকে ফের বহাল করেন গোবিন্দ। আর তাঁর পোষ্য? তাকে ফিরিয়ে দেন তাঁর কাছে, যাঁর কাছ থেকে কিনেছিলেন।