Bollywood actress Esha Deol slapped Amrita Rao on the film set of Pyare Mohan dgtl
Esha Deol Controversy
দুই নায়িকার ‘ক্যাটফাইট’! ছবির সেটে প্রকাশ্যে বলি অভিনেত্রীকে চড় মারেন ধর্মেন্দ্র-কন্যা
এক পুরনো সাক্ষাৎকারে অমৃতার সঙ্গে তাঁর ‘ক্যাটফাইট’ নিয়ে মুখ খোলেন ধর্মেন্দ্রের কন্যা এষা। সেটের মধ্যেই অমৃতার গালে চড় মারেন এষা।
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতাশেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২৩ ১৪:০৯
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৩
হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে বড় পর্দার সামনে তারকাদের সম্পর্কের রসায়ন সোজাসাপটা মনে হলেও ক্যামেরার পিছনে তাঁদের সম্পর্কের সমীকরণ বোঝা বেশ জটিল। কখন যে কে কার ভাল বন্ধু, আর কখন যে কে কার শত্রু— তা বোঝা দায়। এমনই এক ঘটনা ঘটেছিল একটি ছবির সেটে।
০২১৩
২০০৬ সালে ইন্দ্র কুমারের পরিচালনায় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘প্যারে মোহন’ ছবিটি। এই ছবির প্রযোজনার দায়িত্বে ছিলেন ইন্দ্র কুমার এবং অশোক ঠাকেরিয়া। মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন বিবেক ওবেরয়, ফারদিন খান, অমৃতা রাও, এষা দেওলের মতো তারকা।
০৩১৩
২০০৬ সালে মুক্তি পেলেও ‘প্যারে মোহন’ ছবির শুটিং শুরু হয় এক বছর আগে, ২০০৫ সালে। এই ছবি মুক্তির পর বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে প়ড়ে। তবে ছবির চেয়ে বেশি চর্চা হয় দুই নায়িকার ঝগড়া নিয়ে।
০৪১৩
এক পুরনো সাক্ষাৎকারে অমৃতার সঙ্গে তাঁর ‘ক্যাটফাইট’ নিয়ে মুখ খুলেছেন ধর্মেন্দ্রের কন্যা এষা। এষার দাবি, ছবির শুটিং শেষ হওয়ার পর সেটের মধ্যেই অমৃতার সঙ্গে তাঁর কথা কাটাকাটি শুরু হয়।
০৫১৩
রাগের বশে অমৃতার গালে চড় কষিয়ে দেন এষা। এমনকি, এই ঘটনার জন্য যে তিনি বিন্দুমাত্র অনুতপ্তও নন, তা-ও জানান ধর্মেন্দ্রের কন্যা।
০৬১৩
এষা বলেন, ‘‘প্যাক আপের ঠিক পরে সেটের মধ্যে আমার সঙ্গে ঝামেলা করতে শুরু করে অমৃতা। পরিচালক, ক্যামেরাম্যান, ক্রু সদস্যদের সামনেই আমাকে যা নয় তাই বলতে শুরু করে ও।’’
০৭১৩
এষার দাবি, বহু ক্ষণ ধরে অমৃতা অকথ্য ভাষায় আক্রমণ করছিলেন দেখে আর স্থির থাকতে পারেননি তিনি। অমৃতাকে প্রকাশ্যে চড় মারেন এষা।
০৮১৩
পরে এষা বলেন, ‘‘ওকে চড় মেরে আমি কোনও ভুল করিনি। এই ব্যবহারই প্রাপ্য অমৃতার। ওই সময় ওরকম আচরণের জন্য থাপ্পড়ই প্রাপ্য ছিল ওর। চড় মেরে আমার বিন্দুমাত্র অনুতাপ বোধ হচ্ছে না।’’
০৯১৩
থাপ্পড় খাওয়ার পরের দিন অমৃতা নিজেই এষার কাছে ক্ষমা চাইতে আসেন। এমনটাই দাবি করেন এষা।
১০১৩
এষার দাবি, ‘‘অমৃতা নিজের ভুল বুঝতে পেরেছিল। তাই পরের দিন ওর আচরণের জন্য ক্ষমা চায়। আমিও বেশি কথা না বাড়িয়ে ওকে ক্ষমা করে দিই।’’
১১১৩
এষার দাবি, তিনি হঠাৎ করে রেগে যান না। নিজের অনুভূতির উপর তাঁর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। কিন্তু সে দিন সেটে অমৃতার ব্যবহার দেখে শান্ত থাকতে পারেননি তিনি।
১২১৩
অমৃতা সে দিন সীমা অতিক্রম করে ফেলেছিলেন বলে অভিযোগ এষার। আত্মসম্মান রক্ষার্থেই অমৃতাকে চড় মারেন বলে জানান এষা।
১৩১৩
পরে অবশ্য অমৃতা এবং এষার মধ্যে এই ঘটনা নিয়ে মান অভিমান চলেনি। দু’জনেই একে অপরকে ক্ষমা করে দেন। এখন অমৃতার সঙ্গে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে, তা-ও জানাতে ভোলেননি এষা।