দিন কয়েক আগে প্যারিসের কান চলচ্চিত্রোৎসবে শাড়ি পরে হাজির হয়েছিলেন বলিউডের নতুন প্রজন্মের অভিনেত্রী সারা আলি খান। ভারতীয় ডিজাইনার আবু জানি এবং সন্দীপ খোসলার হাতে তৈরি সরু পাড় সাদা শাড়িটি তাঁকে কানের রেড কার্পেটের জন্য পরিয়ে দিয়েছিলেন এই ডলিই। এর আগেও কানে দীপিকা পাড়ুকোনকে রেড কার্পেটের জন্য শাড়ি পরিয়েছিলেন ডলি।
তবে গত কয়েক বছরে তারকারা তাঁদের বিয়ে বা বিশেষ অনুষ্ঠানের জন্যও বার বার ডেকেছেন ডলিকে। কিছু দিন আগেই কিয়ারা আডবাণী এবং সিদ্ধার্থ মলহোত্রের বিয়েতে যেতে হয়েছিল তাঁকে। নায়িকাকে শাড়ি এবং লেহঙ্গায় পরানোর দায়িত্ব বর্তেছিল কলকাতার এই বৌমার উপরে। এমনকি, বলিউডের নায়ক সিদ্ধার্থকে উড়নিও পরিয়ে দিয়েছিলেন তিনিই।
বিয়ের শাড়ি বা লেহঙ্গা যে পোশাকশিল্পীই বানিয়ে থাকুন, সেটি সুন্দর করে পরিয়ে দেওয়ার জন্য ডলির উপরেই ভরসা করেন বলিউডের নায়িকারা। প্রিয়ঙ্কা চোপড়াকে বিয়ের সাজে সাজিয়েছিলেন ডলি। দীপিকা পাড়ুকোনের বিয়ের শাড়িও ডলির পরানো। এমনকি, আলিয়া ভট্ট, ক্যাটরিনা কাইফ, নয়নতারাকেও তাঁদের বিয়ের দিনে শাড়ি পরিয়েছিলেন ডলিই।
তবে ডলির জনপ্রিয়তা শুধু বলিউডের গণ্ডিতে আটকে নেই। ভারতীয় ধনকুবের মুকেশ অম্বানীর কন্যা ইশা অম্বানীকে বিয়ের শাড়ি পরিয়েছেন ডলি, শাড়ি পরিয়েছিলেন মুকেশের পুত্রবধূ শ্লোক মেহতা এবং হবু পুত্রবধূ রাধিকা মার্চেন্টের বাগদানের অনুষ্ঠানেও। আবার ভারতীয় ক্রিকেটার হার্দিক পাণ্ড্যর বিয়েতে তাঁর স্ত্রী নাতাশাকেও শাড়ি পরানোর জন্য ডাক পড়েছিল ডলির।
ফ্যাশন দুনিয়ায় মেট গালার বেশ নামডাক রয়েছে। গত বছর সেই মেট গালায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল সেরাম ইনস্টিটিউটের কর্ণধার ভারতীয় শিল্পপতি আদর পুণাওয়ালার স্ত্রী নাতাশা পুণাওয়ালাকে। নাতাশা বরাবরই ফ্যাশন সচেতন। মেট গালার জন্য বেছে নিয়েছিলেন বাঙালি পোশাকশিল্পী সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়ের শাড়ি। আর সেই শাড়ি নাতাশাকে পরিয়েছিলেন কলকাতার ডলি।
ডলির অনুরাগীদের দাবি, শাড়ি পরানোর জন্য হয়তো একটু বেশিই দাম নেন ডলি। কিন্তু তাঁর আঙুল, কয়েকটি সেফটিপিন, আর সুচসুতোর কেরামতি ম্যাজিক দেখাতে পারে। বলিউড অভিনেত্রী রবিনা টন্ডন নাকি এক বার ডলিকে বলেছিলেন, ‘‘তোমার হাতে সেফটিপিনের যাত্রা নিয়ে একটা বই লিখে ফেলো তুমি।’’ ডলির শাড়ি পরানোর প্রশংসা করে দীপিকাও বলেছিলেন, ‘‘তোমার হাতে পড়লে অবাধ্য শাড়িও বাধ্য হয়।’’
ডলি জানিয়েছেন, কলকাতায় এসে শাড়ি ছাড়া অন্য কিছুই পরতে পারতেন না তিনি। সেই শাড়িও পরতে রোজ ৪৫ মিনিট সময় লাগত তাঁর। কিছুটা নিজের প্রয়োজনেই ডলির শাড়ি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু। সময় বাঁচাতে নানা রকম ভাবে শাড়ি পরতেন ডলি। তাঁর সেই শাড়ি পরার স্টাইলের প্রশংসাও হতে শুরু করে। ডলি জানিয়েছেন, শাড়ি নিয়ে এই পরীক্ষা-নিরীক্ষা ক্রমেই ভাল লাগার জায়গায় পৌঁছয় তাঁর।
একটি সাক্ষাৎকারে ডলি বলেছেন, ছোট থেকেই পুতুলকে নানা রকম ভাবে শাড়ি পরাতেন তিনি। সেই পুরনো নেশা হঠাৎ পেয়ে বসে তাঁকে। একটি ম্যানিকুইন কিনে তাকে নানা ভাবে শাড়ি পরানো অভ্যাস করতেন ডলি। এমনও হয়েছে, মাঝরাতে নতুন কোনও শাড়ির স্টাইলের কথা মনে পড়েছে। তিনি সঙ্গে সঙ্গে তা পরীক্ষা করেছেন তাঁর ম্যানিকুইনের উপর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy